আলোচিত খবরদূর্নীতি

ছাতক বিদ্যুৎ বিভিন্ন উপায়ে গ্রাহক হয়রানির অভিযোগ

ছাতক বিদ্যুৎ
বিভিন্ন উপায়ে গ্রাহক হয়রানির অভিযোগ
ছাতক প্রতিনিধি,
ছাতক বিদ্যুৎ অফিসের অভ্যন্তরে সীমাহীন দুর্নীতি, অনিয়ম, লুটপাট ও বিপুল ঘুষের অভিযোগ রয়েছে। ফলে বিশ হাজার গ্রাহক চরম সমস্যায় ভুগছেন। বিদ্যুৎ বিভ্রাট এবং হরর বিল হয়রানি সহ গ্রাহকদের দ্বারা অর্থ জিম্মি করা এখানে নিয়মিত ঘটনা। বিভিন্ন কৌশলের মাধ্যমে গ্রাহকদের মামলার ভয় দেখিয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের লোকেরা অর্থ উপার্জন করছেন। এই অর্থ সরকারী তহবিলে জমা না করে তারা নিজের পকেট ভারী করে চলেছে। মিটার পাঠকরা নগরীর অনেক বাড়িতে অবৈধ বিদ্যুত সংযোগ ব্যবহার করে এসির জন্য অর্থ গ্রহণ করছেন। 2019 এপ্রিল 3 এ ছাতকে বিদ্যুৎ বিভাগ দ্বারা বিক্ষোভ সমাবেশ এবং অফিস ঘেরাও করা হয়েছিল। 10 ই মে জাউবাজারে বিক্ষোভ সমাবেশ। চলছে বিদ্যুতের লোডশেডিং। বিদ্যুৎ চলে গেলে কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ করে দিলে তা রশ্মিতে পরিণত হয়েছে। জানা গেছে, উপ-জেলার কালারুকা ইউনিয়নের করচখালী গ্রামের মৃত আবদুল ওহাব ছাতকস্থ অফিসের বিরুদ্ধে সিলেট বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সিলেট বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলীকে ২ লাখ thousand০ হাজার টাকা ঘুষ দেওয়ার অভিযোগের কথা উল্লেখ করেছেন। 2018 2019 সালে, মনিকা প্লাজার মালিকের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের ঘুষের দাবি নিয়ে হট্টগোল হয়েছিল। পরে আপস করে বিষয়টি মীমাংসিত হয়। কিছুদিন আগে দোয়ারাবাজারের এক গ্রাহকের বিদ্যুত সংযোগের সাথে একটি কাস্টম লঙ্কার ঘটনা ঘটেছিল। পরে গ্রাহকের বিরুদ্ধে মামলাও করা হয়। ছাতক বাজারের সাদাক আলীসহ একাধিক গ্রাহক জানান, মিটার না দেখে বারবার অতিরিক্ত বিল পরিশোধ করা হচ্ছে। বিল পেপার নিয়ে অফিসে গেলে তারা কোনও সহায়তা পাচ্ছেন না। মাসের পর মাসে তিন-চারগুণ বেশি অর্থ প্রদান করা হচ্ছে। ফজলে রাব্বি এবং বিদ্যুৎ অফিসের অতিরিক্ত সহকারী প্রকৌশলী মিটার রিডার বিমলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। তারা গত বুধবার উপ-জেলার তেরপুর গ্রামের একটি গ্রাহকের কাছ থেকে অর্থ প্রদানে ব্যর্থ হয়েছিল এবং তাকে ৪১ হাজার টাকা বিল দিয়েছে। মিটার রিডার বিমল ওই অতিরিক্ত ইঞ্জিনিয়ারের মাধ্যমে গ্রাহকদের অবৈধ লাইন সংযোগ দেয়ার কয়েক দিন পরে গ্রাহকের কাছে প্রচুর পরিমাণে অর্থ দাবি করেছিল। গ্রাহক যেমনটি বলেছে তেমন পরিশোধ না করার জন্য তার বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। শত শত গ্রাহকের এমন অভিযোগ রয়েছে। বাগবাড়ী গ্রামের হিফজুল বারী শিমুল জানান, ঘুষের দুর্নীতি ও কৌশলের কারণে এখানকার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা গ্রাহকদের সমস্যায় ফেলে অর্থ সংগ্রহ করছেন। তারা গ্রামাঞ্চলে জনগণকে আরও সমস্যায় ফেলে অর্থোপার্জন করছে। আমাদের প্রতিনিধি ছাতক বিদ্যুৎ অফিসের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আবু হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
error: Content is protected !!