
ছাতকে বন্দোবস্ত পতিত জায়গা দখলকে
কেন্দ্র করে গ্রামবাসির দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা
ছাতক প্রতিনিধি,
ছাতকে বন্দোবস্ত পতিত জায়গা দখল নিয়ে গ্রামবাসির দু’পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। বন্দোবস্ত খামভুমি জায়গা ১১ বছর ধরে পতিত রাখায় ও চাষাবাদ না করে পুকুর খনন করে বিত্রিæ করায় এ ঘটনায় উপজেলাজুড়েই চলছে ব্যাপক তোলপড় সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলার দক্ষিন খুরমা ইউপির মর্জাদ গ্রামে গত রোববার সকাল থেকে বন্দোবস্ত পতিত জমি দখলকে কেন্দ্র করে গ্রামের দু’পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। যে কোন সময় এ ঘটনার জের ধরে ভয়াবহ সংঘর্ষের আশংকা রিবাজ করছেন এলাকাবাসি ।
জানা যায়,উপজেলার ৩৯১ জেএল নং এর মর্জাদ মৌজার ১নং খাস খতিয়ানের ১০১৯ নং দাগে ৮ একর লায়েক পতিত ভূমি ২০০৯ ইং সালে বন্দোবস্ত নেন স্থানীয় মর্জাদ গ্রামের আকিল সুত্রধর,বানী সুত্রধর,ধীরেন্দ্র সুত্রধর,শশী বিশ্বাস প্রবির সুত্রধর সহ ৮জন ব্যক্তিদের নামে প্রত্যেকেরই বসত-বাড়ী সহ কৃষি জমি থাকার পর কারো কারো বিশাল দালান বাড়ী ও রয়েছে তবুও তারা ভূমিহীন বন্দোবস্ত গ্রহন করেছে। গত ২০০৯ সালে বন্দোবস্ত নিলেও তারা এ জায়গার দখল ১১ বছর ধরে বুজিয়ে নেননি দখল।স্থানীয় এলাকাবাসির অভিযোগ এ জায়গা পার্শবর্তী কয়েকটি গ্রামের লোকজন গরুচারন ভূমি হিসেবে ব্যবহার সহ এ জায়গার উপর দিয়ে স্থানীয় কোনার বন্দ হাওরের পানি নিস্কাশনের খাল সহ পালপুর ও বাদে মর্জাদ গ্রামের পানি নিস্কাশনের খাল সহ পতিত ভূমির উত্তর পার্শে বোরো ও জমির হাওরের পানি নিস্কাশনের একমাত্র রাস্তা ভূমির উপর দিয়ে চলে গেছে। তবে বন্দোবস্ত প্রদানের সময় পানি নিস্কাশনের খাল ও সরকারি রাস্তা উন্মুক্ত না রেখে সমুদয় জায়গা বন্দোবস্ত প্রদান করেছেন দুনীতিবাজ কর্মকতারা। এমন কি এই জায়গার উপর দিয়ে নির্মিত মর্জাদ পূর্বপাড়া সড়কটিও ক্যাচ ম্যাপে পৃথক না করে রাস্তা সহ বন্দোবস্ত দেয়া হয়েছে বলে গ্রামবাসি অভিযোগ করেন।
এলাকাবাসি জানান বন্দোবস্ত গ্রহিতারা প্রভাবশালীদের কাছে এ জায়গা স্ট্যাম্পে লিখিত দিয়ে কিছু জায়গা বিক্রয় করে খরিদদার ব্যক্তিগন সহ তারা মিলে এ জায়গার একপাশে প্রায় হাজার ফিট দৈর্ঘের এবং প্রায় ৪০০ ফিট প্রস্তের বিশাল খাল খনন করে দীর্ঘদিন ধরে বর্ষা মৌসুমে মাছের আশ্রয় তৈরি করে এমনতে সেচ দিয়ে প্রতি বছর লাখ-লাখ টাকার মাছ আহরন করে আসছে। স্থানীয় সরকারী সড়কের চুক্তিভিত্তিক রোপনকৃত গাছ ও গাছের ডাল কেটে পুকুরে মাছ আটকানোর কাজে ব্যবহার করেছে। ভূমিহীন বন্দোবস্তের অনেক গুলো শর্র্ত ভঙ্গ করেছেন বন্দোবস্ত গ্রহনকারীরা শর্ত অনুযায়ী কৃষিকাজ ব্যতিত অন্য কোন কাজে এই জায়গার ব্যবহার করতে হলে যথাযথ কতৃপক্ষের অনুমতি নেয়ার বিধান থাকার শর্ত অনুযায়ী এ জায়গার শ্রেনী পরিবর্তনের সুযোগ না থাকলেও তারা নিজেদের ইচ্ছা মতো পুকুর খনন করে সরকারী শর্ত ভঙ্গ করেছে। নিয়মনীতি উত্তরাধিকার ব্যতিত এই জায়গা হস্থান্তরের কোনো নিয়ম না থাকলেও তারা সরকারকে বৃদ্ধ্ঙ্গাল দেখিয়েছে বিত্রিæ করেছে। সরকারি আইন অমান্য করে বিভিন্ন লোকজনের কাছে এ জায়গা হস্থান্তর করা হয়।গত ২০০৯ সাল থেকে অদ্যাবদি প্রায় ১১ বছর ধরে এই জায়গা পতিত অবস্থায় রাখায় সরকারী শর্ত ভঙ্গ এবং এলাকার মানুষের অজান্তে জনসাধারনের ব্যবহার্য্য এই জায়গা বন্দোবস্ত এনে পানি চলাচলের খাল দখল,সরকারি সড়কের গাছ কাটার এসব ঘটনায় জনসাধারন তাদের বিরুদ্ধে ক্ষোদ্ধ হয়ে উঠেছে। এব্যাপারে স্থানীয় ইউপি মেম্বার আব্দুল আলীম এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন জনসাধারন চলাচলে রাস্তা ও খালসহ বন্দোবস্ত দিয়েছে ভুমি অফিস। এ রাস্তা বন্দোবস্ত থেকে বাদ দেয়ার জোর দাবি করেন তিনি।