
ছাতকের গোবিন্দগঞ্জ কেন্দ্রিয় ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির উদ্যোগে সংবাদ সম্মেলন
ছাতকের গোবিন্দগঞ্জ কেন্দ্রিয় ব্যবসায়ী
কল্যাণ সমিতির উদ্যোগে সংবাদ সম্মেলন
ছাতক প্রতিনিধি,
সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের ছাতকের গোবিন্দগঞ্জ কেন্দ্রিয় ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির উদ্যোগে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার দুপুরে স্থানীয় আশরাফুর রহমান চৌধুরী কনফারেন্স হল রুমে স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকার সংবাদকর্মীদের নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি আশরাফুর রহমান চৌধুরী। সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়, সিলেট-সুনামগঞ্জ-ছাতক সড়কের গোবিন্দগঞ্জ এলাকায় স্কুল কলেজ, মাদরাসা, ব্যাংক বীমাসহ এনজিও প্রতিষ্ঠান রয়েছে। গোবিন্দগঞ্জের রেলক্রসিং এলাকায় জবর-দখল জনিত কারণে যানজট চরম আকার ধারণ করেছে। সড়কের দু’পাশের খালে নির্মিত অবৈধ স্থাপনা থেকে কতিপয় হোটেল ব্যবসায়ীরা ছাঁই ও বর্জ্য ফেলে ভরাট করার ফলে সামান্য বৃষ্টিতে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় জনদূর্ভোগে পড়েন স্কুল কলেজ মাদরাসার শিক্ষার্থীসহ ব্যবসায়ী পথচারী এবং সাধারণ মানুষ। অন্যদিকে সড়কের সম্প্রসারণ কাজ অনেক উঁচু করে করার ফলে পুরাতন ড্রেন বিনষ্ট হচ্ছে। বিভিন্ন মার্কেট ও দোকান কোঠা জলাবদ্ধতার দূর্ভোগে পড়ে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। রেলক্রসিং এর পাশে পরিত্যক্ত জরাজীর্ণ স্থাপনা উচ্ছেদ না করে সড়কের সম্প্রসারণ কাজ চলছে। ডিজাইন অনুযায়ী না করে রেলক্রসিং অংশের কাজের প্রস্থ অনেকটাই ছোট করে করা হচ্ছে।
সড়কের গোবিন্দগঞ্জ চত্বর এলাকায় পুরাতন ড্রেনের উপর চলছে সড়ক সম্প্রসারণ কাজ। এতে যে কোন সময় সড়ক ধসে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া নতূন ড্রেনের নির্মাণ কাজ অত্যন্ত নিন্মমানের হচ্ছে। সড়কের পশ্চিম পাশে সওজ বিভাগের খালের উপর ঘর নির্মাণ করে প্রতিবদ্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে। চত্বর এলাকা দখল করে নিয়েছে হকার ব্যবসায়ীরা। এ কারণে সড়কে যানজট লেগেই থাকে। কতিপয় ভূমি খেকো চক্র ভূয়া কাগজে আদেশ তৈরি করে প্রতারণা করছে। এখানে যানজটের কারণে তীব্র উত্তেজনা ও জনমনে মারাত্বক নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। সরকারের ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড ব্যহত হচ্ছে। সড়কের পাশে ১০ মিটার স্থাপনা থাকবে না মর্মে উচ্চ আদালত কর্তৃক আদেশ থাকার পরও কার্যকর হচ্ছে না। সরকার ও জনস্বার্থে, সড়ক সম্প্রসারণ কাজ গতিশীল এবং যানজট নিরসনে রেলক্রসিং এর পাশে পরিত্যক্ত জরাজীর্ণ স্থাপনাসহ গোবিন্দগঞ্জ চত্বর এলাকার সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে ডিজাইন অনুযায়ী সড়ক সম্প্রসারণ কাজ করা, জলাবদ্ধতা দূরিকরণে পরিকল্পিত ড্রেন ব্যবস্থা গ্রহণ করা, হকারদের জন্য নির্দিষ্ট জায়গা চিহিৃত করে সাদা পুল থেকে ব্রিজ একাডেমি পর্যন্ত সওজ বিভাগের জায়গার সীমানা নির্ধারণ করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন গোবিন্দগঞ্জ কেন্দ্রিয় ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির নেতৃবৃন্দরা। এসময় উপস্থিত ছিলেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাজী মাওলানা আবদুস সামাদ, সহ-সাধারণ সম্পাদক আলী হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কাশেম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেবুল আহমদ ছাদিক, প্রচার সম্পাদক ইব্রাহিম আলী, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হাফেজ আশিক উদ্দিন, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আবদুর রউফ প্রমূখ। সংবাদ সম্মেলনে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে ১১টি সেতু নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়ায় এবং গোবিন্দগঞ্জ-ছাতক হয়ে দোয়ারা পর্যন্ত আরও ৯টি সেতুর নির্মাণ কাজ অব্যাহত থাকায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়। উল্লেখ্য করেন ২০১৫ সালে সিলেট-সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের প্রশস্তকরণ প্র্রকল্পটি অনুমোদন ও এর জন্য অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়। পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানসহ জেলার সকল সংসদ সদস্যের জোরালো সুপারিশের পর একশ’৬০ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন করেন। প্র্রকল্প অনুযায়ী সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কের ৬৪ কিলোমিটার উভয় দিকে ৩ ফুট করে মোট ৬ ফুট প্রশস্তকরণের উদ্যোগ নেয়া হয়। এ সময় সড়ক ও জনপথ বিভাগ একশ’ ৬০ কোটি টাকা বরাদ্দে দরপত্র আহ্বান করেন। এ কাজে সিলেটের জনবেরী নামে ঠিকাদারী প্রতিষ্টান পেয়েছে। শুরু থেকে চলছে অনিয়ম ও দুনীতির অভিযোগ করেন এলাকাবাসির লোকজন।