দুনীতি নিয়ে একটি খোলাচিঠি
এমডির দৃষ্টি কামনা
ছাতকে সিমেন্ট ফ্যাক্টরির আবাসিক বাসা বাড়িতে থাকাকালীন সময়ের অভিজ্ঞতা ও বর্তমান সিমেন্ট ফ্যাক্টরির নেতাদের ঘুষ, দুর্নীতি লুটপাটের বানিজ্যের কিছু কথা । একটা উদাহরণ ছাতক সিমেন্ট ফ্যাক্টরিতে দৃষ্টান্ত বেশি সিবিএ ৬২ বর্তমান বৈধ অবৈধ সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস অবৈধভাবে সিমেন্ট ফ্যাক্টরির সম্পদ লুটপাট নিজে স্বার্থ হাসিল করেছে এবং কোটিপতি হয়েছেন। তার অতীত সকলেরই জানা আছে। ওই জাতীয় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে কুদ্দুস বিগত দিনে বোমা মানিক এমপির আশীবাদ পেয়ে ১শত ৩৪ জন কর্মচারী দক্ষ ও অদক্ষ নিয়োগ দিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তাদের কাছ থেকে সে তো কম কামাই করেনি শুধু এমপির দয়ার বদৌলতে এখন নির্বাচন উপলক্ষে নিরীহ কিছু কর্মচারীদের নিকট থেকে কুদ্দুসের খলিফা আজিজুর রহমান ওরফে আইজ্জা এমপির গ্রামের সম্পর্কীয় ভাতিজা বলে বেড়ায়। সেই আজিজ কো অপারেটিভ এর সেক্রেটারি থাকা কালীন কুদ্দুসের নির্দেশে ক্যাজুয়েল চাকরি জীবিদের নামে বাসাবাড়ি পাইয়ে দিয়ে অন্যকে দেওয়া হতো তাদের কাছ থেকে। যেখানে সিমেন্ট ফ্যাক্টরির কোষাগারে ২৬০০ টাকা জমা দেওয়ার কথা কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা দেওয়া আছে।সেখানে নিরীহ বহিরাগত মানুষের নিকট থেকে ৩১০০ থেকে সর্বোচ্চ ৪০০০ টাকা পর্যন্ত আদায় করছেন। কিন্তু সিমেন্ট ফ্যাক্টরির কোষাগারে ঠিকই ২৬০০ টাকা জমা দিয়ে বাকী টাকা গুলো আত্নসাত ও লুটপাট করা হয়।
মানুষ কিছু বললেই আজিজ বলে আমি এমপির ভাতিজা । এখন নির্বাচন কালীন ২০১৪ সালের সিবিএ ৬২, ১৩৪ জন নিয়োগ প্রাপ্তদের আংশিক কিছু শ্রমিক থেকে সভাপতি কুদ্দুস এবং সিবিএ এর দপ্তর সম্পাদক আজিজুর রহমান ওরফে আইজ্জা চাপ দিয়ে নিরীহ কর্মচারীদের নিকট থেকে ১০০০ থেকে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত আদায় করেছেন। মুহিবুর রহমান মানিক এমপি হলেন উপজেলার উত্তর সুরমার ছাতক পৌরসভার ১,২ ও ৩ ওয়ার্ডের নির্বাচনী খরচ জোগানোর জন্য এসব টাকা থেকে ও কুদ্দুস, আজিজ গংদের আর্থিক লাভবান হয়েছে। যারাই টাকা দিতে অনিচ্ছুক তাদেরই পোস্টিং সিকিউরিটি গার্ড অথবা অন্যত্র বদলির হুমকি দেয়।এমনকি অনেককে টেকেরঘাট বদলি করে ছাতক সিমেন্ট ফ্যাক্টরিতে বহাল তরিয়তে বসিয়ে রেখে ছে কুদ্দুস এবং আজিজের বিরুদ্ধে শিল্প মন্ত্রনালয় ও বিচার বিভাগীয় তদন্ত করা হলে ভাতের ভিতরে ডিমেন রহস্য এসব দুর্নীতি অপকর্ম সব বেরিয়ে আসবে। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষার পালা। পরিশেষে নিজের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বিচারটি জনগণের কাছে দিয়ে রাখলাম।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে কুদ্দুসের নিকট স্থায়ী কর্মচারীর নামে একখানা ই টাইপ বাসা নিয়ে আমাকে দেওয়ার জন্য টেলিফোনে বললে ফেব্রুয়ারীর ৫ তারিখ ২০২২, বলে সন্ধ্যার পর তার বাসায় যেতে হবে। কার নামে নেবেন তার নাম নিয়ে আসিবেন। আমি ফকির টিলার মোহাম্মদ জামাল মিয়া (সিনিয়র টালি ক্লার্ক) তার নামে বাসা নিবো জানাইলে সম্মতি প্রকাশ করে এবং বাসাটি পাওয়ার প্ল্যান্টের সামনে ই টাইপ ৪ তলা বিল্ডিং টি তার একটি প্লেট বলে আসুন সমস্যা হবে না। আমার মনে আছে ২০১৩ এর ডিসেম্বর এর ৩ বা ৪ তারিখের ১৩৪ জনের নিয়োগে আপনার মৌখিক সহযোগীতায় আমি ইউনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নাম মাত্র ৬৫০ টাকা প্রতিজনের মেডিকেল টেস্ট করাইয়াছি। সেটার প্রতিদান হিসাবে আপনি ই টাইপ বাসা পাওয়ার হকদার। ঔ সময় অন্য বহিরাগত পরিবার ও থাকত ই টাইপ বাসায়। এখনো সিমেন্ট ফ্যাক্টরির জুনিয়র অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দিলীপ বাবু কে অন্য একজন কর্মচারীর নামে বাসা পাওয়িয়ে দিয়ে দিলিপ বাবুকে সিমেন্ট ফ্যাক্টরির খন্ডকালীন ক্যাজুয়েল কর্মকর্তা হিসাবে নিয়োগ দিয়ে রেখেছে।
যা সম্পূর্ন অবৈধ ও বে আইনি এবং তার অবৈধ অপকর্ম লুকিয়ে রাখার জন্য।যে বন্ধ ফ্যাক্টরি হইতে বিসিআইসির ভিন্ন জায়গায় বদলি করা হয়।মজার ব্যাপার অবসরপ্রাপ্ত জুনিয়র কর্মকর্তা দিলীপবাবুকে খন্ডকালীন অপ্রয়োজনীয় সিমেন্ট ফ্যাক্টরির প্রশাসনিক অফিসে বসিয়ে রাখা হইছে।শুধু মাত্র বর্তমান সভাপতি কুদ্দুসের অপকর্ম ঢেকে রাখার জন্য। কিন্তু সময় কথা বলবে। ঔ ই টাইপ বিল্ডিং এর ৩য় তলা টি আমাকে দেওয়ার কথা ছিল। এবং উনি আমার কাছে সিবিএ -৬২ কমিটির অফিস খরচ ও অন্যান্য খরচ মেটানোর জন্য প্রথাগতভাবে সবাই টাকা দেয় বাসা নিতে চাইলে। আপনি আমাকে ৫০ হাজার টাকা দিতে হবে।আমি বর্তমান সিবিএ সেক্রেটারি।আমার সম্মতি না পাইলে আপনি বাসা পাবেন না। বিষয়টি আমি দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে, উনার এখান থেকে চলে আসি। পরদিন সকালে, সিমেন্ট ফ্যাক্টরির অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী ওই বিল্ডিং এর চারতলায় অবস্থানরত ছিলেন। জনাব কাজী আবু বক্কর সাহেবের সাথে পরামর্শ করিলে তিনি জানান,ওই টাকা না দিলে তো বাসা পাইবেন না , শুধু সময় ক্ষেপণ হইবে। বাসায় উঠতে হলে দেওয়া না দেওয়া আপনার ব্যাপার। আমি দেওয়ার পক্ষে সম্মতি প্রকাশ করি । এবং পরদিন ৫/২/২০২২ ইংরেজি সনে কাজী আবু বক্কর ভাইকে সঙ্গে নিয়ে ৪ নং বাজারে এলাকায় কুদ্দুসের ছেলের দোকানে যাই, এবং তাহাকে তাহার ছেলের দোকানে বসা অবস্থায় দেখিতে পাই আনুমানিক রাত আটটার সময়। এবং আলাপচারিতার এক ফাকে তাহার দাবিকৃত ৫০ হাজার টাকা বুঝিয়ে দিয়ে আসি কুদ্দুস সাহেব কে। এক দুই মাস আমাকে ঘুরিয়ে আমি যখন ক্লান্ত এবং বাসা না দেওয়ায় টাকা ফেরত চাই , তখন আমাকে নদীর পাড় ব্যাংক কলোনির ৯ নং বাসাটি যাহাতে আজিজুর রহমান আইজ্জা বসবাসরত ছিল ওই বাসাটি ফকিরটিলার জামাল সাহেবের নামে (সিনিয়র টালি ক্লার্ক) ১/৪/২০২২ ত ইংরেজি তাহার নামে বরাদ্দ দেন। আমি বন্যায় ২ লক্ষ টাকার মালামাল ক্ষতিগ্রস্ত হইয়া ২৮/২/২০২৩ ইং সনে জামাল সাহেবের মাধ্যমে কর্তৃপক্ষ এর বরাবর বাসাটি বুঝিয়ে দিয়ে আমি ছাতক বাজার আবাসিক এলাকায় চলে আসি। এবং আমাকে ওই বাসায় ওঠার জন্য বলেন। আমি নিরুপায় হইয়া ওই বাসায় ৪/৪/২০২২ ইং সনে উঠি তিনি আমাকে কথা দেন আপনাকে যেকোনো মূল্যেই ওই বিল্ডিং এর যে কোন ফ্ল্যাটে আমি আনবো । বিষয়টি পাবলিকের সাথে জানাজানি করিয়েন না । আমি সরল বিশ্বাসে মেনে নেই। কিন্তু দশ মাস অতিবাহিত হওয়ার পর আমার টাকা ও ফেরত পাই নাই, ই টাইপ বাসাও পাই নাই । নিরুপায় হইয়া ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ ঔ বাসাটি জামাল ভাইকে বুঝাইয়া দিয়া আমি ছাতক বাজার আবাসিক এলাকায় চলে আসি । আমি ভিন্ন ভিন্ন সময় মৌখিক তাগদা দিলে, সে বলে আমি বর্তমানে সেক্রেটারি থেকে সভাপতি হয়েছি বিনা ইলেকশনে। আমি এমপি মানিক ভাইয়ের লোক। আমি যখন পারি তখন টাকা দিব । আমাকে এ বিষয়ে তাগদা দিয়ে পীড়াপীড়ি করবেন না । অনেকেই টাকা দিয়ে বছরের পর বছর অপেক্ষা করে ই টাইপ বাসা পাওয়ার জন্য।আপনি অপেক্ষা করেন , সময় সুযোগ হইলে টাকা দিয়ে দেব । কাউকে বলাবলি করিয়েন না। আমি এমপি সাহেবের লোক । ওই কথা শুনিয়া টাকা পাওয়ার অপেক্ষায় রইলাম। আমি বিষয়টি সুনামগঞ্জ ৫ আসনের এমপি মহোদয় এবং দেশবাসীর কাছে বিচার দিলাম। আমার এই পোস্ট টি সারা দেশ ও বিশ্ব দেখবে এমন কি শিল্প সচিব মিসেস জাকিয়া সুলতানা নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলার চৌগ্রাম ইউনিয়নের জন্মসূত্রে বাসিন্দা। তিনিও দেখবেন আশা করি। দয়া করে আমার ফ্রেন্ডলিস্ট বন্ধুরা বিনীত অনুরোধ রাখছি বেশি বেশি লাইক, কমেন্ট ও শেয়ার করে রক্ষক যখন ভক্ষকের চরিত্র ধারণ করে তা বিশ্ববাসীকে জানিয়ে দিন।বিলম্ব হলেও ন্যায় বিচার পাবো ইনশাল্লাহ । সত্য প্রতিষ্ঠিত মিথ্যা পরাজিত। সময়ের অপেক্ষায় রইলাম।
Leave a Reply