হে পুরুষ, বেশ্যার দরজায় তুমি খুব আস্তে করে টোকা দিয়ে সদর্পে খরচ করে এসেছো বিশ্বাস। বাবা হয়ে রাতে ঘরে ফিরে পুত্রের কপালে চুমু খেয়েছো অতি আদরে। স্ত্রীর পাশে শুয়ে বন্ধুর চরিত্রহীন হবার গল্প শুনিয়েছো আয়েশে।
প্রকারান্তে নিজেকে সাধু প্রমানের চেষ্টা। স্ত্রীর মতামতের অপেক্ষা না করে ভরপুর চোখে তাকিয়ে বলেছিলে – “বলতো বৌ, মানুষ কেন এগুলো করে? কিভাবে পারে?”
অগাধ বিশ্বাস নিয়ে স্ত্রী বললো-“মানুষ যখন অমানুষ হয়, তখনি কেবল সম্ভব……”।।
তখন একটি টিকটিকি তার সঙ্গীকে টিক টিক করে ডেকে ডেকে আবহ্বান করছিল। তাই শুনে পুরুষ তুমি বল্লে-“হুম ঠিক তাই। এ যেন অনুর্বর ফসলহীন জমিতে মৌসুমি বিশ্বাসের হাওয়া লাগানোর চেষ্টা……
পুরুষ, তুমি অন্যের স্ত্রীর বুক থেকে সরিয়ে নিলে আঁচল। সুনিপুণ ভঙ্গিতে তুলনা করে চললে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের বর্ননা।
প্যাক প্যাক মাতলামো আর লাল লাল ঠোঁটের সৈকত পেরিয়ে পুরুষ তুমি ঘরে ফিরলে। স্ত্রীটি বুঝতেও পারলো না যে, তোমার ঠোঁটে অসংখ্যবার বেঁচা-কেনা হয়ে গিয়েছে সহস্র চুমু।
বাড়ির কাজের মেয়েটিকে যেদিন দু’শো টাকা অতিরিক্ত দিয়েছিলে, সেদিন মেয়েটি খুব খুশীই হয়েছিল। তোমার মধ্যে দেখেছিল পিতার ছায়া। অথচ তোমারই দেওয়া ঘুমের ঔষধ খেয়ে ঘুমানো স্ত্রীর পাশ থেকে তুমি চুপিচুপি উঠে পড়লে মেয়েটির উপর। অসহায় কাজের মেয়েটা চিৎকারটাও করতে পারেনি ঠিকমতো……. !!!
দু’শো টাকার চাপটা সেদিন বোধ হয় একটু বেশিই দিয়েছিলে তাকে। পরদিন থেকে মেয়েটি কাজে আসেনি আর।
এর পরদিন স্ত্রীর সাথে কাজের মেয়ে প্রসঙ্গ আসতেই পুরুষ তুমি বললে “কাজের মেয়েদের বিশ্বাস নেই। ভালো করে দেখো তো জিনিসপত্র সব আছে কি না…… !!??”
স্ত্রী বললো,-“তা ঠিক৷”
তখনও একটি টিকটিকি ডাকছিল তার সঙ্গীটিকে। আর তুমিও আঙ্গুল ফুটাতে ফুটাতে বললে-“হুম ঠিক ঠিক….”
গত সপ্তাহে অফিসের ট্যুর বলে মহিলা কলিগকে নিয়ে কক্সবাজারে কাটিয়ে এলে সুন্দর সময়৷ ফেরার পথে স্ত্রী আর সন্তানকে ভোলাতে ওদের জন্য গিফট কিনতেও ভোলোনি৷ নিজের মন ঠিকই জানে, তুমি হারিয়েছো বিশ্বাস। আর এই অমূল্য সম্পদ হারিয়ে পুরুষ তুমি হয়েছো চরিত্রহীন৷
তাতে কি, কেউ তো জানে না…….।।
একদিন তোমার এক বন্ধু তোমার খোঁজে ফোন দিয়েছিল তোমার স্ত্রীকে। আর তখনই তোমার বন্ধুর মধ্যেও নিজের ছায়াটা দেখতে পেলে একই ভাবে। পুরুষ তুমিও তখন ভুল বুঝলে নিজের সতী-স্বাদ্ধী স্ত্রীকে।
সাথে সাথেই পুরুষ তুমি তোমার স্ত্রীকে বললে -“হবেই তো, তোদের কি নতুন নতুন না হলে চলে….. !!? কবে থেকে চলছে এসব…… “??
স্ত্রীকে অভিযুক্ত করতে তোমার একটুও দ্বিধা হয়নি। কারণ তুমি জানো, তুমি নিজেই অবিশ্বাসী এবং চরিত্রহীন। অথচ তোমার ঐ বন্ধুটিও তোমারই মতো৷ তাই খুব সহজেই দু’য়ে দু’য়ে চার মিলিয়ে ফেললে। পুরুষ তুমি বুঝতেই পারছো না, নিজেকে ডুবিয়ে রেখেছো নিকষ কালো অন্ধকারে…… !!!
হে পুরুষ! তুমি যা করছো, তা যতো গোপনেই করো না কেন, সেটা কিন্তু লিপিবদ্ধ হচ্ছে তোমার সৃষ্টিকর্তার কাছে৷ তোমার প্রতিটি ভালো এবং খারাপ কাজগুলো প্রকাশ হবে একদিন এবং সেদিন তুমি এর প্রতিদানও পাবে।
হে পুরুষ! তুমি আলোকিত করো নিজেকে। তাহলেই আলোকিত হবে তোমার পরিবার, গোটা সমাজ, গোটা দেশ তথা গোটা বিশ্ব। এ তোমার বিশাল দায়িত্ব…..
Leave a Reply