জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পোলিং কর্মকতা নিয়োগে ব্যাপক দুনীতি ও অনিয়মের অভিযোগ
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি,
ডিজিটাল নিয়মনীতি ইভিএম পদ্ধতিতে নির্বাচন হচ্ছেন সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার নিবাচন অফিসার ও রিটানিং কর্মকতার বিরুদ্ধে নির্বাচনে পোলিং অফিসার নিয়োগে ব্যাপক দুনীতি ও অনিয়মের অভিযোগসহ নিরপেক্ষতা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। এ ঘটনায় জেলাজুড়েই চলছে আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় বইছে।
জানা যায়,সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পোলিং অফিসার নিয়োগের নামে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ করেছেন ছাতকের টেনিং প্রাপ্ত শিক্ষক শিক্ষিকারা।
ছাতক উপজেলা থেকে নির্বাচিত পোলিং অফিসার নিয়োগের নির্বাচনী প্রশিক্ষণের চিঠি দেয়ার হয়। কিছু সংখ্যক শিক্ষিকা মাতৃত্ব ছুটি, চিকিৎসা ছুটি নিয়ে দেশ বিদেশে কেউ কেউ ডিপিএড প্রশিক্ষণে বা অন্য অসুবিধার কারণে অপারগতা প্রকাশ করেছিল। যারা স্বেচ্ছায় নির্বাচনী ডিউটি করতে ইচ্ছুক, তাঁদেরকে নাম দেয়ার জন্য বলা হয়। অতঃপর কিছু সংখ্যক শিক্ষকের নাম সমন্বয় করে ছাতক উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকতার সুপারিশ ক্রমে জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাচন অফিসে ইমেইল করে তালিকা পাঠানো হয়।
তার এ তালিকা মতো উপজেলা নির্বাচন অফিসার, জগন্নাথপুরকে অবগত করা হলে তিনি যথাসময়ে নিবাচন প্রশিক্ষনে ছাতক উপজেলার শিক্ষক ও শিক্ষিকারা অংশগ্রহণ করার অনুরোধ করেন। তার নতুন তালিকা অনুযায়ী – তাঁরা নিচাচনী টেনিং প্রশিক্ষন ও নেননি। এসব শিক্ষক নিবাচনী টেনিং প্রশিক্ষণ করার পর ও তাঁদের নাম নির্বাচনি ডিউটির তালিকা থেকে টাকার বিনিময় বাদ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনী প্রশিক্ষণের মূল চিঠিতে তাদের নাম ছিলো না। অবশেষে
যারা নিবাচনী টেনিং ও প্রশিক্ষণ করেননি তাদের নাম নির্বাচনী ডিউটিল তালিকায় রয়েছে।
এ অনিয়মের ঘটনায় নির্বাচন কর্মকর্তার স্বজনপ্রীতি ও দুনীতি করার এমন আচরণে ব্যাপক ক্ষুব্ধ ছাতক উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সহ শিক্ষক শিক্ষিকারা।তাদের দাবী হচ্ছে টাকার বিনিময়ে এক শ্রেণির দালাল শিক্ষকদের মাধ্যমে এঅনিয়ম করেছেন নিবাচন অফিসের কর্মকতা কর্মচারিরা।
ছাতক উপজেলার যে সব শিক্ষক ট্রেনিং ছাড়াই নির্বাচনে পোলিং অফিসার নিয়োগ করেছেন দুনীতিবাজ নিবাচন কমিশন। তারা হলেন শ্যামনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক পংকজ দত্ত, শহিদুল ইসলাম,বেরাজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বসু মালাকার,মোল্লাআতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবু তাহের,ভূইগাও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মিছবা উদ্দীন, তাতিকোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক প্রনব দাস সহ প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষক ব্যাপক অনিয়মের মাধ্যমে নিয়োগ করেছেন।
এব্যাপারে ছাতক উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা
ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা মাসুম মিয়া এ অনিয়মের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন তার স্বাক্ষরিত যে তালিকা দিয়েছে ওই তালিকার সব শিক্ষকই নির্বাচনী ট্রেনিং গ্রহন করেছেন। কিন্তু নিবাচনী দিন ডিউটির চিঠিতে তাদের নাম বাদ দিয়ে ট্রেনিং ছাড়াই শিক্ষকদের কে ডিউটি দেয়া হয়। এ অনিয়মের ঘটনাটি
নিয়ে খুবই শ্রীঘই ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকতার সঙ্গে জরুরী সভা কবরেন বলে নিশ্চিত করেন তিনি। নির্বাচনী ডিউটি নিয়ে একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে এসব ডিউটি দেয়া হচ্ছে বলে এ প্রতিনিধিকে নিশ্চিত করেছেন।
এব্যাপারে জেলা নিবাচন কর্মকতা সিলেট ও রিটানিং অফিসার মোহাম্মদ শুকুর মাহমুদ মিঞা তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন নিবাচনী টেনিং ছাড়াই কাউকে তিনি পোলিং অফিসার নিয়োগ করেনি। ##
Leave a Reply