ছাতক (সুনামগঞ্জ)প্রতিনিধি,
বাংলাদেশ দলিল লিখক সমিতি ছাতক উপজেলা শাখার সভাপতি গিয়াস উদ্দিন তালুকদারসহ নেতৃবৃন্দের সাথে পৌরসভার মেয়র আবুল কালাম চৌধুরীর বড় ভাই কামাল চৌধুরীর অসৌজন্য মূলক আচরণ এর বিরোধ নিস্পত্তি হয়েছে।
গত রোববার বিকালে ছাতক পৌর শহরের একটি চায়নিজ রেস্তুরায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ বিষয়টি নিস্পত্তি হয়। বাংলাদেশ দলিল লিখক সমিতির কেন্দ্রিয় সিনিয়র সহ-সভাপতি প্রদীপ পাল নিতাই এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ছাতক দলিল লিখক সমিতির সভাপতি গিয়াস উদ্দিন তালুকদার, ছাতক সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, ছাতক পাথর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ফজলু চৌধুরী, ছাতকবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ইলিয়াছ মিয়া চৌধুরী, পৌর মেয়র আবুল কালাম চৌধুরীর ছোট ভাই শাহিন চৌধুরী, সুনামগঞ্জ দলিল লিখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও ছাতক সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শাহাজুল ইসলাম, দোহালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী আনোয়ার মিয়া আনু, ছাতক দলিল লিখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রঞ্জন কুমার দাস, মুহিবুল হক, ওয়াছির আলী, হিফজুল বারী শিমুল, নজরুল আলম তালুকদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিষয়টি নিস্পত্তি হওয়ায় দলিল লিখক সমিতির দেয়া (১ মার্চ) থেকে অনির্দিষ্টকালের কলম বিরতি তারা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। কলম বিরতি প্রত্যাহারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন উপজেলা দলিল লিখক সমিতির সভাপতি গিয়াস উদ্দিন তালুকদার ও সাধারণ সম্পাদক রঞ্জন কুমার দাস।
প্রসঙ্গত, গত ৭ ফেব্রুয়ারি কামাল চৌধুরী সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে এসে সাব-রেজিস্ট্রার ও অফিস সহকারীর সাথে অশোভন আচরণ করেন। এতে তারা বিব্রতবোধ ও নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে পরে তিনি জেলা রেজিস্ট্রারের কাছে ছাতক অফিসে বিভিন্ন দুর্নীতি হচ্ছে মৌখিকভাবে এমন অভিযোগ দেন। মৌখিক এ অভিযোগে গত ১৪ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি জেলা রেজিস্ট্রার মফিজুর রহমান ছাতক অফিসে এসে তদন্ত করে এসবের কোনো সত্যতা পাননি। পরে গত (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টার দিকে আবারও সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে আসেন কামাল চৌধুরী। তিনি সাব-রেজিস্ট্রারের খাস কামরায় বসে দলিল লিখক সমিতির সদস্যদের সাথে টেবিল চাঁপড়িয়ে অসৌজন্যমূলক আচরণসহ অশালীন গালা-গাল করেন। দলিল লিখকদের লাঞ্চিত করে সরকারি কাজে বাঁধা প্রদানের ঘটনায় তাৎক্ষনিক বাংলাদেশ দলিল লিখক সমিতি ছাতক শাখার এক জরুরি সভা সমিতির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। এ সভায় (১ মার্চ) থেকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য কলম বিরতি পালনের সিদ্ধান্ত নিয়ে তারা তাদের কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন।
Leave a Reply