সুনামগঞ্জ-৫ আসনে মানুষের দ্বারে দ্বারে ধানের শীষের বার্তা পৌঁছে দিচ্ছেন কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন
ছাতক (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জ-৫ (ছাতক-দোয়ারাবাজার) আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে তিনবারের সাবেক সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন আহমদ মিলনের নাম ঘোষণার পর স্থানীয় রাজনীতিতে সৃষ্টি হয়েছে নতুন আলোড়ন। দীর্ঘদিন স্থবির থাকা বিএনপির রাজনীতিতে যেন ফিরে এসেছে প্রাণচাঞ্চল্য ও একতার সুর। নেতাকর্মীদের মাঝে দেখা যাচ্ছে নতুন উদ্দীপনা—মানুষের দ্বারে দ্বারে পৌঁছে দিচ্ছেন ধানের শীষের বার্তা।
দলের দুঃসময়েও যিনি সংগঠনের হাল ধরে রেখেছিলেন, রাজপথে ছিলেন সক্রিয়, নেতাকর্মীদের সাহস দিয়েছেন—তিনি হলেন কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন। আন্দোলনের সময় থেকেছেন সামনের সারিতে, আর শান্তির সময় সংগঠন পুনর্গঠনে ছিলেন অবিচল। তাঁর নেতৃত্বেই একসময় ছাতক-দোয়ারাবাজার ছিল বিএনপির অন্যতম শক্ত ঘাঁটি।
২০০১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী প্রার্থী মুহিবুর রহমান মানিককে বিপুল ভোটে পরাজিত করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। সেই সময় মিলনের প্রচেষ্টায় শুরু হয় গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন প্রকল্পের বাস্তবায়ন—এর মধ্যে অন্যতম ছাতক সুরমা নদীর সেতু নির্মাণ, যা আজও দুই উপজেলার মানুষের জীবনযাত্রায় যুগান্তকারী পরিবর্তন এনেছে।
২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির পরাজয়ের ঢেউ সুনামগঞ্জেও আছড়ে পড়ে, তবুও কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন প্রায় এক লাখ ভোট পেয়ে প্রমাণ করেছিলেন জনগণের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক। পরাজয়ের পরও তিনি রাজনীতি থেকে মুখ ফিরিয়ে নেননি; বরং দমন-পীড়নের কঠিন সময়েও থেকেছেন মাঠে, সংগঠনের পাশে। ২০১৮ সালের নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্তে প্রার্থী না হয়েও তিনি ঐক্যের বার্তা দিয়ে নেতাকর্মীদের মন জয় করেন।
আজ আবারও সেই ঐক্যের প্রতীক হয়ে উঠেছেন তিনি। সুনামগঞ্জ-৫ আসনের রাজনীতিতে এখন আলোচনা একটাই—কলিম উদ্দিন আহমদ মিলনের প্রত্যাবর্তন এবং তাঁর নেতৃত্বে নতুন রাজনৈতিক জাগরণ।
দলীয় ঐক্যের নতুন সূর্যোদয় বিএনপির ছাতক পৌর কমিটির আহ্বায়ক সামছুল ইসলাম সামছু বলেন,“দীর্ঘ ১৬ বছর পর ছাতক-দোয়ারাবাজারে বিএনপি এক কণ্ঠে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। এখন বিভাজনের রাজনীতি নয়, আমরা সবাই এক লক্ষ্যেই কাজ করছি—মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনা ও উন্নয়নের রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করা।”
পৌর কমিটির যুগ্ম সম্পাদক শামছুর রহমান বলেন,“মিলন ভাইয়ের নেতৃত্বেই আমাদের সংগঠনে প্রাণ ফিরে এসেছে। যিনি দলের দুঃসময়েও মাঠে ছিলেন, তিনিই আজ আশার প্রতীক হয়ে উঠেছেন।”এই ঐক্যের প্রভাব এখন দৃশ্যমান প্রতিটি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে। নেতাকর্মীরা ঘরে ঘরে গিয়ে ধানের শীষের বার্তা পৌঁছে দিচ্ছেন। পোস্টার-ব্যানারে মুখরিত বাজার, উঠান বৈঠকে ভিড় বাড়ছে।
অনেকদিন পর বিএনপি নেতাকর্মীদের মুখে হাসি ফুটেছে।মাঠে মানুষের ভরসার নাম ‘মিলন’বর্তমানে আওয়ামী লীগের দুর্বল সাংগঠনিক তৎপরতার সুযোগে মাঠে নেমেছেন কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন দ্বিগুণ উদ্যমে। প্রতিটি ইউনিয়নে ঘুরে দেখছেন মানুষের বাস্তব সমস্যা। কোথাও ভাঙা রাস্তা, কোথাও অবহেলিত স্কুল, কোথাও কৃষকের ন্যায্য দাম না পাওয়া—সবকিছুই তিনি নোট করে রাখছেন।
তাঁর বক্তব্যে স্পষ্ট একটি দর্শন—“ভোট শুধু প্রতীক নয়, এটি মানুষের আস্থা। সেই আস্থা অর্জনের পথ হলো মানুষের কষ্ট বোঝা।”এই দর্শন থেকেই তিনি শুরু করেছেন “কেমন ছাতক-দোয়ারাবাজার চাই?” নামের একটি উদ্যোগ। এতে মানুষের মতামত নিচ্ছেন অনলাইন ও মাঠ পর্যায়ে। কৃষক, শ্রমিক, নারী, তরুণ—সব শ্রেণির মানুষ তাঁদের স্বপ্ন জানাচ্ছেন। কেউ বলছেন শিক্ষার উন্নয়নের কথা, কেউ নদীভাঙন রোধে স্থায়ী সমাধান চান, কেউ বা স্বাস্থ্যসেবায় সহজলভ্যতা আশা করছেন।
একজন কৃষক সাজ্জাদ আহমদ বলেন,“মিলন সাহেব মাঠে এসে আমাদের সমস্যার কথা শোনেন। তিনি শুধু নেতা নন, আমাদের আত্মার মানুষ।”তরুণদের রাজনীতিতে নতুন আশা
বিশেষ করে তরুণ ভোটারদের নিয়ে কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন গড়ে তুলছেন নতুন ভাবনা। প্রতিটি উঠান বৈঠকে তরুণদের অংশগ্রহণ বাড়ছে। তিনি তরুণদের কাছ থেকে শুনছেন তাদের শিক্ষা, কর্মসংস্থান ও প্রযুক্তি-নির্ভর ভবিষ্যতের স্বপ্ন।
তরুণদের উদ্দেশে মিলনের ঘোষণা,“তরুণদের স্বপ্নই হবে নতুন সুনামগঞ্জ-৫-এর রূপরেখা। আমি চাই এমন একটি ছাতক-দোয়ারাবাজার, যেখানে কোনো তরুণ বেকার থাকবে না, যেখানে সবাই নিজের মাটিতেই কাজের সুযোগ পাবে।”
তরুণদের জন্য তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আইটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, খেলাধুলার মাঠ সম্প্রসারণ ও স্থানীয় শিল্পে কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়ানোর। উন্নয়নের স্বপ্ন ও রাজনৈতিক দর্শন রাজনীতি তাঁর কাছে ক্ষমতা নয়, দায়িত্ব। কলিম উদ্দিন আহমদ মিলনের কথায়—“আমি রাজনীতি করি মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য, নিজের গৌরবের জন্য নয়। উন্নয়ন মানে কংক্রিট নয়, উন্নয়ন মানে মানুষ।”
তাঁর পরিকল্পনা অনুযায়ী ছাতকদোয়ারাবাজারকে একটি পরিকল্পিত উন্নয়নের মডেল অঞ্চল হিসেবে গড়ে তুলতে চান। কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, শিল্প ও অবকাঠামো—সবক্ষেত্রে জনগণের চাহিদা অনুযায়ী তিনি তৈরি করছেন একটি দীর্ঘমেয়াদি রূপরেখা। স্থানীয় রাজনীতিতে পর্যবেক্ষকরা বলছেন, মিলনের নেতৃত্বে বিএনপি এখন নতুন করে আশা দেখতে শুরু করেছে। তাঁর জনপ্রিয়তা কেবল রাজনীতির মাঠেই নয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়েছে।
জনতার ভালোবাসায় এগিয়ে চলছে ধানের শীষের বার্তা দিনের পর দিন মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে ধানের শীষের বার্তা পৌঁছে দিচ্ছেন নেতাকর্মীরা। পাহাড়ি পথ, নদীপাড়, হাট-বাজার—সবখানে একটাই প্রতিধ্বনি—“মিলন ভাই আসছেন।”
একজন তরুণ ভোটার বলেন,“আমরা পরিবর্তন চাই, উন্নয়ন চাই, আর সেই পরিবর্তনের নেতৃত্ব দিতে পারেন কেবল কলিম উদ্দিন মিলন ভাই।”ছাতক ও দোয়ারাবাজারের মানুষের মুখে এখন নতুন আশার গল্প।
দীর্ঘ হতাশার পর যেন রাজনীতিতে ফিরছে আলো। মানুষ বিশ্বাস করছে—যদি নেতৃত্বে থাকেন কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন, তবে আবারও ছাতক-দোয়ারাবাজার হবে উন্নয়ন ও ঐক্যের প্রতীক।শেষ কথায় মিলন বলেন,“জনগণের ভাবনা থেকেই গড়া হবে পরিকল্পিত ছাতক-দোয়ারাবাজার। আমি বিশ্বাস করি, মানুষ যদি চায়, পরিবর্তন আসবেই।”
Leave a Reply