1. abuwakkas19@gmail.com : Abuwakkas :
  2. jprfvmma@mailkv.com : adriannesherriff :
  3. mrsdasiacasper1514@mailbab.com : bellewolff67 :
  4. rpop-test88@pocebo.ga : bettyeblodgett :
  5. barrettwilkin@qiott.com : bradfordnanya :
  6. admin@chhataknews24.com : admin :
  7. chelseatenney3055@1secmail.com : cletatye8701527 :
  8. marcosmann1266@mailbays.com : deeledger837115 :
  9. donniemeece@1secmail.org : dustinfalk647 :
  10. menmuqad@maillsk.com : ellietelfer3109 :
  11. kinglow@1secmail.org : helentorrence04 :
  12. josephtaylor696m6iz@b.gsasearchengineranker.com : jaimehartley :
  13. eulakirkwood5698@tokyoto.site : jefferyodriscoll :
  14. vedapost@1secmail.net : jolenerignall28 :
  15. theronwildman5056@1secmail.net : jonihartmann :
  16. carissajonathan8844@dcctb.com : kathringulley :
  17. uwvvdsuk@maillsk.com : katrinafuentes5 :
  18. makaylaadamsdds1576@mailbays.com : libbycato97 :
  19. louise_leavens-2935@smass.store : louiseleavens58 :
  20. troi@tolink.pw : ltbwyatt689 :
  21. profmalachistoltenberg1640@mailbab.com : martybussey1 :
  22. mohammedajijurrahman17@gmail.com : Ajij Ur Rahman : Mohammed Ajij Ur Rahman
  23. abj@poochta.ru : nataliafiedler :
  24. barrettgascoigne@1secmail.org : nathanielcremor :
  25. lachlanperryman5472@1secmail.org : ndejoseph2991 :
  26. rajikul.islam95@gmail.com : Rajikul Islam :
  27. clinton996712@mybestemailproviders.com : raymondchildress :
  28. sar4u.tk@gmail.com : rony :
  29. ambermosier@1secmail.org : serenascully :
  30. hz_hadrius_ecdicius@tb-ndfl1.ru : sherlyncaraballo :
  31. susanspaull1654@1secmail.com : soila66u537815 :
সিলেট নগরের জলাবদ্ধতা:দেড় যুগের প্রকল্প—হাজার কোটি টাকা ব্যয়, তবুও নাগরিক ভোগান্তি বহমান - ছাতক নিউজ ২৪ ডট কম
বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:৪৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
একই ফ্লাইটে তারেক রহমানের সঙ্গে দেশে ফিরছেন সুনামগঞ্জের আকিকুর রহমান ছাতকে শীতার্ত মানুষের মাঝে আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের তিনশতা‌ধিক কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠিত ছাতকে নাশকতার অভিযোগে আ.লীগ–যুবলীগের ৩ নেতা গ্রেপ্তার ছাতকে কলিম উদ্দিন আহমেদ মিলনের সমর্থনে উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত ছাতকে ডেভিলহান্ট অভিযানে আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার সিলেট বিভাগ জাতীয়তাবাদী ফোরামের আংশিক পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন প্রবাসে প্রতিষ্ঠিত এক স্বাবলম্বী নারীর জীবনসঙ্গী অনুসন্ধান বিশ্বাস, সততা ও সম্মান—সম্পর্কের এক নতুন দৃষ্টিভঙ্গি ছাতকে পিডিবির সহকারী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে কোটি টাকার ঘুষ-বাণিজ্য মিটার লক-খোলা থেকে লাইন সংস্কার—সবখানেই দালালচক্রের দৌরাত্ম্য সুনামগঞ্জ ৫ বিএনপি প্রার্থী কলিম উদ্দিন আহমেদ মিলনের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ একজন বিপ্লবী কবির মৃত্যু নেই

সিলেট নগরের জলাবদ্ধতা:দেড় যুগের প্রকল্প—হাজার কোটি টাকা ব্যয়, তবুও নাগরিক ভোগান্তি বহমান

  • Update Time : বুধবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৫
  • ৭২ বার ভিউ

সিলেট নগরের জলাবদ্ধতা:দেড় যুগের প্রকল্প—হাজার কোটি টাকা ব্যয়, তবুও নাগরিক ভোগান্তি বহমান

সিলেট ব্যুরো:
সিলেট নগরের দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতা সমস্যা নিরসনে দেড় যুগে একের পর এক প্রকল্প নেওয়া হলেও এর কার্যকারিতা ও বাস্তবায়ন নিয়ে বড় প্রশ্ন তুলেছেন সিলেট-১ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ও দলের চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির। তার অভিযোগ—দীর্ঘ সময় ধরে বিপুল অর্থ বরাদ্দের পরও নগরবাসী প্রত্যাশিত সুফল পায়নি; বরং জলাবদ্ধতা সংকট দিন দিন আরও প্রকট হয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অনলাইন সংবাদমাধ্যম সিলেটটুডে-এর নির্বাচনকেন্দ্রিক নিয়মিত আয়োজন ‘রোড টু ইলেকশন’-এ অংশ নিয়ে তিনি এসব মন্তব্য করেন। সেখানে নগরের অব্যবস্থাপনা, ব্যর্থ প্রকল্প, খাল উদ্ধার না হওয়া, ড্রেনেজ ব্যবস্থার বেহাল দশা এবং সড়ক অবকাঠামোর ভগ্নদশা নিয়ে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। “১৫–১৬ বছরে দৃশ্যমান উন্নয়ন নেই”—খন্দকার মুক্তাদির কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে খন্দকার মুক্তাদির বলেন,“গত আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫–১৬ বছরে সিলেটে দৃশ্যমান কোনো উন্নয়ন হয়নি। বরং নগরের জলাবদ্ধতার অবস্থা এখন আরও ভয়াবহ। বৃষ্টির কিছুক্ষণেই নগরের রাস্তাঘাট ডুবে যায়। মানুষকে ঘন্টার পর ঘন্টা কষ্ট পোহাতে হয়। অথচ জলাবদ্ধতা নিরসনে হাজার কোটি টাকা ব্যয় দেখানো হয়েছে।”

উপস্থাপক তাকে প্রশ্ন করেন, এই দীর্ঘ সময়ে প্রায় ১০ বছর সিসিকের মেয়র ছিলেন বিএনপির আরেক প্রভাবশালী নেতা আরিফুল হক চৌধুরী—এ পরিস্থিতির জন্য কি তিনিও দায়ী নন? জবাবে তিনি বলেন,কে মেয়র ছিলেন বা ছিলেন না—এটা মূল প্রশ্ন নয়। নগরের উন্নয়নে সমন্বিত পরিকল্পনা প্রয়োজন, যা সরকারের পক্ষ থেকে নেয়া হয়নি। নগর সমস্যার সমাধান কেবল মেয়রের কাজ নয়; সরকারের বড় পরিসরের পরিকল্পনা ছাড়া এমন জটিল সমস্যার সমাধান অসম্ভব।”খাল উদ্ধারে ব্যর্থতা—“কোনো খাল উদ্ধার হয়েছে জানি না”জলাবদ্ধতার অন্যতম বড় কারণ হিসেবে খাল দখল ও নজরদারির অভাবকে উল্লেখ করেন খন্দকার মুক্তাদির।
তিনি বলেন,এতো বড় অংকের টাকা বরাদ্দ হলো, কিন্তু কোন প্রাকৃতিক খাল উদ্ধার হয়েছে—এমন তথ্য আমার জানা নেই। নগরের ১১টি প্রাকৃতিক ছড়া ও ১৬টি শাখা ছড়া রয়েছে, এসবের বেশিরভাগই দখল হয়ে গেছে। খাল না থাকলে পানি যাবে কোথায়? ড্রেন হাজার কিলোমিটার বানালেও খাল উন্মুক্ত না থাকলে জলাবদ্ধতা থেকেই যাবে।”
তার দাবি, সিলেটের খালগুলোকে পুনরুদ্ধার না করে ড্রেন নির্মাণ ও খননের নামে বছরের পর বছর প্রকল্প নেয়া হয়েছে, যা কার্যত টেকসই সমাধান দেয়নি।
ড্রেনেজ ব্যবস্থার অবনতির অভিযোগ খন্দকার মুক্তাদির আরও বলেন,“নগরের ড্রেনেজ ব্যবস্থা একেবারেই অকার্যকর হয়ে পড়েছে। অধিকাংশ ড্রেন ভরাট, অসংলগ্ন এবং সংযুক্ত নয়। বৃষ্টিপাতের পর কিছু ড্রেন দিয়ে পানি নামলেও তা দ্রুত আটকে যায়। অনিয়ম, দুর্নীতি আর অপরিকল্পিত বাস্তবায়নের জন্য আজ নগরবাসীকে চরম মূল্য দিতে হচ্ছে। তার মন্তব্য—খাল পুনরুদ্ধার ছাড়া ড্রেনেজ উন্নয়ন কখনোই কার্যকর হবে না।
একইসাথে তিনি অভিযোগ করেন, খাওয়ার পানি এবং ব্যবহারযোগ্য পানির সংকটও দিন দিন বাড়ছে, যা সিলেটে বাসযোগ্য পরিবেশকে আরও সংকটে ফেলেছে। রাস্তা–ঘাটের বেহাল অবস্থা আলোচনায় তিনি সড়ক ব্যবস্থার দুরাবস্থার চিত্রও তুলে ধরেন। নগরের অনেক রাস্তাই বছরের পর বছর ভাঙা পড়ে আছে। বিশেষ করে সিসিকের বর্ধিত এলাকায় সড়ক পরিস্থিতি সবচেয়ে ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছেছে। কোনো ধরনের পরিকল্পনা ছাড়াই রাস্তা কাটা, মেরামতের নাম করে খোড়া-খোড়ি, একই সড়ক বারবার খনন—সব মিলিয়ে নগরবাসীর দৈনন্দিন চলাচল দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।”

নির্বাচিত হলে প্রথম কাজ—জলাবদ্ধতা নিরসন নিজের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি তুলে ধরে তিনি বলেন,আমি নির্বাচিত হলে জলাবদ্ধতা সমস্যাকে প্রথম অগ্রাধিকার দেব। সুরমা নদীর সঙ্গে সংযুক্ত খালগুলো উদ্ধার করতে হবে। সেই সুযোগ না থাকলে নতুন খাল খনন করা হবে। জলাবদ্ধতা নিরসন ছাড়া সিলেটকে আধুনিক নগরী হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব নয়।”
দেড় যুগে ১,৫০০ কোটি টাকার প্রকল্প—তবুও প্রত্যাশিত সমাধান নেই সিলেট সিটি করপোরেশনের হিসাব অনুযায়ী, গত ১৬–১৭ বছরে জলাবদ্ধতা নিরসনে নেওয়া বিভিন্ন প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে মোট প্রায় ১,৫০০ কোটি টাকা। কিন্তু এত বিপুল অর্থ ব্যয়ের পরও নগরবাসীর দুর্ভোগ বেড়েছে, কমেনি—যা নিয়ে শুরু থেকেই প্রশ্ন তুলছেন নগর পরিকল্পনাবিদ, পরিবেশবিদ ও সাধারণ নাগরিকরা।
নগরের প্রাকৃতিক জলপথ ১১টি প্রাকৃতিক ছড়া/খাল
১৬টি শাখা ছড়া মোট দৈর্ঘ্য প্রায় ১১০ কিলোমিটার
এ ছাড়াও রয়েছে— নালা–নর্দমা ৯৭০ কিলোমিটার, যার মধ্যে ৬০০+ কিলোমিটার পাকা এ বিশাল জলপথ ও ড্রেনেজ নেটওয়ার্কের সুষ্ঠু সমন্বয় না থাকায় জলাবদ্ধতা প্রতিনিয়ত প্রকট হচ্ছে। সালওয়ারি বরাদ্দ—কোথায় গেল এত টাকা?
গত দেড় যুগে ছোট-বড় মিলিয়ে একাধিক প্রকল্প নেওয়া হয়, যেগুলোর উল্লেখযোগ্য বরাদ্দ ছিল— ২০০৯ খাল খনন ও রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণ—১১ কোটি টাকা ২০১২ ২৭ ওয়ার্ডে ড্রেন নির্মাণ—৪৮ কোটি ৫০ লাখ ২০১৩ জলাবদ্ধতা নিরসন—২ কোটি ৭০ লাখ ২০১৪ ড্রেনেজ প্রকল্প—৭৯ কোটি ৮০ লাখ
২০১৫ খাল খনন প্রকল্প—১১ কোটি ২০১৬–২০১৯ বিভিন্ন প্রকল্প মিলিয়ে—২৩৬ কোটি২০১৯–২০২৩: প্রধান মেগা প্রকল্প
‘জলাবদ্ধতা নিরসন, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও অবকাঠামো নির্মাণ’ প্রকল্প মোট বরাদ্দ—১,২২৮ কোটি টাকা
বার্ষিক বরাদ্দ:২০১৯–২০: ২৬৯.৫০ কোটি২০২০–২১: ২৯৩.৫৯ কোটি ২০২১–২২: ২৯৮.৪৬ কোটি ২০২২–২৩: ৩৬৬.৪৬ কোটি যা নির্মিত হয়েছে ৩২৭ কিলোমিটার ড্রেন
৮ কিলোমিটার রিটেইনিং ওয়াল অপরিকল্পিত উন্নয়ন—বিশেষজ্ঞদের প্রশ্ন নগর পরিকল্পনাবিদ, পরিবেশ বিশেষজ্ঞ এবং নগরবাসী দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছেন—জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পগুলো ছিল অপরিকল্পিত, সমন্বয়হীন ও তড়িঘড়ি করে করা। প্রকল্প বাস্তবায়নের আগে নগরের ড্রেনেজ মাস্টারপ্ল্যান হালনাগাদ না হওয়া, খাল দখলমুক্ত না করা এবং সঠিক জরিপ ছাড়াই কাজ শুরু করাই আজকের ‘অকার্যকর উন্নয়নের’ মূল কারণ। বিশেষজ্ঞদের মতে—
খাল দখল উচ্ছেদ ছাড়া কখনোই জলাবদ্ধতা কমবে না
ড্রেন নির্মাণ হয়েছে, কিন্তু সেগুলো কোথায় গিয়ে মিশছে—সেই পরিকল্পনা নেই অনেক ড্রেন সরাসরি বন্ধ খালে গিয়ে শেষ হয়েছে, ফলে পানি নামছে না ভারী বর্ষণে ৩০–৪০ মিনিটেই নগরবাসীর রাস্তাঘাট পানির নিচে চলে যায় অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন—এসব প্রকল্প কি নগরের বাস্তব সংকট বিবেচনায় নেয়া হয়েছিল, নাকি শুধু খাতায়-কলমে উন্নয়ন দেখানোর জন্য ব্যয় হয়েছে? নগরবাসীর হতাশা—“প্রকল্প আসে, টাকা যায়, জলাবদ্ধতা থাকে” নগরবাসীর অভিযোগ, বছরের পর বছর ধরে বিভিন্ন নামের প্রকল্প নেওয়া হলেও দৃশ্যমান পরিবর্তন নেই। বরং— সামান্য বৃষ্টিতেই শহরের প্রধান সড়ক ডুবে যায় জলাবদ্ধতায় ঘন্টাব্যাপী যানজট তৈরি হয়
দোকানপাটে পানি ঢুকে ব্যবসায়ীদের লোকসান হয়
স্কুল–কলেজগামী শিক্ষার্থীরা চরম দুর্ভোগে পড়ে
বৃষ্টি হলে ঘর থেকে বের হওয়াই কঠিন হয়ে দাঁড়ায়
কিছু নাগরিকের ভাষায়—প্রকল্প আসে, টাকা যায়, কাজের কাজ কিছুই হয় না।”খন্দকার মুক্তাদিরের দাবি—“নতুন সমন্বিত পরিকল্পনা ছাড়া সমাধান নেই”সামগ্রিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে তিনি বলেন—“সিলেটের ড্রেনেজ ব্যবস্থা দীর্ঘদিন ধরে অকার্যকর। এই অবস্থায় নতুন করে সমন্বিত মাস্টারপ্ল্যান না করলে কোনো প্রকল্পই সফল হবে না। প্রথম ধাপেই খালগুলো উদ্ধার করতে হবে, দ্বিতীয় ধাপে নতুন খাল খনন ও সংযোগ ব্যবস্থা তৈরি করতে হবে এবং তৃতীয় ধাপে ড্রেন–ওভারফ্লো রোধে আধুনিক ড্রেনেজ নির্মাণ করতে হবে। সিলেট নগরের জলাবদ্ধতা আজ কেবল অবকাঠামোগত দুর্বলতার প্রতিফলন নয়; এটি দীর্ঘমেয়াদী অপরিকল্পিত নগর উন্নয়ন ও ব্যর্থ প্রকল্প বাস্তবায়নের ফল। দেড় যুগে প্রায় ১,৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ের পরও নগরবাসী ভোগান্তির চক্র থেকে মুক্তি পায়নি।
নগরবাসী এখন অপেক্ষা করছে— পরবর্তী জননেতা বা প্রশাসনের অধীনে নগরের জলাবদ্ধতা সমস্যা আদৌ কমবে, নাকি আগের মতোই কোটি কোটি টাকা খরচ হবে এবং বাস্তব পরিস্থিতি আগের মতোই থেকে যাবে?

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
error: Content is protected !!