সাবেক চেয়ারম্যান, শিল্পপতি আলহাজ্ব মোহাম্মদ গিয়াস মিয়া আর নেই
ছাতক (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
ছাতক উপজেলার ভাতগাঁও ইউনিয়নের দুইবারের
সাবেক চেয়ারম্যান,স্থানীয় সরকার কর্তৃক
স্বর্ণপদক প্রাপ্ত সাবেক শ্রেষ্ঠ ইউপি চেয়ারম্যান,
প্রবাসে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক,লন্ডন বাংলা
টাউন ক্যাশ এন্ড ক্যারি সুপার মার্কেটের পরিচালক,
ছাতক এডুকেশন ট্রাস্ট ইউকে’র প্রধান উপদেষ্টা, জাউয়াবাজার উপজেলা বাস্তবায়ন পরিষদের আহবায়ক,হায়দরপুর উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি’র সভাপতি,স্থগিতাদেশ ভাতগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আনারস প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থী,বিশিষ্ট শিল্পপতি,শিক্ষানুরাগী ও প্রবীণ
আওয়ামীলীগ নেতা আলহাজ্ব মোহাম্মদ গিয়াস মিয়া (৭০) আর নেই।(ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলাইহি রাজিউন)।
জানা যায়,আলহাজ্ব মোহাম্মদ গিয়াস মিয়া গত ২৫ শে এপ্রিল বিকেলে করোনাভাইরাসের উপসর্গ জ্বর,কাশি,শ্বাসকষ্ট, ফুসফুসে ক্র্যাপ্স নিয়ে কৈতক হাসপাতালে ভর্তি হন। শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হলে তাকে ২৫ শে এপ্রিল রাতে সিলেট মাউন্ট এডোরা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টে করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। দীর্ঘ ১৭ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর তিনি ১১ মে মঙ্গলবার রাতে ১২.২৫ টার দিকে সিলেট মাউন্ট এডোরা হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন।
আলহাজ্ব মোহাম্মদ গিয়াস মিয়া সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলার ভাতগাঁও ইউনিয়নের হায়দরপুর গ্রামের মৃত হাজী আলতাব আলী’র জৈষ্ঠ পুত্র।মৃত্যুকালে তিনি দুই ছেলে,এক মেয়ে,দুই স্ত্রীসহ অনেক শুভাকাঙ্ক্ষী,শুভানুধ্যায়ী,আত্মীয়
স্বজন,গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
তার জীবদ্দশায় ক্ষণজন্মা আলহাজ্ব মোহাম্মদ গিয়াস মিয়া জাউয়াবাজার ডিগ্রি কলেজ,শাহজালাল মহাবিদ্যালয়,ঝিগলী স্কুল এন্ড কলেজ,সমতা স্কুল এন্ড কলেজ,সাউথ ওয়েস্ট সালেহ আহমদ স্কুল এন্ড কলেজ,হায়দরপুর উচ্চ বিদ্যালয়,হায়দরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,হায়দরপুর হাফিজিয়া
মাদ্রাসা,বহু মসজিদসহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলো। এ ছাড়া তিনি অনেক প্রতিষ্টানে আর্থিক সহায়তা করে গেছেন। তার আর্থিক সহায়তায় অনেক গরীব মেধাবী শিক্ষার্থী পড়াশোনা চালিয়ে যেত ও অনেক গরীব অসহায় মানুষ স্বাভাবিক জীবনযাপন করতো।তিনি অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত মফস্বল এলাকার শিক্ষাবিস্তারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে গেছেন।তার মৃত্যুতে ছাতক উপজেলাজুড়েই শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
Leave a Reply