নভেম্বরের চেতনা ও জিয়ার গণতন্ত্র
নভেম্বরের হিমেল হাওয়া, ভোরের রক্তিম আলো,
বাংলার বুক জেগে ওঠে, ইতিহাসের ভালো-মন্দ পালো।৭ নভেম্বর—সেই দিনটি নয় কেবল ক্যালেন্ডারের তারিখ, এ এক জাতির আত্মমর্যাদার পুনর্জন্ম, আত্মবিশ্বাসের ঐতিহ্যিক।
সৈনিক-জনতা একসাথে, শপথ নিল মুক্তির তরে,
নির্ভীক হাতে উড়ল পতাকা, ভগ্ন জাতির ঘরে ঘরে।
অন্ধকারের গহ্বর পেরিয়ে সূর্য উঠল নতুন করে,
বাঁচল বাংলাদেশ, জাগল স্বাধীনতা—বীরদের ত্যাগের নীড়ে।সেইদিনের চিৎকারে ধ্বনিত হয়েছিল,“দেশ বাঁচাও, জাতি বাঁচাও”—
আর সেই আহ্বানের জবাবে উঠে দাঁড়ালেন এক সৈনিক—বাংলার সন্তান, শহীদ জিয়াউর রহমান!
তিনি ছিলেন শুধু সেনানায়ক নন,ছিলেন মানুষের মাঝে আশার প্রতীক। দুঃসময়ের ধূসর দিনে তিনি বলেছিলেন—“আমি জনগণের পাশে, আমি বাংলাদেশ।”গণতন্ত্রের বীজ তিনি বপন করেছিলেন
শোষিতের মাটিতে, কৃষকের ঘামে, শ্রমিকের ঘরে।
তিনি শিখিয়েছিলেন—ক্ষমতা নয়, দায়িত্বই রাজনীতির প্রাণ।তিনি গড়েছিলেন নতুন দিগন্ত—
যেখানে জাতির মর্যাদা ছিল মানুষের হাতে,
দলের হাতে নয়, প্রভুর হাতে নয়। নভেম্বরের বিপ্লব কেবল রক্তের নয়,এটা ছিল বিশ্বাসের পুনর্জাগরণ,
দেশপ্রেমের নবজন্ম,এক পতাকার তলায় ঐক্যের উচ্চারণ।সেই চেতনা আজও বেঁচে আছে প্রতিটি যুবকের দৃষ্টিতে, প্রতিটি বৃদ্ধের হৃদস্পন্দনে।
জিয়া শেখালেন—বাংলাদেশ মানে আত্মসম্মান,
বাংলাদেশ মানে স্বাধীন চিন্তা, স্বাধীন স্বপ্ন।
তিনি গণতন্ত্রকে দিলেন নতুন জীবন,যেখানে কথা বলার অধিকারই ছিল মুক্তির মানচিত্র।
আজও যখন কেউ বলে,“বাংলাদেশে গণতন্ত্র বিপন্ন,”তখন ইতিহাস চুপচাপ বলে ওঠে—
“তোমরা ভুলে গেছো নভেম্বরের জিয়া।”
তিনি আজ নেই, তবু তাঁর আদর্শ আছে—
বাতাসে ভেসে আসে তাঁর কণ্ঠস্বর,“দেশ আগে, দল পরে, জনগণই আসল শক্তি।”ওহে নভেম্বর,তুমি শুধু একটি দিন নও—
তুমি এক চেতনার নাম,যে চেতনা শেখায়—
দেশের মাটিতে জন্মানো প্রতিটি সৈনিকই
দেশমাতার জন্য প্রাণ দিতে প্রস্তুত।
জিয়ার চেতনা আজও অমলিন,যতদিন এই দেশের মাটিতে সূর্য ওঠে,ততদিন তাঁর নাম উচ্চারিত হবে স্বাধীনতার পাহারাদার হিসেবে—
এক বিপ্লবী সৈনিক, এক গণতন্ত্রের জনক,
এক বাংলাদেশ নামের স্বপ্নভূমির পুনর্জাগরণে
যিনি দিয়েছিলেন জীবন—আর রেখে গেছেন চেতনার অমর আলোক।
Leave a Reply