পরিবেশের দোহাই দিয়ে লাখো শ্রমিক-ব্যবসায়ীদের পেটে লাথি দিলেও সিলেটের গোয়াইনঘাটে বন্ধ হচ্ছেনা পাথরখেকোদের দৌরাত্ম ও পরিবেশ বিধ্বংসী লীলা। প্রভাব খাটিয়ে উপজেলার বৃহত্তর পাথর কোয়ারী জাফলংকে খাবলে খাচ্ছে ওরা। উপজেলার পাথর ব্যবসায়ীদের বড্ড নেতা কথিত সাংবাদিক এমরান হোসেন সুমন ওরফে জামাই সুমনই এই পাথরখেকোদের মূল হোতা। জামাই সুমন চক্রের আরেক হোতা ছাতকী আলাই। মন্ত্রীর একান্ত লোক পরিচয়ে আলাই এবং আলাইয়ের সহযোগী আতাই মেম্বার, পরিবহন শ্রমিক নেতা নামধারী ছমেদ ও বিশ্বনাথী ফয়জুল মিলে সরকারী নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে প্রতিদিনই পাথর উত্তোলন করছে। প্রত্যহ ৪০টিরও বেশি সিক্স সিলিন্ডার মেশিন (বিলাই মেশিন) দিয়ে পাথর উত্তোলন করে খাবলে খাচ্ছে জাফলং নদী,নদীতীর ও আশপাশের টিলা পাহাড়। পাশাপাশি জামাই সুমন ও তার চক্র প্রত্যহ আদায় করছে লাখ লাখ টাকা চাঁদা। দেশের প্রধান পর্যটন স্পট প্রকৃতির ষোড়শী কন্যা জাফলংকে কঙ্কাল বানিয়ে ফেললেও নিরব উপজেশা প্রশাসন ও গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ। কোন আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না পাথরখেকো আলাই চক্র ও চাঁদাবাজ জামাই সুমন চক্রের বিরুদ্ধে। ধ্বংস হচ্ছে ডাফলং,ধ্বংস হচ্ছে পরিবেশ ও প্রতিবেশ। আর শীতের খেতা মোড়ে ঘুমিয়ে নগদ নারায়ণ গুনছে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ।
এব্যাপারে জানতে চাইলে গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিলুর রহমান সাংবাদিকের মোবাইল ফোন রিসিভ করেন নি।
গোয়াইনঘাট থানার ওসি আব্দুল আহাদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন- জাফলংয়ে পাথর উত্তোলন বন্ধ রয়েছে। যারা বলে মেশিন দিয়ে পাথর উত্তোলন করা হচ্ছে তাদের বলে দিন তারাও যেন মেশিন নিয়ে নদীতে নেমে পড়ে।
Leave a Reply