ছাতকে রুনা-হামিদ সমাচার, কর্তৃপক্ষ নিরব
বিশেষ প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের, ছাতক কৃষি অফিসের অফিস সহায়ক রুনা বেগম এবং উপজেলায় দীর্ঘদিন এসএপিপিও হিসেবে দ্বায়িত্ব পালনকারী আব্দুল হামিদ অর্থের বিনিময়ে শিক্ষাগত যোগ্যতার জাল কাগজাত তৈরী করে উক্ত রুনা বেগমকে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে নিয়োগে সহায়তা সহ সুনামগঞ্জ ছাতক কৃষি অফিসে নিজ ছত্র ছায়ায় পোষ্টিং করিয়ে নিয়ে আসেন। তার পরবর্তীতে রুনা বেগম সহ কতিপয় দূর্নীতিবাজ কর্মচারীদের নিয়ে আব্দুল হামিদ অপকর্ম-দূর্নীতির বলয় তৈরী করেন। বিভিন্ন সরকারি সম্পদ আত্মসাৎ পূর্বক অবৈধ অর্থ-বিত্তে ফুলে ফেঁপে ওঠা আব্দুল হামিদ প্রভাব বিস্তারের জন্য ক্ষমতাধর বিভিন্ন মহলের সাথে যোগসাজশ সহ পেশাজীবি সংগঠনের পদবী ও ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ব্যক্তিকে হেনস্থা করতেও পিছপা হন নি। সুনামগঞ্জ জেলা ডিকেআইবি সংগঠনের সভাপতি সোহরাব হোসেন (এসএপিপিও) এবং সেক্রেটারি আসাদুল হক আসাদ তার অপকর্মের সহযোগী হিসেবে কাজ করছেন বলে জানা যায়।
রুনা বেগমের জাল সার্টিফিকেট সম্পর্কে আব্দুল হামিদ সাহেবের কাছে যথেষ্ট প্রমানাদির জেরে রুনার দূর্বলতার সুযোগে আব্দুল হামিদ সাহেব রুনার সাথে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তুলা সহ তার মতবিরুদ্ধ ব্যক্তিদের রুনা বেগমের সাথে জড়িয়ে মিথ্যা অপবাদ ও সম্পর্কের অভিযোগে জিম্মি করে অর্থ আদায় করে থাকেন। এইভাবে এ পর্যন্ত তিন জন কর্মকর্তা/কর্মচারীর কাছ থেকে মোটা অংকের চাঁদা আদায়ের মাধ্যমে নতুন অর্থ উপার্জনের সুকৌশল পেয়ে রুনা-হামিদরা আরোও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।আব্দুল হামিদ পদোন্নতি পেয়ে বদলী যোগে দোওয়ারা বাজার পোষ্টিং নেওয়ার পরেও তিনি তার অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন এবং রুনা বেগমের মাধ্যমে ছাতকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেই যাচ্ছেন। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক উপজেলার কয়েকজন কর্মচারীর সাথে আলাপ করে রুনা বেগমের বেপরোয়া চলাফেরা এবং অসামাজিক আচরণ সম্পর্কে সত্যতা জানা যায়। অভিযুক্ত আব্দুল হামিদ পদোন্নতি পেয়ে বর্তমানে দোওয়ারা বাজার উপজেলায় কর্মরত আছেন কিন্তু তিনি অফিস সময়ে দোয়ারা বাজার কার্যালয়ে অফিস না করে ছাতকে কৃষি কার্যালয়ের পাশে অবস্থান পূর্বক অফিসের বিভিন্ন দাপ্তরিক কাজে বিঘ্নতা সৃষ্টির অপপ্রয়াসে লিপ্ত থাকার জেরে দোয়ারা বাজারে অনুপস্থিতির জন্য সংশ্লিষ্ট উপজেলার কৃষি অফিসার এ বিষয়ে কৈফিয়ত তলবও করেছিলেন বলে জানা যায়। বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে সুনামগঞ্জ জেলা কৃষি বিভাগ এই বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মোঃ ইকবাল আজাদ (জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা, সুনামগঞ্জ) কে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন। বিগত ০২/১২/২০২০ খ্রিঃ তারিখে উক্ত তদন্ত কমিটি তাদের তদন্ত সম্পন্ন করলেও অজ্ঞাত কারনে তদন্ত কমিটির রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়নি। এ সংক্রান্ত বিষয়ে অভিযুক্ত আব্দুল হামিদ (এএইও) এবং রুনা বেগম(অফিস সহায়ক)এর সাথে আলাপ করলে তারা সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন, সুনামগঞ্জ জেলা ডিকেআইবি সভাপতি সোহরাব হোসেন (এসএপিপিও দোয়ারা বাজার)এর বিরোদ্ধে বিভিন্ন পোর্টালে প্রকাশিত দূর্নীতির অভিযোগ সহ হামিদ-রুনার অপকর্মের সহযোগী হিসেবে সম্পৃক্ততার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনিও সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন। ছাতকের কৃষি অফিসার তৌফিক হোসেন খান এবং উপসহকারী কৃষি অফিসার সুয়েব মাহমুদ কে ফোনে তাদের উপর আনিত বেনামী চিঠির অভিযোগ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে উভয়ে অভিযোগ অস্বীকার করেন। ছাতক উপজেলা কৃষি অফিসার এতদ বিষয়ে বিভাগীয় তদন্ত হয়েছে মর্মে রিপোর্টার কে অবগত করেন । ঘটনার সত্যতা জানতে চেয়ে তদন্ত কমিটির প্রধান মোঃ ইকবাল আযাদ সাহেবের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি তদন্ত রিপোর্ট অনেক আগেই জমা দিয়ে দিয়েছেন এবং তদন্তের বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা না করলেও ছাতক উপজেলা কৃষি অফিসার তৌফিক হোসেন খান ও উপসহকারী কৃষি অফিসার সুয়েব মাহমুদ নোমান কে জড়িয়ে বেনামীয় চিঠিতে আনিত অভিযোগের বিষয়ে তদন্তে সত্যতা পাওয়া যায়নি এবং হামিদ-রুনা বেগমের অপকর্ম ও অফিসে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্ঠার বিষয়ে সত্যতা পাওয়া গেছে মর্মে রিপোর্টার কে নিশ্চিত করেন। ফরিদুল হাসান, উপপরিচালক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, সুনামগঞ্জ এর সাথে ফোনালাপে তদন্ত ও ব্যবস্থা গ্রহণের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি মিডিয়াকে প্রতিবেদন সম্পর্কে অবগত করতে অস্বীকৃতি জানান।দোষীদের বিরোদ্ধে কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ না করে তিনি কেন নিরবতা পালন করছেন জিজ্ঞাসা করলে উপপরিচালক ফরিদুল হাসান কোন সদুত্তর দিতে পারেন নি।
Leave a Reply