ছাতক(সুনামগঞ্জ)প্রতিনিধি,
সরকার আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ড.মোঃ আজিজুল হক-কে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান (চলতি দায়িত্ব) পদে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে।
ড.মোঃ আজিজুল হক ২৩ এপ্রিল ১৯৮৯ সালে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে কমিশনে চাকুরিতে যোগদান করেন। চাকুরিতে যোগদানের পর তিনি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োজিত থেকে তাঁর উপর অর্পিত দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করেন। চেয়ারম্যান পদে দায়িত্বভার গ্রহণের পূর্বে তিনি সদস্য (পরিকল্পনা) পদে দায়িত্ব পালন করছিলেন।এর পূর্বে তিনি সাভারস্থ পরমাণু শক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মহা পরিচালক পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। তিনি ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি-এর পরিচালকের দায়িত্ব পালনসহ পারমাণবিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে দীর্ঘ ৩৩ বছর নিষ্ঠার সাথে বাংলাদেশে রেডিওআইসোটোপ উৎপাদনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।
ড. মোঃ আজিজুল হক ১৯৬৪ সালের ১ জানুয়ারি সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলার চরমহল্লা ইউপির টেটিয়ারচর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার নিজ গ্রামের পাঠশালা শেষ করে ভর্তি হন নতুন বাজার ধারণ উচ্চ বিদ্যালয়ে। পরে তিনি ১৯৭৮ সালে গোবিন্দগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক, ১৯৮০ সালে সিলেট সরকারি কলেজ (বর্তমান এম সি কলেজ) থেকে উচ্চ মাধ্যমিক, ১৯৮৪ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়ন বিষয়ে স্নাতক (সম্মান), একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৫ সালে রসায়ন বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।
ড. মোঃ আজিজুল হক ১৯৯৫ সালে জাপানের কানাজাওয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তেজস্ক্রিয় রসায়ন বিষয়ে ডিস্টিংশনসহ এমএস ডিগ্রী এবং ১৯৯৮ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একই বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেন। পরমাণু চিকিৎসায় সর্বাধিক ব্যবহৃত টেকনেসিয়াম-৯৯এম জেনারেটর উৎপাদনে বাংলাদেশের স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে তিনি মুখ্য ভূমিকা পালন করেন। কর্মজীবনে তাঁর শতাধিক বৈজ্ঞানিক গবেষণা প্রবন্ধ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর উদ্ভাবিত টেকনিসিয়াম-৯৯এম জেনারেটর উৎপাদনের কম্পিউটার কনট্রোলড্ অনলাইন প্রসেস বিশ্বজুড়ে বিপুল প্রশংসা লাভ করেছে যা বর্তমানে চীন, ভারত, সৌদিআরব ও ফিলিপিনে অনুসৃত হচ্ছে এবং আরও কয়েকটি দেশে অনুসরণ করার চেষ্টা চলছে। এছাড়াও তিনি আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা কর্তৃক নিয়োজিত বিশেষজ্ঞ হিসেবে বিভিন্ন দেশে বিশেষজ্ঞ সেবা প্রদান করেছেন এবং আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা কর্তৃক প্রেরিত বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীদের বাংলাদেশে তাঁর গবেষনাগারে প্রশিক্ষণ প্রদান করেছেন রেডিও আইসোটোপ উৎপাদনের ক্ষেত্রে স্বনামধন্য বিজ্ঞানী হিসেবে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত। তিনি বাংলাদেশ রসায়ন সমিতি, নিউক্লিয়ার মেডিসিন সোসাইটি, জাপান রেডিও কেমিস্ট্রি সোসাইটি, ওয়ার্ল্ড কাউন্সিল অব আইসোটোপসসহ আরও অন্যান্য সোসাইটির সক্রিয় সদস্য এবং তিনি বঙ্গবন্ধু পরমাণু বিজ্ঞানী পরিষদের বর্তমান সভাপতি। পেশাগত কারণে তিনি চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া, মালেশিয়া, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, ভারত, সৌদি আরব, অষ্ট্রেলিয়া, তুরষ্ক, অষ্ট্রিয়া, যুক্তরাজ্য, জার্মানী, হাঙ্গেরী, চেক প্রজাতন্ত্র, রাশিয়াসহ বিভিন্ন দেশ সফর করেন। সুনামগঞ্জের ছাতকেই তাঁর শৈশব কেটেছে। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি দুই পুত্র সন্তানের জনক।তাকে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান (চলতি দায়িত্ব) পদে নিয়োগ করায় ছাতক প্রেসক্লাবের পক্ষে থেকে সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছেন
সভাপতি গিয়াস উদ্দিন তালকুদার,সাধারন সম্পাদক আনোয়ার হোসেন রনি,যুন্ম সাধারন সম্পাদক আমিনুল ইসলাম হিরন,সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল করিম রেজাসহ নেতৃত্ব বৃন্দরা । #
Leave a Reply