ছাতকে ফসলী জমি দখল নিয়ে গ্রামবাসীর দু,`পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা
ছাতক প্রতিনিধি,
ছাতকে উপজেলা কালারুকা ইউনিয়নের রায়সন্তোষ পুর গ্রামের মৌখিকভাবে খরিদকৃত ভুমি ১৫শতক ফসলী ভুমি দখল নিয়ে গ্রামবাসীর দু`পক্ষের চরম উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।ফসলী ভুমি জায়গা ফলানো পাকা ধান লুটপাটের এ ঘটনায় রায়সন্তোষপুর গ্রাম দৃ`পক্ষ অশান্ত হয়ে উঠেছে। এ ঘটনার জেরই ধরে নিয়ে গ্রামবাসীদের দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের আশংকা বিরাজ করছেন। প্রশাসনের বাধাঁ নিদের্শকে বৃদ্ধা্ঙ্গুল দেখিয়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মৌখিক বিত্রুয় করা জায়গা দখল,পাকা ধান লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। তার বিরুদ্ধে রয়েছে ভাংচুর,হামলা,মারপিঠ মামলাসহ নানা ধরনের অপরাধ কমকান্ডের অভিযোগ উঠেছে ফিরোজ আহমদ ও তার সহযোগিদের বিরুদ্ধে।
জানা গেছে, উপজেলার কালারুকা ইউনিয়নের রায়সন্তোষ পুর গ্রামের মৌজার ২৬৬ নং জেল এল এস এ খতিয়ান নং১৯২ও ৯৪ এস এ দাগ ৬৬৯ পরিমান ১৫ শতক ভুমি জমি গত ২০০৭ সালে ফিরোজ আহমদ,মাসুক মিয়া ও আশিক মিলে একই গ্রামের সোনা মিয়ার পুত্র কাপ্তান মিয়ার কাছে ৭৫হাজার টাকা সাবস্থ্য করে মৌখিকভাবে জায়গা বিত্রিু করে এবং টাকা পরিশোধ করে চাষাবাদ করে আসছে দীর্ঘ ১৪বছর ধরেই। এ ভুমি আজ অথবা কাল দলিল রেজিষ্টি করে দেয়ার নামে সময় ক্ষেপন করে থাকে ফিরোজ আহমদ গং। এ অবস্থায় তার একভাই মৃতু্য রবন করেন এবং অপর আরেক ভাই দীর্ঘ ধরে প্রবাসে থাকেন। তার খরিদকৃত ভুমি দলিল না করায় এঘটনা নিয়ে গ্রামের একাধিক শালিশ বৈঠক অনুষ্টিত হয়।এ বৈঠকে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বারসহ এলাকার গন্যমান্যরা তাদের বিরোধ নিম্পতি লক্ষে নিয়ে একটি বৈঠক অনুষ্টিত হয়েছে। এ বৈঠকে লুটকৃত ধান ও শালিসকারিরা আটক করে দু`পক্ষের জবানবন্ধি শুনে বৈঠকে ফিরোজ আহমদ ও মাসুক আলীকে কাপ্তান মিয়ার লুটকৃত ধান ফেরত ও বিত্রুয়কৃত ভুমি রেজিষ্ট্রি করে দেয়ার সিন্ধান্ত নেন স্থানীয় চেয়ারম্যান,মেম্বার ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা। অবশেষ আবারো ফিরোজআলী গং এলাকাবাসীর লোকজনকে সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে রাতে আধারে সন্ত্রাসী ষ্টাইলে তার পাকা ধান কেটে নেন। এ অবৈধ কাজে বাধাঁ ও প্রতিবাদ করায় ফিরোজ আহমদ নেতৃত্বে ও কাপ্তার মিয়ার স্ব পরিবারকে হত্যার হুমকি দেয়ার এ ঘটনায় গ্রামে দু’পক্ষের মধ্যে আবারো ও গত শনিবার সকাল থেকে চরম উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। যে কোনো সময় এ ভয়াবহ সংঘর্ষের আশংকা রয়েছে। অভিযুক্তরা হলেন ফিরোজ আহমদ,মাসুক আলী,ফয়সল আহমদ,সালমাম,কামাল,ইসলাম আলী,সুন্দর আলী,নুর আহমদ,কাহার,নোমান,কালাম,রুবেল ও রহিমআলী১৩জনকে অভিযুক্ত করে চুরি ধারায় আদালতে তদন্তরিপোট দাখিল করেছে পুলিশ। এব্যাপারে মামলার বাদী কাপ্তান মিয়া জানান,২০০৭ সালে তার কাছে মৌখিকভাবে জায়গা খরিদ করেন ফিরোজ আহমদসহ তার ৪ভাই কাছে থেকে। এখন এসে বলে বিত্রিু করেনি। সে একজন শিক্ষক নামক প্রতারক। তার বিরুদ্ধে আমি প্রতারনা,লুটপাটের অভিযোগ দায়ের করেছি । এব্যাপারে ফিরোজ আহমদ তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ স্বীকার করে বলেন.দীঘদিন ধরে একটি চত্রু আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার,মিথ্যা মামলা দিয়ে হযরানি করে আসছে। এ ব্যাপারে এস আই লিটন চন্দ্র রায়,জানান,ফিরোজ আহমদ গংদের বিরুদ্ধে আদালতে থেকে একটি মামলা এসে তদন্ত পুবক প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করার আদেশ করেন। এ অভিযোগের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,১৩জন আসামীকে অভিযুক্ত করে আদালতে প্রতারনা,চুরি ধারায় তদন্ত রিপোট দাখিল করা হয়েছে। ওসি শেখ নাজিম উদ্দিন জানান, এ ঘটনার সত্যতা পেয়েই তদন্তকারী কর্মকতা অভিযুক্ত আসামীর নামে বিভিন্ন ধরন অপরাধ প্রাথমিক প্রমানিত হওয়া তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ তদন্ত রিপোট দাখিল করেছেন আদালতে।
Leave a Reply