ছাতকে এক শিক্ষিকা ভারতে টাটা হাসপাতালে ভতি
ছাতক আইডিয়াল একাডেমির সহকারী শিক্ষক ও ছাতকের প্রতিভাবান জনপ্রিয় কন্ঠ শিল্পী অর্পিতা পাল(২৫) এক দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত হয়ে ভারতে টাটা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। সিলেট অঞ্চলের সাংস্কৃতিক জগতের পরিচিত ও প্রিয় মুখ, সিলেট মহিলা কলেজে এমএ অধ্যয়নরত অর্পিতা পাল গত বছরের ৪ নভেম্বর আকষ্মিক অসুস্থ হয়ে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। ছাতক শহরের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, উপজেলা কৃষকলীগ নেতা বাবুল পালের একমাত্র কন্যা অর্পিতা পালের শরীরে স্বাভাবিক রক্ত তৈরীতে উঠা-নামা করলে সে শারীরীকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে। একমাত্র কন্যার এমন অবস্থায় তার পিতা ও পরিবারের লোকজন মানষিকভাবে ভেঙ্গে পড়েন। মেয়েকে সুস্থ করে তুলতে পাগল প্রায় হয়ে উঠেন অর্পিতার পিতা বাবুল পাল। ডাক্তারের পরামর্শ মতে বিভিন্ন টেষ্টের মাধ্যমে ধরা পড়ে তার শরীরে স্বাভাবিক রক্ত তৈরী হতে বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। রক্তে স্বাভাবিক হিমোগেøাবিনের পরিমান শতকরা ১২ ভাগ থাকার কথা থাকলেও অর্পিতার শরীরে পাওয়া গেছে মাত্র ৩ ভাগ। তাকে সুস্থ করে তুলতে ওসমানী থেকে সিলেট পলিক্লিনিকে ভর্তি করা হয় তাকে। ডাক্তার রঞ্জন রায়ের অধিনে টানা ৮দিন চিকিৎসার পর তার শরীরের অবস্থা অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে উঠে। ডাক্তারের পরামর্শ মতে ২২ নভেম্বর ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রক্ত পরীক্ষা করানো হলে রক্তে আবারো হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে (৯%) যাওয়ার বিষয়টি ধরা পরে। ক্রমেই তার শরীরের অবস্থা অবনতির দিকে ধাবিত হতে থাকলে ২৪ নভেম্বর ঢাকা বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডাক্তার অধ্যাপক ইউনূসের অধিনে তাকে চিকিৎসা দেয়া হয়। অবশেষে ওই ডাক্তারের পরামর্শে তাকে ভারতের কলিকাতায় নিয়ে যাওয়া হয় উন্নত চিকিৎসার জন্য। ১৫ ডিসেম্বর কলিকাতার টাটা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় অর্পিতাকে। সেখানে তার শারীরীক চেকআপের পর পূর্নাঙ্গ চিকিৎসা ও সুস্থ করে তুলতে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা ব্যয় হবে বলে হাসপাতাল কর্তপক্ষ জানিয়েছেন। এত ব্যয়বহুল চিকিৎসার কথা শুনে অর্পিতার পিতা বাবুল পাল মানষিকভাবে আরো ভেঙ্গে পড়েন।অর্পিতা পাল সবার কাছে দোয়া কামনা করছেন।
Leave a Reply