এমপি মানিক শুন্য থেকে ১৫ বছর হাজার কোটি টাকার মালিক!
ছাতক(সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি ঃ
এ যেন রূপকথার কল্পকাহিনী। সুনামগঞ্জ-৫ (ছাতক-দোয়ারাবাজার) সাবেক সাংসদ মুহিবুর রহমান মানিক ওরফে বোমা মানিক হিসাবে পরিচিত। তার এলাকায় টেন্ডার বানিজ্য,শিক্ষক কর্মচারি,আয়া দপ্তরি নিয়োগ বানিজ্যসহ বোমা মেশিন দিয়ে চেলা ও পিয়াইন নদী থেকে বোমা মেশিন দিয়ে রাতে আধারে যত্রতত্র অবৈধভাবে বালু ও পাথর উত্তোলন,সরকারি খাল দখল, পাহাড় কাটা, আবাদি জমির টপ সয়েল কাটা,ছেট-বড় শতাধিক টি পাহাড় কেটে সাবাড় বন উজাড় করে সেখানকার গাছ কর্তন,চোরাচালন,নৌ-পথে চাদাবাজির সহ নানা অপকর্ম চালিযেছে। নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে শুধু গায়ের জোরে এসব অবৈধ কর্মকান্ড অবাধে চলছিল এসব এলাকায়। এমপির মানিক অনুসারীরাই এসব নৈরাজ্যে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তারা কখনো সরাসরি এমপির নামে, কখনো বা তার নাম ভাঙিয়ে এসব অপকর্ম চালাচ্ছেন। যে কারণে সাধারণ মানুষ এসবের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস করছেন না। প্রতিবাদ করতে গিয়ে আওয়ামীলীগের নেতা ফারুক মিয়া ও উপজেলা যুবলীগের লায়েকও খুন হয়েছেন। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার অভিযোগে সুনামগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক এমপি মুহিবুর রহমান মানিককে (ওরফে বোমা মানিক) গ্রেপ্তার করা করেছে র্যাব । গত ৮ অক্টোবর রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে সুনামগঞ্জ সদরে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার অভিযোগে গত ২ সেপ্টেম্বর একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ও সাবেক তিন এমপিসহ ৯৯ জনকে আসামি করে। এ মামলায় মুহিবুর রহমান মানিককে গ্রেপ্তার করেছেন র্যাব।
জানা যায়, উল্লিখিত অপকর্মের নেপথ্যে রয়েছেন এমপির ও চাচাতো ভাই খুরমা উত্তর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক বিল্লাল আহমদ,তার ভাতিজা (ড্রেজার তানভির আহমদ),সিমেন্ট খানার সিবিএ নেতা আজিজুর রহমান, পিএস মুশাহিদ আলী ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান,সাবেক ভাইন্সচেয়ারম্যান আবু সাহাদাত লাহিন,সাবেক মহিলা ভাইন্স চেয়ারম্যান লিপি বেগম,আওয়ামীলীগ আহবায়ক সৈয়দ আহমদ,আউয়াল,ইউপি চেয়ারম্যান ওদুদ আলম,সুন্দর আলী,আওলাদ মাষ্টার,আবু বক্কর,গয়াস আহমদ,আব্দুল খালিক ও আব্দুল হকসহ শতাধিক নেতাকমীরা শুন্য থেকে কোটি কোটি টাকা মালিক হযেছে। তার রয়েছে শত শত একর জমি, খাল বিল হাওর জায়গা দখল করে মাছের খামার, পাজারো গাড়ি, বিলাসবহুল বাড়ি ও দেশ বিদেশে বিশাল বাসা বাড়ি মালেশিয়া,সিঙ্গাপুর,ডুবাই ওমান,লন্ডন বাসা এবং ভারতের রয়েছেন একাধিক বাগান বাড়ি এমপি মানিক। একসময় তার যার নুন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থা ছিল, তিনি হয়ে ওঠেন রাজকীয় জীবনের অধিকারী। ‘আলাদিনের চেরাগ পাওয়া’ এই ব্যক্তির নাম হচ্ছেন এখন মানিক। স্থানীয় সাবেক পকিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নাানের ওপর ভর করেই অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে এসব সম্পদ গড়েছেন এমপি মানিক। তার এসব অপকর্মের বৈধতা দিতে উপর মহলকে ম্যানেজ এবং রাজনৈতিকভাবে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছেন সুনামগঞ্জের সীমান্ত এলাকায় সরকারি রাজত্ব ফাকি দিয়ে কোটি কোটি টাকা মাদক,চিনি ও ইয়ারা ও হুন্তি ব্যবসা করে কোটি কোটি টাকা পাচার করেছেন তার ভাই মিজানুর রহমান হিরা নামে লন্ডনে ।
সে উপজেলার উত্তর খুরমা ইউপির আমেরতল গ্রামের মৃত কদমদর আলীর ছেলে মুহিবুর রহমান মানিক া গ্রামের সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান ছিলেন মানিক। তিনি ১৯৯০ সালে ছাতক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ১৯৯০ সালে উপজেলা চেয়ারম্যান নিবাচিত হন। সেই সুবাদে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পায় । এরপর তার পেছনে ফিরে থাকাতে হয়নি। তিনি ১২ জুন ১৯৯৬ সালের সপ্তম জাতীয় প্রথমবার এমপি নির্বাচিত হন। এর পর ২০০৮ সালের নবম, ২০১৪ সালের দশম ও ২০১৮ নির্বাচনে পরপর এমপি নির্বাচিত হন। মাত্র ১৫ বছরের ব্যবধানে তিনি হয়েছেন হাজার কোটি টাকার মালিক। তার বিত্ত-বৈভবের উত্থান দেখে মনে হবে আওয়ামী লীগের শাসনামলে তিনি পেয়ে বসেছিলেন আলাদ্দীনের চেরাগ। রাজনীতিবিদ না হয়েও তিনি রাজনীতির মাঠে হয়ে উঠেন মাফিয়া ডন। এভাবে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে তিনি তার নির্বাচনি এলাকা ছাতক -দোয়ারাবাজার,সিলেট,ঢাকাসহ ছাড়াও দেশের বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে গড়ে তুলেছেন, আবাদী জমি, বিভিন্ন ধরনের বাগান, ফ্ল্যাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। আর এসব করে জমিয়েছেন হাজার কোটি টাকার সম্পদ। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আয় বাড়ায় সম্পদের পরিমাণও বেড়েছে ৪ বার এমপি মানিক। ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় তিনি বার্ষিক আয় উল্লেখ করেন ২ লাখ ৪১ হাজার টাকা। এর মধ্যে কৃষি খাত থেকে ৬ হাজার টাকা এবং ব্যবসা থেকে ২ লাখ ৩৫ হাজার টাকা বার্ষিক আয় করতেন তিনি। এদিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দাখিলকৃত হলফনামা অনুযায়ী বার্ষিক আয় ৫২ লাখ ৭০ হাজার ৮৬৬ টাকা। সেই হিসাবে গত ১৫ বছরে আয় বেড়েছে ২১ গুণেরও বেশি। এবার কৃষি খাত থেকে ৬২ হাজার ৫০০ টাকা ও প্রার্থীর ওপর নির্ভরশীলদের আয় ১ লাখ ৬৮ হাজার ৩৮৩ টাকা, বাড়ি/অ্যাপার্টমেন্ট/দোকান বা অন্যান্য ভাড়া ৫ লক্ষ ১৩ হাজার ও প্রার্থীর উপর নির্ভরশীলদের আয় ৫ লাখ ৫১ হাজার ৫০ টাকা, ব্যবসা থেকে আয় ৬ লাখ ৫৮ হাজার ৬৭০ টাকা ও প্রার্থীর ওপর নির্ভরশীলদের আয় ৪ হাজার ৮৬৮ টাকা, শেয়ার, সঞ্চয়পত্র/ব্যাংক আমানত ৬ লাখ ১৮ হাজার ৪৮ টাকা, চাকরি, সংসদ সদস্য হিসেবে পারিতোষিক ২৬ লাখ ৯৪ হাজার ৩৪৭ টাকা আয় উল্লেখ করেছেন। অনুরূপভাবে বেড়েছে অস্থাবর সম্পদও। ১৫ বছরে বেড়েছে ১৪ গুণেরও বেশি। শুধুমাত্র স্ত্রীর বেড়েছে ১০ গুণেরও বেশি। ২০০৮ সালে ১৮ লক্ষ ৩৯ হাজার টাকার অস্থাবর সম্পদ ছিল এমপি মানিকের। এর মধ্যে নিজ নামে নগদ ১ লাখ টাকা, স্ত্রী/স্বামীর নামে ২৫ হাজার টাকা, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমাকৃত অর্থের পরিমাণ ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা, স্ত্রী/স্বামীর নামে ২০ হাজার টাকা, নির্ভরশীলদের নামে পোস্টাল, সেভিংস সার্টিফিকেটসহ বিভিন্ন ধরণের সঞ্চয়পত্রে বা স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগের পরিমাণ ২ লাখ টাকা, ১টি জিপ গাড়ি মূল্য ৭ লাখ টাকা, স্ত্রী/স্বামীর নামে ৫০ তোলা স্বর্ণ ৪ লাখ টাকা, ইলেকট্রনিক সামগ্রী ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা, আসবাবপত্র ৭৯ হাজার টাকা ও উপহার হিসেবে পাওয়া ১টি বন্দুক ও ১টি রিভলভার। ২০২৩ সালে অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৫৯ লাখ ৭৫ হাজার ৩২৯ টাকায়। এর মধ্যে আছে নিজ নামে নগদ ৫ লাখ টাকা, স্ত্রী/স্বামীর নামে ৫০ হাজার টাকা, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমাকৃত অর্থের পরিমাণ ৩ লাখ ৩০ হাজার ৪৯২.৫৮ টাকা, স্ত্রী/স্বামীর নামে ৩ লাখ ৬০ হাজার ১৭২.৪২ টাকা, পোস্টাল, সেভিংস সার্টিফিকেটসহ বিভিন্ন ধরণের সঞ্চয়পত্রে বা স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগের পরিমাণ ১ কোটি টাকা, জিপ গাড়ি একটি ৮৯ লাখ ২৬ হাজার ৬৯০ টাকা, স্ত্রী/স্বামীর নামে মোটর গাড়ি ১টি ৪০ লাখ ২৫ হাজার ৭৭৪ টাকা, ৫০ তোলা স্বর্ণ ৪ লাখ টাকা, স্ত্রী/স্বামীর নামে ১৫ তোলা স্বর্ণ ১ লাখ ২০ হাজার টাকা, ইলেকট্রনিক সামগ্রী ৫ লাখ ৬২ হাজার ২০০ টাকা, আসবাবপত্র ৭ লক্ষ টাকা। এছাড়াও বেড়েছে স্থাবর সম্পদের পরিমাণও। এবার দাখিলকৃত হলফনামা অনুযায়ী স্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে নিজ নামে কৃষি জমি ২.৫৫১৩ একর ১৪ লাখ ৯১ হাজার ১৯৭ টাকা ও ২.৪০ শতক উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত। প্লট ৫ কাঠা জমি ১.২৪ শতক ৪৪ লাখ ৩৯ হাজার ৫১০ টাকা, বাড়ি/অ্যাপার্টমেন্টের সংখ্যা ১টি ২৮ লাখ ২০ হাজার ৮০০ টাকা। এছাড়াও উত্তরাধিকার সূত্রে যৌথ মালিকানায় ১টি মন্ডলীভোগ ১টি আমেরতলে দালান বাড়ি ও বাসা। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দাখিলকৃত হলফনামা অনুযায়ী স্থাবর সম্পদের মধ্যে ছিল উত্তরাধিকার সূত্রে ৮ কেদার কৃষি জমি, অকৃষি জমি ১৩ শতক, ১ লাখ ৬৫ হাজার, যৌথ মালিকানায় গৃহ, নিজ নামে ঢাকায় ৩ কাঠা জমি ২ কিস্তি বাবদ পরিশোধ ৮ লাখ ১০ হাজার টাকা। সম্পদশালী না হলেও গত ১৫ বছর আওয়ামী লীগের শাসনামলে তিনি অবৈধ পন্থায় হয়েছেন হাজার কোটি টাকার মালিক। নিজের ও পরিবারের সদস্যদের নামে-বেনামে গড়েছেন বাড়ি, গাড়ি, জমি, ফ্ল্যাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ ব্যাপক সম্পদ।
নিয়োগের নামে ঘুস বাণিজ্য : উপজেলার সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ বাণিজ্যের করে কয়েক কোটি টাকা নেন। গোবিন্দগঞ্জ আব্দুল হক স্মৃতি ডিগ্রী কলেজ শিক্ষক নিয়োগসহ কোটি টাকা,অবৈধ অধ্যক্ষ দিয়ে কোটি কোটি টাকা গাছ-গাছালি বিত্রিæ করে এসব টাকা গুলো অবৈধ অধ্যক্ষ সুজাত আলী ও এমপি মানিক মিলে লুটপাটের এ ঘটনায় সুনামগঞ্জ আদালতে একাধিক মামলা ও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তার হাত থেকে বাদ যায়নি,ইস্কুল, ছাতক সরকারি,জাউয়াবাজার কলেজ, দাখিল মাদ্রাসা,লাকেশ^র উচ্চ বিদ্যালয়সহ দেড় শতাধিক প্রতিষ্টানে এমপিও ভুক্ত নামে সিন্ডিকেট করে তিন শতাধিক শিক্ষক কর্মচারি,দপ্তরি ও আয়াসহ জনবল নিয়োগে দিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন উপজেলার যুবলীগের সাধারন সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান বিল্লাল আহমদ ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় শিক্ষা কর্মকতা পুলিন চন্দ্র রায়ের মাধ্যমে। তার সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সরকারি সব টেন্ডার বাণিজ্য তার পক্ষে সামাল দিতেন ইউপি চেয়ারম্যান বিল্লাল ও তার স্বজনরা। এতে নাম মাত্র টেন্ডার দেখিয়ে কাজ নিতেন দুনীতি শংকর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নামে। গত ২০১৯ সালে তার দুনীতি লুটপাটের ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তার অবৈধ সম্পদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নির্দেশে অনুসন্ধান শুরু করলে ও ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে তদন্তের আলো মুখ দেখেনি। তার বিরুদ্ধে টিআর, কাবিখা, বিশেষ প্রকল্প,নামে বেনামে ভুয়া বিল জমা দিয়ে এলজিএসপি ইত্যাদি প্রকল্পের কাগজ পত্র যাচাই-বাচাই পর সত্যতা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকতাকে গ্রেপ্তার করলে সব অনিয়ম দুনীতি লুটপাচের চিত্র বেরিয়ে আসে মানিকগঞ্জ থেকে ফুরকাননগর, ছাতক-জাউয়াবাজার রাস্তা থেকে ডুবির ভাঙা, বৈঠাখালী, পলিরটুক রাস্তার ও এমপির বিশেষ বরাদ্দের চাল, গম উত্তোলন করে নামে-বেনামে লাখ লাখ টাকার প্রকল্প কাগজে আছে বাস্তবে নেই এসব প্রকল্পের হদিস রয়েছে। এ ছাড়া অর্থবছর ও ২০১৯ ও ২০ সালে অর্থ বছরে এমপির বিশেষ বরাদ্দ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ে ফাইল আছে, কাজ না করে বরাদ্দের এসব টাকা এমপির নিদেশে উত্তোলন করে টাকা হজম করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান বিল্লাল ও এমপি মুহিবুর রহমান মানিক জেল-হাজতে থাকায় তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
Leave a Reply