এক অবিস্মরনীয় নাম
আল্লামা ছালিক আহমদ (রহঃ)
সৃষ্টির সেরা জীব হচ্ছে মানুষ। আল্লাহর শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি হিসেবে মানুষেরও অনেক দায়িত্ব রয়েছে। কথা, কাজ সব কিছুর মধ্যেই এ শ্রেষ্ঠত্ব প্রকাশ পাবে,এটাই আল্লাহ তাআলার ইচ্ছা। আর কর্ম যদি খারাপ হয় তাহলে এই শ্রেষ্ঠত্বের কোনো মূল্য নেই। শ্রেষ্ঠত্বের বিচারে আল্লাহ তাদেরকে ভালোবাসবেন। নিজেকে একজন আল্লাহ প্রেমিক হিসেবে গড়ে তুলে অবশ্যই আল্লাহর নির্দেশ অনুযায়ী জীবন যাপন করেন তিনি। নিজেকে শ্রেষ্ঠ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হাদিসের এই দিক নির্দেশনাগুলো মেনে চলাচল করছেন।
বৃহত্তর পশ্চিম সিলেটের কোরআন হাদিস জগতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র হিসেবে সর্ব মহলের কাছে এক অবিস্মরনীয় নাম আল্লামা ছালিক আহমদ (রহঃ)।
তার অন্তর আত্না বুকে বৈপ্লবিক সংস্কার সাধন করে সিলেটের আনাচে কানাচে সবার কাছে ধীরে ধীরে জনপ্রিয় অতুলনীয় “ভুরকীর হুজুর খ্যাতি” বলে অর্জন করেছেন। তিনি তার সেই অন্ধকারাচ্ছন্ন সমাজকে বাইয়াতে আলোকে উদ্ভাসিত,সমাজ সংস্কারক ও সুবক্তা ছিলেন আল্লামা ছালিক আহমদ (রহঃ)। তিনি ন্যায় বিচার,প্রকৃতপক্ষে সামাজিক এবং বিপ্লবের সূচনাকারী হিসেবে ইসলাম ধর্মের সেবা হিসাবে আল্লামা ছালিক আহমদ নাম হচ্ছে সিলেটের আলেম সমাজের হাতের গননা কয়েক জনের মধ্যে তিনি অন্যতম।
তিনি সিলেটের সকল শ্রেনীর মানুষের মাঝে শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি, তিনি আল্লাহর সবদিকে অনুগত ও মানুষের সর্বাধিক কল্যাণকামী। তার স্বাভাবিক ভাবে চলাফিরা করতেন উঁচু-নিচু, ধনী-দরিদ্র, কালো সাদার বৈষম্য, ভেদাভেদ দূরীভূত করে মানবতার অতুজ্জ্বল আদর্শে সমাজ বন্ধন সুদৃঢ় করেছেন। তার প্রবর্তিত সমাজে রক্তের সম্পর্কের চেয়ে ঈমানের বন্ধনই ছিল তার কাছে খাটি মজবুত ঐক্যের প্রতীক। তিনি সামাজিক সাম্য- শৃঙ্খলা, ভদ্রতা, অসৌজন্যবোধ, জঘন্য দাসত্ব প্রথা, সুদ, ঘুষ, জুয়া- মদ, লুন্ঠন, ব্যভিচার, পাপাচার, অন্যায়-অত্যাচারীদের কাছে তিনি ছিলেন এক আতংকিত ও প্রতিবাদী নাাম।তার ধ্যান সাধনার মধ্যদিয়ে সাধারন মানুষ জীবন যাপন করে ইসলামের সুমহান বানী ওয়াজের মাধ্যমে প্রচার করেছেন।
যার অন্তদৃষ্টিতে কিছু দেখেন তাকে কামেল পীর বা ফকির বলা হয়। তেমনি আমাদের মনো জগতে এক আন্দোলিত ও আলোকিত মানুষের নাম হচ্ছেন আল্লামা ছালিক আহমদ (রহঃ)।
তিনি আমাদের মাঝে নেই,তবুও এক অসম্ভব অনুভব প্রতিভা রেখে গেছেন।
তার মানব কল্যাণ কমকান্ড প্রতিনিয়ত আমাদের মনকে বার বার দোলা দিয়ে যায়। আমাদের পীর ফকিরি ধারায় আকাশে ধ্রবতারা হয়ে এ পৃথিবীতে বেচেঁ থাকবে আল্লামা ছালিক আহমদ (রহঃ)। আমাদের আধ্যাত্বিক সুফিবাদের নানা বিষয় নিয়ে সমালোচনামুলক একজন লেখক হিসাবে দেশ বিদেশে পরিচিত মুখ ছিলেন। আল্লামা ছালিক আহমদ (রহঃ) একজন প্রজ্ঞা অভিভাবক হয়ে থাকবে এ পৃথিবীতে।
তার নানাবিধ বিষয়ে গবেষনামুলক প্রবন্ধ গুলোকে আধ্যাত্বিক জগতে জীবনে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র হিসেবে সর্ব মহলের কাছে এক অবিস্মরনীয় হয়ে থাকবে আল্লামা ছালিক আহমদ (রহঃ)। তিনি যে, সামগ্রী জীবন দর্শনের মুখামুখি হয়েছিলেন- তা হচ্ছে ইসলামী দৃষ্টি সুফিবাদ জীবন। এ দৃষ্টি ভঙ্গিতে মানুষের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সকল কর্মকান্ড একাগচিত্তে মনোনিবে করে গেছেন। তিনি স্বীয় সম্পত্তি ও উদারতার মাধ্যমে সকল ধর্মাবম্বী মানুষকে তার আলিঙ্গনে আনেন। খোদা ভীরু প্রেমিক ছিলেন ! তার ইসলামের প্রতি অগাঢ় ভালোবাসা তাকে সংকীর্ণতার উর্ধ্বে এনে সর্বজন শ্রদ্ধারপাত্র করে তুলেছিল। তার জীবনে ধ্যান সাধনা সচেতনা মানুষের মানবিক কল্যাণের আলোকে বর্তিকা। তিনি ইসলামের ইতিহাস ঐতিহ্য সম্পদ সৌন্দর্যের প্রতীক।
হযরত শাহজালাল (রঃ) স্মৃতি ধন্য পূণ্যভূমি সিলেটের ওলি আউলিয়ার পীর মুশিদের
সান্নিধ্য পেয়ে ধীরে ধীরে একজন খ্যাতিমান মুহাদ্দিস ও বিজ্ঞ আলেম রূপে বৃহত্তর সিলেট বিভাগের সর্বাধিক পরিচিত ও স্বীকৃত পেয়েছেন আল্লামা ছালিক আহমদ (রহঃ)। আল্লাহ তাআলা তাকে অনেক মহৎ ও জন্মগত মহৎ গুণাবলী দান করেছেন। তার মেধা অত্যন্ত প্রখর ও উজ্জ্বল, চরিত্র উন্নত ও মহৎ।
তিনি হলেন,সিলেটের জেলার বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজি ইউপির ভুরকী গ্রামে (পীরবাড়ীতে) ১৯৬৯ সালে ১৬ নভেম্বর
তার জন্ম গ্রহন করেন। তার বাবা ছিলেন মরহুম পীর আবুল লেইছ ও মা মরহুমা সুরতুন নেছার পুত্র হযরত মাওলানা ছালিক আহমদ ।
তার ছোট বেলায় শিক্ষা জীবন শুরু করেছেন পাশ্ববতী গ্রামে তিনশো ষাট জন ওলিদের মধ্যে অন্যতম সফর সঙ্গি হযরত খাজা সিরাজ উদ্দিন (রহঃ) নামে মৌজায় স্থাপিত সিরাজপুর কাজীবাড়ি মাদ্রাসা থেকে সৎপুর দারুল হাদিস কামিল মাদ্রাসায় গিয়ে ৫ম শ্রেনীতে ভতি হন। সেখানে কেটেছে তার ছাত্র জীবন।
১৯৯০ সালে ১ম বিভাগে কামিল পাশ করেন । পরে সিলেটের এমসি কলেজ থেকে ১৯৯৪ সালে বিএ এবং ১৯৯৭ সালে এস এ পাশ করেছেন।
শিক্ষকতা পেশার মধ্য দিয়ে তার কর্মজীবন শুরু করেছেন। ১৯৯১ সালে ১৬ মাচ সিলেট জেলার জকিগঞ্জ সিনিয়র মাদ্রাসায় আরবী প্রভাষক পদে যোগদান করেন। সেখানে দুই বছর দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৩ সালে ১ মাচ ইছামতি মাদ্রাসায় সহকারি মৌলভী পদে যোগদান করেছেন। সেখানে দুই বছর দায়িত্ব পালন করে তার নিজ বিশ্বনাথ উপজেলার সৎপুর মাদ্রাসায় আরবী প্রভাষক পদে ১৯৯৫ সালে ২ মে যোগদান করেন। ১৯৯৬ সালে কামিল জামাতের উস্তাদ ও ২০০৭ সালে ১ মাচ মুহাদিস হিসাবে পদায়ন করা হয়। ২০১৬ সালে ১ মাচ থেকে এক মে পযন্ত দুই মাস ভারপ্রাপ্ত পিন্সিপাল হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৬ সালে ১ অক্টোবর পয়ন্ত থেকে মৃত্যু পযন্ত দারুল হাদীস সৎপুর মাদ্রাসার ভাইস পিন্সিপাল ছিলেন। তিনি দু যুগের বেশী সময় শায়খুল হাদিস দায়িত্ব পালন করেন।
এছাড়া দারুল কিরাত মজিদিয়া ফুলতলী ট্রাস্টে`র একজন নিরলস খাদিম ও ক্বারী সোসাইটির সভাপতি,প্রধানক্বারী পরিদশক প্রধান কেন্দ্রের পরীক্ষক ছিলেন। ফুলতলী ট্রাস্টের অধীনে একাধারে ৪০ বছর কোরআনের খিদমত করে গেছেন। তার গ্রাম ভুরকী মাদ্রাসা শাখার প্রধানক্বারি দীঘ ৩৬ বছর দায়িত্ব পালন করেন। দাওয়াত ইলীম আমল দলিল নিভর বয়ান ওয়াজের অঙ্গনে অল্প সময়ের মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টিকারি বক্তা হিসাবে দেশ বিদেশে সবার কাছে খ্যাতিমান গ্রহনযোগ্য শীষে কামেল আলেম হিসাবে পরিচিত লাভ করেন। তিনি সিলেটের ৪টি জেলার কয়েকজন আলেমদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন মাওলানা ছালিক আহমদ। সিলেটের আনাচে কানাচে সকল শ্রেনীর মানুষের হৃদয়ের মধ্যমনি ছিলেন ভুরকী হুজুর! ওয়াজের মাধ্যমে সফলভাবে ইসলামের দাওয়াতি কার্যত্রুম আনজাম দিয়ে গেছেন নিরবে।
তিনি ছিলেন একজন আলোকিত মানুষ গড়ার কারিগড়,আলোড়ন সৃষ্টিকারী সুবক্তা। তিনি বাতিলের আতংক,হক হক্কানিয়তের মশাল। সুন্নি আকিদা বিশ্বাসের টেকসই উপস্থাক,বাতিলের মুখোশ উন্মোচনে কালের সাহসিক কন্ঠ সুর। বতমানে সিলেটের ওয়াজের অঙ্গনে তার শূনতা অপুরনীয় ক্ষতি হয়।
তিনি তার নানা ব্যস্ততার কারনে লেখালেখিতে সব সময় সরব ছিলেন না। তার ছাত্র জীবন থেকে মৃত্যু পযন্ত সাধ্যমত লেখালেখি করে গেছেন। লেখা চাওয়া হলে দেননি এমন নজীর তার জীবনে নেই। তার নানা বিষয়ে প্রচুর প্রবন্ধ জাতীয় ও স্থানীয়,সপ্তাহিক,মাসিক পত্রিকাগুলোতে প্রকাশিত হয়েছে।
তার হামজাপুরীর জীবনী তাঁর একমাত্র প্রকাশিত গ্রন্হ। তার আরো দুটি পান্ডলিপির অপ্রকাশিত রয়েছে। তার মৃত্যুর এক সপ্তাহ আগে মাসিক পরওয়ানা`র জন্য একটি লেখা দেন। নামাজে `রফে ইয়াদইন “নামে গবেষণাধমী আলোকপাত। ২১ সালে জুলাই ও আগষ্ট সংখ্যা ছাপা হয়। কিন্তু লেখক তার লেখাগুলো দেখে যেতে পারেনি। তিনি পূণ্যময় কর্মের অধিকারী। জীবনের প্রতিটি মুহুর্ত ধ্যান ধারনায় মগ্ন থাকতেন তিনি।
তিনি সিলেটের কয়েক হাজারো মুহাদিসের উস্তাদ হিসাবে সিলেটের মাটিতে সবার কাছে পরিচিত ছিলেন। এভাবে তার ভুরকী জামে মসজিদ গোটা রমযান মাস তিলাওয়াত-তাফসীর, হামদ-নাত ও গযলে মুখরিত থাকত। অনেকে কেবল এই তাফসীর মাহফিলে নিয়মিত হাজির থাকার উদ্দেশ্যে সিলেটের সবার কাছে জনপ্রিয় ওয়ায়েয ছিলেন মাওলানা ছালিক আহমদ।
পীর ও মুরশিদ সামসুল উলামাআল্লামা হযরত আব্দুল লতিফ চৌধুরী ছাহেব ক্বিবলাহ ফুলতলী (রহঃ) একজন খলীফাপ্রাপ্ত খাদেম হযরত মাওলানা ছালিক আহমদ । তার পীর মুশিদের সান্নিধ্য পেয়ে উজ্জ্বল নূরানী চেহারা মণ্ডিত সুকণ্ঠী একজন ক্বারী হিসাবেও তাঁর খ্যাতি ও জনপ্রিয়তা ছিল প্রচুর।
মাওলানা ছালিক আহমদ (রহঃ) শ্যাম বর্ণের লম্বা নাক বিশিষ্ট অনেকটা উচ্চ গড়নের অপেক্ষাকৃত আকৃতির মানুষ। কিন্তু তাঁর জ্ঞান-গরিমা ও প্রাণখোলা আবেগ সমৃদ্ধ নবীব ও ওলি আউলিয়ার শানে বক্তব্যের জন্যে তিনি সিলেটবাসীর কাছে বাতিলের বিরুদ্ধে সাহসিক সুবক্তা ছিলেন। কোরআন ও হাদিসের আলোকে সুনিষ্টিত দলিল ও প্রমাদিসহ বয়ান করে বহু প্রতিভার অধিকারি ছিলেন।
তিনি খ্যাতিমান আলেম বিপুল জ্ঞানবত্তার অধিকারী, স্বয়ং উস্তাযদের কাছে উচ্চ প্রশংসিত এবং দেশবাসীর কাছে বিপুল প্রহণযোগ্যতার কারণে একদিকে যেমন তাঁর বিপুল আত্মবিশ্বাস ছিল তেমনি তাঁর এখলাস এবং বিনয়ও ছিল নজর কাড়ার মত।
তার জীবনের যাবতীয় ভোগ বিলাস বঞ্চিত চেহারার এক আশ্চর্য দ্যূতি আলোকিত ব্যক্তিত্ব।
প্রধান বিষয়বস্তু হলো- নামাজ, রোজা, হজ্ব, জাকাত, ইসলামী ইতিহাস, ঐতিহ্য, কাহিনী ইত্যাদি। খানকা,যার থেকে ধীরে ধীরে পীর দরবেশ ওলি আউলিয়ার নির্জন সাধনাগারে আধ্যাত্বিক ওয়াজ নসিবত সহ হৃদয় হতে উচ্চারণ হতো চমৎকার মিষ্টি ভাষা শান্ত ও সুকন্ঠে নজর কাড়া বয়ান। তার সুকন্ঠে নবী শানে বয়ান শোনেন শ্রোত্রুারা দুটি চোখের জল গড়িয়ে পড়তো অবিরত। এর পর থেকে দেশ বিদেশে ভুরকী হুজুর খ্যাত অর্জন করেন আল্লামা ছালিক আহমদ (রহঃ) সিলেট বিভাগের চারটি জেলায় পরিচিত।
জানাজায় রেকর্ডভাঙা মানুষের ঢল
তার জনাজায় বিশ্বনাথের উপজেলায় রেকর্ডভাঙ্গা মানুষের ঢল। খ্যাতমান কামেল আলেম আমাদের মাঝে নেই। গত ২০২১ সালে ২৪জুন রোজ বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা ১৫ মিনিটের সময় মালিকের ডাকে সাড়া দিয়ে না ফেরার পথে চলে গেছেন। তার জানাজায় অংশ নেন লাখো লাখো মানুষ। তাকে শেষ বিদায় জানাতে অশ্রুসজল চোখে মাদ্রাসার ছাত্র হাফিজিয়ার মাদ্রাসার মাঠে জমা হয় তার অগণিত ভক্ত-সমর্থক। মানুষের ঢলে ঐদিন তিলধারণেরও জায়গা ছিল না সিলেট সুনামগঞ্জ সড়ক থেকে মুন্সির গাও ও সোনালী বাংলাবাজার আশপাশেরএলাকায়। ময়দানে ঢুকতে না পেরে চারপাশের সড়ক রাস্তা মানুষ গায়ে গায়ে দাঁড়িয়ে জানাজায় অংশ নেন সারাদেশ থেকে লাখো জনতার ঢল নেমেছিল।এ সময় সবার চোখ দিয়ে পানি পড়ার সাথে সাথে আকাশ ও কাদঁছে! এ সময় জালালি কবুতর গুলো কিছমিছি সুর আকাশ থেকে নিচে দিয়ে নেমে আসছে। মাদ্রাসার চাদসহ আশ পাশে শিক্ষা প্রতিষ্টান,জমির আইল,বাড়ির রাস্তা ঘাটের কানায়,কানায় দুর দুরান্ত থেকে আগত মানুষের ভিড় দেখে সকল শ্রেনীর হতবাক হয়েছিল। যে দিকে চোখ যায় সেদিকে সাদা কাপড়ের মানুষ ভিড় লেগেই আছে। তার জানাজায় লাখো মানুষ ঢল,আকাশে কবুরত ঝাক,আসমান মেঘলায় প্রমান করেছেন যে, তিনি একজন কামেল পীর ছিলেন। তার জানাজায় ৪ কিলোমিটার এলাকায় জুড়েই রাস্তার উপর ৭টি করে মানুষ লাইন বেধে দাড়িয়ে জানাজা নামাজ আদায় করেছেন।
সিলেটের খ্যাতিমান আলেম দ্বীন মুফতি আল্লামা গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী ফুলতলী তার জানাজায় নামাজের ইমামতি করেছেন।
দোয়ার মধ্য দিয়ে শেষ হয় অত্যন্ত জনপ্রিয় মুহাদিসের জানাজা । জানাজা শেষে তাকে
নিজের ওসীয়ত মতো তার বাড়ির পুকুর পাড়ে তার মা বাবার পাশে দাফন করা হয়। তিনি বাড়ি পাশে চিরনিন্দ্রা শায়িত আছে।
জানাযা ও অলৌকিক কারামত !
ঝাঁকে ঝাঁকে জালালী কবুতর কিছমিছ করে কান্নার সুর অচেনা লাখো লাখো মানুষের ঢল। সবার চোখে জল। আকাশে বাতাসে হাহাকারের আকুতি মিনতির আর্তনাদ। সাদা টুপি, সাদা জামায় গোটা এলাকায় মুখরিত হয়ে উঠল।
শাহজালাল ইয়ামনি (রহঃ) এর জালালী কবুতরগুলো সবার উপরে ছায়া ছড়িয়ে দিচ্ছে, যেন জালালী কবুতরের ঝাঁক। হাজার হাজার কবুতর জানাযার শেষে কোথায় যেন অতল গভীরে হারিয়ে যায়। যা কেহ বলতে পারেনি। এসময় সৌরভে একটি চমৎকার সু-গন্ধ ছিল।
আল্লামা ছালিক আহমদ (রহঃ) এর জানাযায় শুধু মানুষ ছিলেন তা কেউ বলতে পারেবেন না। গুন গুনে কান্না ও আর্তনাদের সুর কানে আসছিল। পাখিরা ঝাঁক করে এসেছিল ঘটনাস্থলে। এতো মানুষের ঢল ও জামাত দৃশ্য অবাক হয়ে গেল। লাখো লাখো মানুষের সমাগম হয়েছিল। এখানে জানাযার শেষে কে? কোথায় চলে গেছেন। এদের তার কোনো হদিস পাওয়া গেল না। তাও একটি কারামত। জানাযায় হযরত শাহজালাল ইয়ামনি (রঃ) জালালী কবুতর শত শত ঝাক এসেছিল। তারা স্বচক্ষে প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন। তাও যেন একটি কারামত । আল্লামা ছালিক আহমদ (রহঃ)এর কারামত অসংখ্য অগনিত রয়েছে যা বলে শেষ করা যাবে না। হযরত শাহ জালাল ইয়ামনি (রহঃ) সাথে তার আত্মার সম্পর্ক । কেয়ামত পর্যন্ত এ শ্রদ্ধা, ভক্তি, প্রেম, প্রীতি, থাকবে চিরদিন।
আমাদেরকে সব ধরনের অন্যায়, জুলুম ও মন্দ কর্ম থেকে বেঁচে চলার তাওফিক দান করুন।তার মতো শ্রেষ্ঠ মানুষ হিসেবে কবুল করুন। আমিন##
লেখক,সাংবাদিক ও কবি আনোয়ার হোসেন রনি,ছাতক প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক ও জাতীয় কাব্যকথা সাহিত্য পরিষদের সুনামগঞ্জ জেলা শাখার প্রতিষ্টাতা সাবেক সভাপতি।
Leave a Reply