ছাতকে অনলাইনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেব্ল্যাকমেইল,নানা প্রতারণা ব্যাপক হারে বেড়েই চলছে।এসব প্রতারনার ঘটনায় নিয়ে পুলিশ,রাজনৈতিক,সাংবাদিককমী,শ্রমিক সহ নানা শ্রেনীর মানুষগুলো পড়েছেন চরম বিপাকে।
তার ফেসবুক আইডি থেকে ভিডিওকল রেকর্ড করে তা ভাইরাল করার ভয় দেখিয়ে নানা শ্রেনীর মানুষকে জিন্মি করে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে তা ডিলেট করার অভিযোগ উঠেছে এক প্রতারকের বিরুদ্ধে। সে কখনো পুলিশ,কখনো যুবলীগ,কখনো সাংবাদিক কখনো র্যাব পরিচয় দিয়ে প্রতারনা চালিয়ে যাচ্ছে।
তার নানা প্রতারনা,নিয়মনীতি বৃদ্ধাআঙ্গুল দেখিয়ে মিথ্যা ঘটনা তার নিজস্ব ফেইসবুক ছাতক টু সুনামগঞ্জ পেইজ দিয়ে লাইভ প্রচার কবে আসছে। তার পেইজ দিয়ে নারী নিযাতর্ন,ধষন,খুনের ঘটনায় স্বাক্ষীর জবানবন্ধি ছাতক টু সুনামগঞ্জ নামে একটি আইডি দিয়ে একাধিক গুজব ছড়ানো অভিযোগের ঘটনায় থানারওসিকে সরানো হয়। তার ভুয়া গুজবে বলির হয়েছেন ছাতক থানার সাবেক ওসি শেখ নাজিম উদ্দিনকে ছাতক থানা থেকে অব্যাহতি দিয়ে সরিয়ে নেন সুনামগঞ্জ পুলিশ লাইনে।
গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সংগঠনের সভাপতি সাকির আমিন ও সাধারন সম্পাদক অলিউর রহমান যৌথ স্বাক্ষরিত সংগঠনের প্যাডে লিখিত ভাবে অব্যাহতি দেয়।
ফয়সল আহমদের বিরুদ্ধে ছাতক অনলাইন প্রেসক্লাবের প্রাথমিক সদস্য ও সহ-সভাপতি থাকা অবস্থায় সংগঠনের গঠনতন্ত্র বিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত, ফেইসবুক পেইজ ছাতক টু সুনামগঞ্জ নিয়ম বর্হিভূত ভাবে সংবাদ আকারে লাইভ সম্প্রচার সহ বিভ্রান্তিকর গুজব ছড়ানোর অভিযোগ উঠে। তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম দুনীতি প্রতারনার অভিযোগ তদন্তে প্রাথমিক ভাবে সত্য বলে প্রমানিত হয়েছে।
জানা যায়, ফয়সল আহমদ দীর্ঘদিন ধরে সংগঠন বিরোধী কার্যকলাপ ও তার নিজ ছাতক টু সুনামগঞ্জ ফেইসবুক পেইজ থেকে বিভিন্ন সময় বিভ্রান্তিকর লাইভ সম্প্রচার করায় আসছে। গত ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ ইং তারিখে ছাতক থানার একটি হত্যা মামলার আসামীকে পুলিশ কতৃক জিজ্ঞাসাবাদের ভিডিও তার ফেইসবুক পেইজ থেকে লাইভ সম্প্রচার করেন। পরবর্তীতে ১২ আগষ্ট ২০২২ ইং তারিখে উপজেলার পীরপুর গ্রামের এক প্রবাসীর স্ত্রীর ঘরে চুরির ঘটনার চারদিন পর ডাকাতির ঘটনা সাজিয়ে লাইভ সম্প্রচার করে ফয়সল আহমদ। এ ঘটনায় পুলিশ তদন্তে চুরি বা ডাকাতির কোন সত্যতা মিলেনি। এ ঘটনাটি পুলিশের গোপন শাথায় লিপিবদ্ধ করা হয়েছে বলে সুত্রে জানা গেছে। ৫ নভেম্ভর ২০২২ ইং তারিখে ছাতক থানার ওসিকে জড়িয়ে কোন এক ব্যক্তির সাথে মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে গোপন ফোন আলাপ ফয়সল আহমদের তার নিজ ছাতক টু সুনামগঞ্জ ফেইসবুক পেইজে লাইভ সম্প্রচার করে।
এ বিষয়ে ছাতক থানা পুলিশ ও স্থানীয় সংবাদকর্মীরা ছাতক অনলাইন প্রেসক্লাব সংশ্লিষ্টদের অবগত করেন। পরে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমেই এ বিষয়টি সংবাদও প্রচার করা হয়।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২ ইং ফয়সল আহমদে উপস্থিতিতে সংগঠনের এক সাধারন সভা অনুষ্টিত হয়। ফয়সল আহমদ তার নানা প্রতারনার সদুত্তর দিতে পারেনি। তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে খালেদ মিয়া, ফজল উদ্দিন ও জাকারিয়াকে সদস্য করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেন। একাধিকবার ফয়সল আহমদকে সতর্ক করা সত্বেও সে সংগঠন বিরোধী নানা অনিয়ম দুনীতি কাযক্রম অব্যাহত রাখে।
গত ৬ নভেম্ভর ২০২২ তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দাখিল করেন। যার অনুলিপি সংগঠনের উপদেষ্টা মন্ডলী আবুল লেইচ মোহাম্মদ কাহার,ছাতক প্রেসক্লাবেব সাধারন সম্পাদক আনোয়ার হোসেন রনি, সাংবাদিক শামীম আহমদ তালুকদারকে দেয়া হয়।
তার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদনে
বলা হয় ফয়সল আহমদ পেশারিত্বে অবহেলা, দেশের প্রচলিত আইন ও তথ্য প্রযুক্তি আইনের তোয়াক্কা না করা ও সংগঠন বিরোধী কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন। যাহা সংগঠন ও সংবাদকর্মীদের জন্য ঝুকিপূর্ণ। ফয়সল আহমদকে অনলাইন প্রেসক্লাব থেকে অব্যাহতি প্রদানের জন্য তদন্ত কমিটির পক্ষ থেকে সুপারিশ করা হয়।
অবশেষে ১৪ সেপ্টেম্বর সংগঠনের জরুরী বৈঠক অনুষ্টিত হয়। বৈঠকে সিদ্ধান্ত মোতাবেক ফয়সল আহমদকে ছাতক অনলাইন প্রেসক্লাবের সদস্য সহ সকল প্রকার দায় দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদান করেন।
এ ব্যাপারে ছাতক অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি সাকির আমিন ও সাধারন সম্পাদক অলিউর রহমান এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন তাকে ক্লাব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
এব্যাপারে সংগঠনের উপদেষ্টা মন্ডলী আবুল লেইছ মোহাম্মদ কাহার,ছাতক প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক আনোয়ার হোসেন রনি ও সাংবাদিক শামীম আহমদ তালুকদারকে অনুলিপি প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করেন।
Leave a Reply