Featuredআইন-আদালতআলোচিত খবরবিভাগ ও জেলাশিক্ষাসারাদেশ

সুনামগঞ্জ পিটিআইয়ের লম্পট দুই প্রশিক্ষকের মধ্যে এক রাজিব বদলী হলেও অপর লম্পট সাহেদ বহাল তবিয়তে

বিশেষ প্রতিনিধি:
মানুষ গড়ার কারিগর হচ্ছেন শিক্ষক সমাজ আর এই শিক্ষকদের যারা প্রশিক্ষণ দেন তারা হচ্ছেন প্রশিক্ষক বা ইন্ট্রাক্টর। সুনামগঞ্জ পিটিআইয়ের দুই জন লম্পট প্রশিক্ষক রাজিবুল ও সাহেদের বিরুদ্ধে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহা পরিচালক বরাবরে লিখিত অভিযোগ করার পর রাজিবুল হাসানের বদলী হলেও বহাল তবিয়তে আরেক লম্পট সাহেদ।

তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, রাজিবুল হাসান ও সাহেদ আলম দুজনের বিরুদ্ধেই নারী শিক্ষিকার সাথে যৌন কেলেংকারীর অভিযোগ রয়েছে। গেল বছর এক শিক্ষিকার সাথে যৌন কেলেংকারী সর্ম্পৃক্ততা উঠে আসে রাজিবুল ও সাহেদের মোবাইল ফোন থেকে। মোবাইল ফোনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক নারী শিক্ষকের সাথে অবৈধ যৌন সর্ম্পকের তথ্য উঠে আসে। ঐ নারী শিক্ষিকার মোবাইল ফোন হোস্টেল কর্তৃপক্ষ জব্দ করার পর উঠে আসে দুই প্রশিক্ষক রাজিব ও সাহেদের অজানা কাহিনী। তাদের মোবাইলের স্কিনসটে যথেষ্ঠ প্রমানাদি বেরিয়ে আসে এবং ঐ সময় তাদের বিরুদ্ধে স্থানীয় সচেতন মহলের নাম ব্যবহার করে মহাপরিচালক বরাবরে লিখিত অভিযোগ করা হয় এবং তৎপ্রেক্ষিতেই লম্পট রাজিবুলকে অন্যত্র বদলীর নির্দেশ দেয় এবং সাহেদের বিরুদ্ধে এখনও কোন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহন না করায় সচেতন প্রশিক্ষনার্থীরা ভয় পাচ্ছে এবং কখন যে কার উপর নজর পড়ে সেটা বলা মুশকিল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষিকা জানান, আমাদের পিটিআইয়ে ইন্ট্রাক্টর রাজিবুল হাসান ও সাহেদ এর যন্ত্রনায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে অনেক শিক্ষিকা। তাদের চাহিদা পুরণ না করা হলে পিটিআই প্রশিক্ষণ পরীক্ষায় নম্বর কম কিংবা ফেল করানোর হুমকি দেয়। বাধ্য হয়ে তাদের সাথে সুসর্ম্পক রাখতে হয়। রাজিবুল হাসান বদলী হলেও আরেক লম্পট সাহেদ আলমের বদলী না হওয়ায় শঙ্খায় আছেন অনেক প্রশিক্ষনার্থী।
অভিযুক্ত রাজিবুল আলম ভুইয়া জানান, সকল অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, আমি সুনামগঞ্জ পিটিআইয়ে গত সাড়ে ৫ বছর অত্যন্ত সততা ও নিষ্টার সাথে চাকুরী করেছি।

এ ধরনের কোন কেলেংকারীর অভিযোগ উঠেনি। বৃহস্পতিবার শিক্ষার্থী ও প্রশিক্ষকরা আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় দিয়েছেন। তবে গত কয়েক মাস যাবৎ আমার ফেইসবুক আইডিতে সঠিকভাবে কাজ করতে পারছিলাম না।

আমার আইডি হ্যাক করে কেউ এ কাজটি করতে পারেন। আপনার আইডি হ্যাক হলে এখন পর্যন্ত থানায় জিডি করেননি কেন প্রশ্ন করলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান এবং এ বিষয়ে কেউ কোন সংবাদ প্রকাশ করলে আমি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করব। অভিযোগের প্রেক্ষিতে বদলীর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জনস্বার্থে আমাকে অন্যত্র বদলী করা হয়েছে।

অভিযুক্ত অপর প্রশিক্ষক সাহেদ আলম জানান, আমি ছুটিতে আছি। এখন ব্যস্ত। গেল বছর এক মহিলা শিক্ষিকার সাথে যৌন কেলেংকারীর বিষয়ে সম্পৃক্ততা ছিল কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, মোবাইলে কোন কথা বলতে চাই না। সরাসরি এ ব্যাপারে কথা হবে।
পিটিআইয়ের সুপারেন্টেড জসিম উদ্দিনের কাছে দুই লম্পট প্রশিক্ষকের যৌন কেলেংকারীর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গত বছর একজন শিক্ষার্থীর মোবাইল ফোন আটক করা হলে এই দুই প্রশিক্ষকের সাথে যৌন সর্ম্পকের বিষয়টি উঠে আসে। আর তখনই তাদের বিরুদ্ধে ডিজি বরাবরে লিখিত অভিযোগ করা হয়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
error: Content is protected !!