
ছাতকে প্রতীক বরাদ্দের আগেই বিধি লঙ্ঘন পোষ্টার দিয়ে প্রচারনা
ছাতকে প্রতীক বরাদ্দের আগেই বিধি লঙ্ঘন পোষ্টার দিয়ে প্রচারনা
ছাতক প্রতিনিধি,
ছাতক উপজেলা ১০টি ইউপির পরিষদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে প্রতিদিন প্রচারণা চালাচ্ছেন আ. লীগ প্রার্থীরা এমন অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় প্রায় প্রতিদিনই পোষ্টার ব্যানার টাঙ্গিয়ে নৌকার জন্য ভোট চাইলেন নৌকার প্রাথীরা ।
সরকার দলীয় প্রার্থীদের পাশাপাশি বিদ্রোহী প্রার্থীরাও বসে নেই। তারাও বিভিন্ন ঘরোয়া গনসংযোগ পথসভায় অংশ নিচ্ছেন।
আচরণবিধি লঙ্ঘন করে প্রচারণার বিষয়ে অবগত নন নির্বাচন কর্মকর্তারা। তবে, অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান তারা।
এদিকে ছাতক শহরের ১০টি ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে, শহরের নতুন বাজার ধারন সিলেট সুনামগঞ্জ নৌকা প্রতীকের নিবাচনী পোষ্টার ব্যানার টাঙ্গিয়ে নৌকার প্রচার প্রচারনা চলছে। নিবাচন কমিশন দেখে ও না দেখার বান করছে।
শহরের গোবিন্দগঞ্জ ট্রাফিক পয়েন্ট,নতুনবাজার ধারন,মৈশাপুর বাজার,কৈতকপয়েন্ট,জাউয়াবাজার,বড়কাপন,হাসনাবাদবাজার,রাজাপুর,কালারুকা,রামপুর,পীরপুর,লাকেশ্বর,দোলারবাজার,জাহিদপুর,মইনপুর বাজারসহ ও শতাধিক সিএনজি চালিত অটো রিকশা, কার, মাইক্রোবাস ইত্যাদিতে প্রার্থীর ছবি সংবলিত স্টিকার পোষ্টার লাগানো রয়েছে।
ছাতকে বিভিন্ন সড়কে মোটরসাইকেল শো ডাউন করতেও দেখা গেছে। এ ছাড়া প্রায় প্রতিদিন ‘বিজয়ের মালা আনবো, ১১নভেম্বর নৌকা মার্কায় ভোট দিকে ভোট কেন্দ্রে যাবো’ স্লোগান সংবলিত পোষ্টার ব্যানার নিয়ে
উপজেলার যুবলীগের সাধারন সম্পাদক ও উত্তর খুরমা ইউপির বতমান চেয়ারম্যান বিল্লাল আহমদ বিভিন্ন গ্রাম পাড়া মহল্লায় নৌকার জন্য ভোট চাইলেন তিনি। এসব গনসংযোগ পথ সভার অনুষ্ঠানের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
পোষ্টার ব্যানার তৈরি ও নিবাচনীয় অফিস করার এ ঘটনা নিয়ে এলাকায় টান টান উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র আ`লীগের বিদ্রোহী প্রাথী সামছুল ইসলাম খান অভিযোগ করে বলেন,সরকার দলীয় ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে প্রতীক বরাদ্দের আগেই পোষ্টার ব্যানার তৈরি ও নিবাচনীয় অফিস করেন নতুনবাজার ধারন ও মৈশাপুর বাজারে।
আ`লীগের বিদ্রোহী প্রাথী এভভোকেট মনির উদ্দিন জানান বতমান চেয়ারম্যান বিল্লাল আহমদ বিরুদ্ধে ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে
নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে প্রতীক বরাদ্দের আগেই পোষ্টার ব্যানার দিয়ে গনসংযোগের ঘটনায় আচরণবিধি লঙ্ঘন করে প্রচারণা করার ফলে উত্তর খুরমা ইউনিয়নের শান্তি নষ্ট হবে। আমরা চাই একটি সুন্দর সুষ্ঠু নির্বাচন হোক। এভাবে আচরণবিধি ভেঙে একটি ত্রিমুখী দ্বন্দ্ব তৈরির চেষ্টা চলছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নৌকার মনোনীত প্রার্থী বিল্লাল আহমদকে ফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
ছাতক উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও উপজেলা ইউপি পরিষদ নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা কৃষি কর্মকতা, তৌহিকুল ইসলাম খান,জানান,প্রতীক বরাদ্ধে আগে পোষ্টার ব্যানার টাঙ্গিয়ে কেউ গনসংযোগ প্রচার প্রচারণা করতে পারবে না। সেটা আচরণবিধি লঙ্ঘন হবে। আমাদের কাছে কোন প্রার্থী অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আমরা ব্যবস্থা নেব।
গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দ্বিতীয় ধাপে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই অনুষ্টিত হয়েছে।
বাছাইয়ের পর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের ২২, ২৩ ও ২৪ অক্টোবর। আর আপিল নিষ্পত্তি হবে ২৫ অক্টোবর। প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা যাবে ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত। ২৭ অক্টোবর প্রতীক বরাদ্দ। ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ১১ নভেম্বর।##
##