
ছাতকে ইস্কুল ছাত্রীর ইজ্জতের মুল্য ৭৫হাজার টাকা ধাষ্য করে শালিস কমিটির চেয়ারম্যান
`ছাতক প্রতিনিধি,
ছাতকে ধষনের চেষ্টার ঘটনায় ইস্কুল ছাত্রীর ইজ্জতের মুল্য ৭৫হাজার টাকা ধাষ্য করেছেন শালিস কমিটির চেয়ারম্যান। এ ঘটনার অভিযোগ দায়ের একমাস ১৬দিন পর শালিশ বৈঠকের মাধ্যমেই অালোচিত ঘটনার আপোষ নিস্পতি করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান গয়াস আহমদ। ভিকটিমে বাবা দেয়ায় অভিযোগে প্রায় ৪ মাস পর মামলা রুজু করেন থানার পুলিশ। রহস্যজনক কারনে পুলিশ শালিশ বৈঠকে নিস্পতি করার পর ও আসামীর বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে রুবেল আলী নামে একজনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। অবশেষে গ্রেফতারকৃত আসামী রুবেলকে করে আদালতে পাঠিয়ে ৩দিনে রিমান্ডের আবেদন করেছে থানার পুলিশ । গত রোববার সুনামগঞ্জ আদালতে তার রিমান্ড মঞ্জুর নিয়ে উভয় পক্ষের আইনজীবিদের বক্তব্য শুনে আদালত আসামীর রিমান্ড না মঞ্জুর করেন এবং জেলহাজতে দেয় আদালত। গত ৩০জানুয়ারি ইস্কুলে থেকে তার নিজ বাড়িতে ফিরার পথে লাকেশ্বর মাদ্রাসার রাস্তা মাঝপাড়া এলাকায় গোবিন্দগঞ্জগামী রাস্তা সামন
এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিয়ে দেশ বিদেশে গন মাধ্যমই ফেইস বুকে চলছে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে উপজেলাজুড়েই ।
জানা যায়,উপজেলার ছৈলাআফজলাবাদ ইউপির লাকেশ্বর এল,পি উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রীকে কলসুমা বেগম একই গ্রামের সমুজ আলীর কন্যাকে প্রায় সময় স্কুলে যাওয়া আসার পথে কারনে অকারনে নানা রকম খারাপ অঙ্গভঙ্গি করে এবং ভিকটিমকে প্রেম ভালোবাসা সহ নানা কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছে একই গ্রামের মখদ্দুছ আলীর পুত্র রুবেল আলী (২১)। গত ৩০জানুয়ারি তার নিজ বাড়ি থেকে স্কুলে চলে যায় । ইস্কুলে থেকে তার নিজ বাড়িতে ফিরার পথে লাকেশ্বর মাদ্রাসার রাস্তা মাঝপাড়া এলাকায় গোবিন্দগঞ্জগামী রাস্তা সামনে পৌছিলে পৃব থেকে উৎপেতে বসে থাকা রুবেল আলী ভিকটিমকে ঝাপটে ধরে জোরপুবক ভাবে ব্যাটারি চালিত অটোরিকসা তুলে এলাকায় গোবিন্দগঞ্জগামী পাকা সড়কের পাশের জঙ্গলে নিয়ে ভিকটিমকে জোরপু্বক জড়িয়ে ধরে তার শরীরে স্পশকাতর স্থানে হাত দিয়ে তাকে উত্তেজিত করে ধর্ষন করার চেষ্টা করেছেন রুবেল আলী।
পর ভিকটিম বাচাঁও বাচাঁ ও বলে সুর চিৎকার আশ পাশের লোকজন ঘটনাস্থল থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার করেছেন এলাকাবাসির লোকজন ।
পরে এ বিষয়টি স্থানীয় ভাবে ইউপির চেয়ারম্যান গয়াস আহমদ এর কাযালয় লাকেশ্বর বাজারের উভয় পক্ষে নিয়ে গত ১৬ ফেরুয়ারি রুবেল আলীর কাছ থেকে ৭৫হাজার টাকা সিদ্ধান্ত নেন শালিস বৈঠকের সভাপতি ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান গয়াস আহমদ।
ইস্কুল ছাত্রী নিযাতনের ঘটনার আপোষ নিস্পতির আপোষনাসা থানায় জমা দেয়ার একমাস ২৩ দিন পর থানায় মামলা রুজু করার এ ঘটনায় এলাকার নানা সমালোচনার ঝড় উঠেছে । ভিকটিম বাবা সমুজ আলী ও আসামী রুবেল আলীর স্বাক্ষর নিয়ে আলাপ আলোচনাত্রুমে বিরোধ নিস্পতি করেন চেয়ারম্যানসহ ৮জন এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের স্বাক্ষর রয়েছে আপোষনামায়।
গত ৩ মার্চ স্থানীয় চেয়ারম্যান গয়াস আহমদ তার সভাপতিত্বে একটি শালিসনামা থানায় জমা দেয়।
থানায় আপোষনামা জমা দেয়ার এক মাস ২৩দিন পর গত ২৫ এপ্রিল সমুজ আলীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে থানার পুলিশ মামলা রেকর্ড় করেন।
গত ৭ মে রাতে ইস্কুল ছাত্রীর ধষনের চেষ্টার ঘটনার আপোষ বৈঠকে নিস্পতির পর আবার ও রুবেল আলীর বিরুদ্ধে দায়ের করায় অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিত পুলিশ রুবেল আলীকে তার গ্রামের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে গত ৮ এপ্রিল তাকে আদালতে প্রেরন করেন । এ ঘটনায় গত ৯ এপ্রিল রুবেল আলীকে আদালতে তোলে পুলিশ ৩ দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে আদালতে তার রিমান্ড না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে প্রেরন করেন।
এব্যাপারে স্থানীয় চেয়ারম্যান গয়াস আহমদ.জানান,ছাত্রী নিযাতনের ঘটনার আপোষে নিস্পতি করার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
এব্যাপারে এস আই মঙ্গল চাকমা জানান,এ ঘটনায় আসামী রুবেল আলী বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগে থাকায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরনের এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন তিনদিনের রিমান্ডের আবেদন আদালত না মঞ্জুর করেছে। ##