অর্থনীতিআইন-আদালতআলোচিত খবরসারাদেশ

ছাতক সিমেন্ট কারখানার মাটি কারখানায় বিক্রি নামে কোটি কোটি টাকা হরিলুট

ছাতক সিমেন্ট কারখানার মাটি কারখানায়
বিক্রি নামে কোটি কোটি টাকা হরিলুট

ছাতক প্রতিনিধি,
ছাতক সিমেন্ট কারখানায় আবারো শুরু হচ্ছে হরিলুট। বিসিআইসির এ প্রতিষ্ঠানটিকে ওয়েট প্রসেস থেকে ড্রাই প্রসেসে রূপান্তরত করতে প্রায় ৯’শ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিকের ঐক্যান্তিক প্রচেষ্টায় এ বিশাল প্রকল্পটির বরাদ্দ ও বাস্তবায়ন হচ্ছে। এদিকে বরাদ্দ পাওয়ার পর থেকে একটি চক্র এখানে লুটপাটের মহোৎসব চালিয়ে যাচ্ছে। টেন্ডার ছাড়াই বিভিন্ন কৌশলে কোটি কোটি টাকার কাজ বাগিয়ে নিচ্ছে সিন্ডিকেট চক্র। কারখানা থেকে মাটি ভরাটের কাজ নিয়ে একটি চক্র কারখানার নিজস্ব টিলা থেকে মাটি ও বালু কারখানায় বিক্রি করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠে। ছাতক সিমেন্ট কারখানার জেনারেল অফিস সংলগ্ন নতুন প্রকল্পের বিশাল এলাকার নিচু ভূমি ও প্রধান গেট সংলগ্ন এলাকায় মাটি ভরাটের কাজ নিয়েছে স্থানীয় সেলিম ব্রাদার্স নামের একটি প্রতিষ্ঠান। চায়নার নানজিং সি-হোপ সিমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেডের কাছ থেকে মাটি ভরাট কাজ নেয় সেলিম ব্রাদার্স। তথ্য নিয়ে জানা যায় সিমেন্ট কারখানার সিবিএ সেক্রেটারি সেলিম ব্রাদার্সের নামে কাজ নিয়ে কারখানার সংরক্ষিত লালপাহাড় থেকে মাটি সংগ্রহ করে কারখানায় মাটি সাপলাই দিচ্ছেন। সিবিএ সেক্রেটারি আব্দুল কুদ্দুছের দাপটেই এখানে এসব হচ্ছে বলে স্থানীয় একাধিক সূত্র জানিয়েছেন। সর্বোচ্চ মূল্যে মাটি ভরাটের কাজ নিয়ে তারা বিনামূল্যে মাটি সংগ্রহ করে কারখানার মাটি কারখানায়ই বিক্রি করে যাচ্ছে। এতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান, কারখানার অসাধু কর্মকর্তা ও সিবিএ সেক্রেটারি আব্দুল কুদ্দুছের পকেটভারী হচ্ছে। প্রতি রাতেই ভারী ট্রাক দিয়ে কারখানায় মাটি আনার ফলে সিমেন্ট কারখানার ৪ নং এলাকা থেকে কারখানার অভ্যন্তর পর্যন্ত চলাচলের পাকা রাস্তাটি ভেঙ্গে গেছে। জনসাধারণের যাতায়াতে চরম ভোগান্তির সৃষ্টি হচ্ছে। রাস্তায় কাদামাটি জমে থাকায় রিকশা, অটোরিকশা চলাচলেও ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। এদিকে টেন্ডার ছাড়াই কোটেশনের মাধ্যমে নতুন প্রকল্পের কোটি কোটি টাকার কাজ ভাগ-বাঁটোয়ারা ঘটনায় সিমেন্ট কারখানায় তোলপাড় হচ্ছে। ইতিমধ্যে সিবিএ সেক্রেটারি আব্দুল কুদ্দুছ ৬ টি প্যাকেজে প্রায় ৪ কোটি টাকার কাজ বাগিয়ে নিয়েছেন বলে জানা গেছে। স্থানীয় জিয়াউল হক, ফয়সল আহমদ, মাসুক মিয়া, সাইফুল আলম সহ ৪ নং বাজার এলাকার লোকজন জানান, রাতে স্কেভেটর দিয়ে টিলা কেটে ট্রাকে করে মাটি ও টিলার নিচের বালু কারখানায় নিয়ে যাচ্ছে ঠিকাদারের লোকজন। লাল পাহাড়ের মাটি ছাতক সিমেন্ট কারখানায় উন্নত সিমেন্ট তৈরির কাজে ব্যবহার হতো। এখন খাল ভরাটের কাজে লাল পাহাড়ের মাটি ঠিকাদাররা ব্যবহার করছে। এ ব্যাপারে ছাতক সিমেন্ট কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও নতুন প্রকল্পের পিডি এএফএম বারী যুগান্তরকে জানান, কারখানার নিজস্ব টিলা থেকে ঠিকাদার কর্তৃক মাটি সংগ্রহের এ বিষয়টি তিনি শুনেছেন। এ বিষয়ে তদন্তের জন্য সিকিউরিটি কর্মকর্তাকে বলা হয়েছে। এ বিষয়টি সঠিক হলে দ্রæত এর ব্যবস্থা নেয়া হবে ।##

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
error: Content is protected !!