Featuredআলোচিত খবরউপজেলাদূর্নীতি

ছাতকে নৌ-পথে চাঁদাবাজি বন্ধ নিয়ে পুলিশ ও চাদাঁবাজরা এখন মুখামুখি

ষ্টাফরিপোটার,
ছাতকে অরক্ষিত নৌপথ, ঘাটে ঘাটে চাঁদা সুরমা নদীতে চাঁদাবাজরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে এখন। এসব চাঁদাবাজদের কে নৌ পুলিশ প্রতিদিন টহল জোরদার করে বিশেষ অভিযান করে আটক করা হলে ও, কোন ভাবে থামছে না নৌ পথে চাঁদাবাজি। সুরমা নদীর অবৈধ চাদাবাজির এ ঘটনায় নিয়ে পুলিশ ও চাদাঁবাজরা এখন মুখামুখি। যে কোন সময় পুলিশ ও চাদাঁবাজদের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষের আশংকা বিরাজ করছে। ছাতক-কোম্পানীগঞ্জ নৌপথ থেকে প্রতিদিনই ৭-৮টি স্থান থেকে ৩-৪ লাখ টাকার মতো চাঁদাবাজরা চাদাঁ আদায় করছেন পাথর-বালু ও চুনাপাথরবাহী বার্জ-কার্গো ও বারকি নৌকা থেকে প্রতিদিন আদায় করেন।ছাতকে সুরমা নদীতে সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজি বন্ধের কঠোর নিদের্শ দিয়েছেন সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বিপিএম, সুরমা নদীতে বেপরোয়া চাঁদাবাজি বন্ধের লক্ষে গত কয়েক দিনে ৪টি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। উপজেলার দায়েরকৃত এসব মামলায় অর্ধ শতাধিক জনকে আসামি করা হয়েছে।

এ পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন স্থানে নৌ-পুলিশ থানা পুলিশ পৃথক পৃথক অভিযান চালিয়ে ১৫ জন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছেন। মামলার ভয়ে চাদাবাজরা এখন আতœগোপনে চলে গেছেন। জানা গেছে. ছাতক কোম্পানীগঞ্জের সন্ত্রাসীরা নৌপথে কার্গো জাহাজ বলগেট নৌকা মালবাহী থেকে চাঁদা রশিদের মাধ্যমে প্রতিদিন শ’শ’ রাবকি মাঝিদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করছেন। ছাতক ও কোম্পানীগঞ্জের নদীতে ৭-৮ টি পয়েন্ট থেকে এসব চাঁদাবাজ চাঁদা উত্তোলন করে আসছেন। ছাতক থানার কালারুকা বাজার ও ছাতক শহরে নৌযান চালিত ইঞ্জিন থেকে এলাকার অস্ত্রবাজ, সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজরা দীর্ঘদিন ধরে চাঁদা আদায় করেছে। তাদের কথামতো চাঁদা না দিলে বেঁধে নির্যাতন ও হামলার শিকার হচ্ছেন শ্রমিকরা। এছাড়া কালারুকা ইউনিয়নে মুক্তির গাওঁ,শিমুলতলা,পীরপুর,সিঙ্গেল খালের মুখ, চাঁদাবাজরা প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা চাঁদা উত্তোলন করে।সুরমা নদীতে এভাবে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে বাংলাদেশ ইনল্যান্ড ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআইডবিউটিএ), ছাতক পৌরসভা এবং শাহজালাল সমবায় সমিতিসহ বিভিন্ন নামে। বিআইডবিউটিএর নিজস্ব কোনো ঘাট নেই। শাহজালাল সমিতিসহ চাঁদা আদায়কারী বিভিন্ন সংগঠনেরও কোনো বৈধতা নেই।

এসব চাঁদাবাজির নেপথ্যে রয়েছেন পৌরসভার কয়েকজন ওয়ার্ড কাউন্সিলর, যারা আ’লীগ-’িবএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত রয়েছে। এরই মধ্যে পাথর ব্যবসায়ী সমিতি, শাহপরাণ ইঞ্জিন নৌকা মালিক সমিতি ও একতা বালু উত্তোলন এবং সরবরাহকারী ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমিতিসহ পাঁচটি সংগঠনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ দায়ের করেন। চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় এমপি, পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে ব্যবসায়ীরা আলাদাভাবে বৈঠকও করেছেন। ছাতক ও কোম্পানীগঞ্জের সুরমা, চেলা এবং পিয়াইন নদীপথে বালু, পাথর, চুনাপাথর ও কয়লা নিতে আসে বাল্কহেড, বার্জ, কার্গো ও ইঞ্জিনচালিত নৌকাসহ শতাধিক বিভিন্ন ধরনের নৌযান চলাচল করে। এসব নৌযান ভোলাগঞ্জ, শাহ আরেফিন টিলা, বিছনাকান্দি ও লোভাছড়া পাথর কোয়ারিসহ বিভিন্ন কোয়ারি থেকে পাথর সংগ্রহ করে। এছাড়া ভারত থেকে চুনাপাথর, বোল্ডার-সিঙ্গেল আমদানি করেও ছাতক নৌ-বন্দর এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় ডাম্পিং করা হয়। এসব স্থানের ব্যবসায়ীদের নৌযানকে ছাতক ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মধ্যবর্তী নৌপথের ইছাকলস, চেলা নদীর মুখ, থানাঘাট, চাঁদনীঘাট, পেপারমিল ঘাট, নোয়ারাইঘাট ও বারকাপন এলাকায় চাঁদা দিতে হয় ।

এদিকে চাদাঁবাজরা ছাতক-কোম্পানীগঞ্জ পৃথক পৃথক গোপন বৈঠক অনুষ্টিত হয়েছে বলে বারকি শ্রমিকরা জানিয়েছেন।এব্যাপারে ছাতক নৌ পুলিশের ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম জানান,চাদাঁ আদায়কালে ১৫ জন চাদাঁবাজদের গ্রেফতার করে তাদের নামে পৃথক পৃথক মামলা দায়ের করা হয়। মামলা ভয়ে নৌ-পথে চাদাবাজরা এখন আতœগোপনে চলে গেছেন। ্এ ব্যাপারে (ছাতক দোয়ারাবাজার )সাকেল বিল্লাল আহমদ জানান,সুুরমা নদীতে চাঁদাবাজি বন্ধের জন্য ছাতক নৌ-পুলিশের পাশাপাশি থানা পুলিশ, দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন, এবং চাঁদাবাজির নৌকাসহ চাঁদাবাজদেরকে আটক করা হলেও বর্তমানের ছাতক সুরমা নদী নৌপথে-কয়েকটি পয়েন্টে চাঁদা বন্ধ আছে,। নৌপথে-চাদাঁবাজি বন্ধের লক্ষে পুলিশ কঠোর অবস্থানে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
error: Content is protected !!