ছাতকে ডাকাতির দায় স্বীকার করে আদালতে ৭ জনের জবানবন্দি
ছাতকে ডাকাতির দায় স্বীকার করে আদালতে ৭ জনের জবানবন্দি
ছাতক প্রতিনিধি,
ছাতকে ডাকাতির চেষ্টার ঘটনায় দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন ৭ জন আসামি আদালতে। গত ২৪ অক্টোবর রাতে গোবিন্দগঞ্জ সৈয়দ গা্ও ইউপির তকিপুর গ্রামে গিয়াস মিয়ার বাড়িতে ডাকাতির প্রস্ততিকালে এ ঘটনায় ৭জন ডাকাত পুলিশ আটক করেন। এ ঘটনার দায় স্বীকার করে স্বীকরোক্তিমুলক ও তথ্য দেয়ায় তার সহযোগীদের পুলিশ আটক করেছে। গত শনিবার সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ বিশেষ দল একটি অভিযান চালিয়ে গোবিন্দগঞ্জ এলাকায় থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি সুনামগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিল্লাল হোসেন গত রোববার বিকেলে তারা ৭জনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নথিভুক্ত করেছেন। তারা হলো ছৈলাআফজলাবাদ ইউপির শিবনগর-নোয়াপাড়া গ্রামের হানিফ আলীর পুত্র রইছ আলী(৩০) একই ইউপির দীঘলী মাঝ পাড়া জালাল মিয়ার পুত্র হোসেন আহমদ(২০) দীঘলী পুরতান বাজারে চেরাগ আলীর পুত্র টাটা পিকাপ চালক জুয়েল মিয়া (২৫) গোবিন্দগঞ্জ সৈয়দগাও ইউনিয়নের চাকলপাড়া গ্রামের কালাম উদ্দিনের পুত্র সুমন মিয়া (১৯)একই ইউপির চাকলপাড়া গ্রামের মাসুক মিয়ার পুত্র রাকিব(১৮) চাকলপাড়া গ্রামে মৃত আলীর পুত্র মাহবুর মিয়া (১৮) একই গ্রামে সমছুমিয়ার পুত্র ফরহাদ মিয়া(১৮)সহ ৭ জন পুলিশ আটক করেছে। এদিকে গোবিন্দগঞ্জ বাজারে স্বর্নের দোকানে ডাকাতির এ ঘটনায় জড়িত দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি
আদালতে দিয়েছেন অভিযুক্তরা।গ্রেফতারকৃতদের স্বীকারোক্তি ও তথ্য মতে তার বসতঘর থেকে ডাকাতির ঘটনায় লুন্ঠিত ০৪টি রোপার চেইন ও একটি স্বর্নের আংটি উদ্ধার ও একটি পিকার গাড়ি জব্ধ করেন। পুলিশ জানান, উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ নতুনবাজার ও পুরাতন বাজার দোকানে প্রায়ই আড্ডা দেন ও নেশা করেন আসামিরা। ২৪ অক্টোবর তাদের হাতে টাকাপয়সা না থাকায় আসামিরা পরিক্ল্পনা করে ডাকাতির প্রস্ততি নেন।এছাড়া মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। গত সোমবার সহকারি পুলিশ সুপার বিল্লাল হোসেন এ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন ডাকাতির চেষ্টা করেন অভিযুক্ত আসামিরা।