
এসআই আকবরের পলায়ন লাপাত্তা নোমান ও হেলাল
এসআই আকবরের পলায়ন
লাপাত্তা নোমান ও হেলাল
বিশেষ প্রতিনিধি,
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের সাংবাদিক নামধারী নোমান ও চোরাকারবারী হেলাল-এর মাধ্যমে ভারতে পাড়ি জমিয়েছে রায়হানের খুনী এসআই আকবর হোসেন ভুইয়ি। এমন খবর সীমান্তবর্তী একটি সূত্রের। তাই আকবরের সাথে লাপাত্তা নোমান ও হেলাল। যদিও আকবরের আত্মগোপন নিয়ে নানা ধূম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। ধারনা করা হচ্ছে রকমফের।নোমান সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ থানার বুড়িডহর গ্রামের ইসরাইল আলীর পুত্র ও হেলাল একই থানার সীমান্তঘেষা বরমসিদ্ধিপুর গ্রামের আব্দুল করিমের পুত্র। নোমান এসআই আকবরের খালাতভাই। আর হেলাল হচ্ছে নোমানের ঘনিষ্ট বন্ধু। হেলালের বাড়ির অতি নিকটেই ভারতের মেঘালয়া রাজ্যের বড়পুঞ্জি গ্রাম ও বাজার। পাহাড়ের পাদদেশে 1255 নং পিলারের কাছে এই বাজারে সপ্তাহে একদিন বাংলা-ভারত যৌথহাট বসায় বিএসএফ। সমর্থন দেয় স্থানীয় বিজিবি। সুত্রমতে চোরাকারবারী হেলাল ভারতের ওই বড়পুঞ্জি বাজার এলাকাস্থ আরাকান নামে একটি খাসিয়া মেয়েকে প্রেম করে বিয়ে করে। বিয়ের সুবাদে খাসিয়া নারী আরাকানের বাড়ি এবং শিলং গোহাটি যাতায়াতে হেলাল ও তার সঙ্গীদের বাধা দেয় না বিএসএফ ও মেঘালয় পুলিশ। সিলেটের উত্তর সীমান্ত বেষ্ঠিত মেঘালয় পাহাড়ের খাসিয়া নারীরাই সবকিছু। তাই খাসিয়া নারীর সাথী হয়ে কেউ সীমান্ত পার হতে বাধা দেয় না সে দেশের সীমান্তরক্ষী ও পুলিশ। গত ১১ অক্টোবর রায়হান খুনের পরদিন সোমবার বরখাস্ত হন এসআই আকবর। এরপরই সটকে পড়েন ফাড়ি ও কর্মস্থল থেকে। এর আগে করে নেওয়া হয় সিসি ক্যামেরায় হার্ডিক্স কারিগরি।
সূত্রমতে ওই দিন রাতেই খালাতো ভাই নোমান তাকে নিয়ে যায় কোম্পানীগঞ্জের উত্তর কলাবাড়িস্থ জনৈক বিলালের বাড়িতে। পরদিন মোটর সাইকেলে করে আকবরকে পাঠানো হয় বরমসিদ্ধিপুরস্থ হেলালের বাড়িতে। সেখানে আরেক রাত যাপনের পর ভোরে 1255 মেইন পিলার হয়ে হেলাল ও তার খাসিয়া স্ত্রী আরাকান এসআই আকবরকে পার করে নিয়ে যায় ভারতের মেঘালয়া রাজ্যে। তখন থেকেই লাপাত্তা নোমান হেলাল ও আকবর।তবে অপর একটি সূত্রে জানা গেছে,হেলালকে কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ মঙ্গলবার একটি মামলায় গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে এবং বর্তমানে সে সিলেট কারাগারে।