আইন-আদালতউপজেলাসারাদেশ

একজন আদর্শ অফিসার শাহ সৈয়দ মকবুল হোসেন

একজন আদর্শ অফিসার
শাহ সৈয়দ মকবুল হোসেন

স্মৃতি-বিস্মৃতি নিয়ে মানুষের জীবন। কোন কোন স্মৃতি আছে সুখের। আবার কোন কোন স্মৃতি দুঃখের বেদনার। আনন্দ-বেদনা মিশ্রিত স্মৃতি সবসময়ই জাগানিয়া। ভুলতে চাইলে ও সহজে ভুলা যায় না। বাব বার পটে-মানস নয়নে ভেসে উঠে। ছাতক উপজেলার আনসার ভিডিপি কর্মকতা ও নির্ভীক সমাজসেবক মরহুম শাহ সৈয়দ মকবুল হোসেন ছালিক এর সঙ্গে আমার জীবনে অনেক স্মৃতি আছে। তাঁর অফিসে বসে জীবনের এসব স্মৃতি আমি ভুলিনি। মনে আছে নিখুতভাবেই। তাঁর মৃত্যুর পর এসব আর ও বেশি করে মনে পড়ছে। তাঁর অফিসে প্রধান ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম আমাদের পরিচয় করে দিলেন সৈয়দ মকবুল হোসেন আমাদের অফিসে প্রশিক্ষন কর্মকতা হিসেবে যোগদান করছেন। তখন থেকেই তাকে আমরা সৈয়দ ভাই বলে ডাকতে শুরু করি। আমরা কয়েক’জন জাতীয় পত্রিকার প্রতিনিধিরা তাকে সৈয়দ ভাই ডাকি বলে তিনি অন্যান্য সকল সাংবাদিকদের কাছে সৈয়দ ভাই হয়ে গেলেন। সৈয়দ ভাইকে আমরা সকলে সম্মান করতাম। তাঁকে আমাদের বড় ভাই হিসেবে যে কোন সময় তার সাথে পরামর্শ নিতাম। তিনি সবাইকে ¯েœহ ,আদর করতেন। তাঁর বন্ধুমুলক অমায়িক ব্যবহার আমাদেও সকলকে মুগ্ধ করে তোলেন।অত্যন্ত অল্পদিনের মধ্যে তিনি সকলের মন জয় করতে সক্ষম হন। এই দু’বছর আমাদের সুখ-দুঃখ,আনন্দ-বেদনায় কেটেছে। আমাদের পরস্বপরের মধ্যে আন্তরিক মমত্ববোধ এবং প্রীতি যেন বিনা সুতার মালা দিয়ে আমাদেরকে এক করেছিল। কিন্তু সৈয়দ ভাইর সঙ্গে আমার সম্পর্ক আগের মতই থেকে গেছে। তাঁর শত কর্মব্যস্ততার মাঝে সুযোগ পেলেই আমরা এক সাথে অন্তত কিছু সময় কাটাতাম আন্তরিকতার সঙ্গে। ফেলে আসা দিনের প্রীতিময় স্মৃতি গুলো আজো ও আমাদেরকে কাঁদায়। সৈয়দ ভাই আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন না ফেরার দেশে। তিনি আমাদের মাঝে আর কোনদিন ফিরে আসবেন না ।তাঁর স্মৃতিগুলো তো রয়ে গেল। এসবই আমাদের কাছে জীবন্ত হয়ে রইল এবং থাকবে। আমরা ভুলিনি,ভুলব না। আমরা তাঁর জানাজায় যোগদান করি। সুযোগ পাই শেষ শ্রদ্ধা নিবেদনের। তাঁর নামাজে জানাজা ছিল মানুষের ঢল লোকে লোকারন্য নেমেছিল। মন থেকে মানুষ তাকে ভালোবাসতো। মাটি ও মানুষের জন্যে সৈয়দ ভাই নিবেদিত প্রান ছিলেন বলেই হাজার হাজার মানুষের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় তাঁর হয়ে অন্তিম সময়।
শাহ সৈয়দ মকবুল হোসেন( ছালিক) সিলেটের বিশ^নাথ উপজেলার খাঞ্জাজি ইউনিয়নের শাহ-সাহেবের গাও গ্রামে সৈয়দ বংশে জন্ম গ্রহন করেন। ছোট বেলায় সিলেটের গোলাপগঞ্জের হেতিমগঞ্জ এলাকার মছকাপুর গ্রামে তাঁর নানা বাড়িতে থেকে হেলিমিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় লেখা পড়া শুরু করেন। ৫মশ্রেনী পাশ করেন। একই এলাকার আতারিয়া বহুমুখি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৭২ সালে এস এস সি পাশ করেন।১৯৭৪ সালে সিলেটের ্সেরা বিদ্যাপীট সিলেট সরকারি কলেজ,সিলেট থেকে এইচ এস সি পাশ করেন এবং একই কলেজ থেকে ১৯৭৬ সালে স্œাতক ডিগ্রী লাভ করেন। দেশ স্বাধীনতার পর আনসার ভিডিপি মানবতা কল্যান সেবামুলক প্রতিষ্টানে সেচ্চাসেবক হিসেবে নিজ উপজেলায় যোগদান করেন। তিনি গোয়াইন থেকে সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলায় বদলি করা হয়। সেখান থেকে তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ বছর মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে অবশেষে না ফেরার দেশে চলে গেছেন। ১ নভেম্বর ২০১২সালে তার মৃত হয়। তার অকালমৃত্যুতে পবিরারসহ সকলশ্রেনীর লোকজন শোকাহত সমবেদনা ঞ্জাপন করেন। তার এক পুত্র সৈয়দ এমদাদ হোসেন শাওন ও এক কন্যা সন্তান সৈয়দা এমরানা বেগম। তার স্ত্রী ছিলেন হাজেরা বেগম।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
error: Content is protected !!