পৌরসভাবিভাগ ও জেলাসারাদেশ

আটক ২৭ ছাতকে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষ আহত ৫০

আটক ২৭
ছাতকে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে
দু’পক্ষের সংঘর্ষ আহত ৫০

ছাতক প্রতিনিধি,

ছাতক পৌরসভার এলাকায় দু’গ্রামবাসীদের দফায় দফায় সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৫০জন আহত হয়েছেন। গত শনিবার দুপুরে পৌর শহরের বাঁশখলা-বাজনামহল গ্রামবাসীর মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ এ সংঘর্ষের ঘটনা কে নিয়ন্ত্রণ করতে প্রায় ৬০ রাউন্ড টিয়ারসেল ও শর্টগানের গুলি নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়েছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের আহত অবস্থায় ২৭ জনকে ছাতক হাসপাতাল থেকে আটক করেছে পুলিশ। সংঘর্ষের পর এলাকায় টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে।ঘটনাস্থলে পুলিশ টহল জোরদার করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের বাঁশখলা এলাকার আব্দুর রশিদের ছেলে জনি মিয়া ও একই এলাকার আরজ মিয়ার ছেলে পাভেল মিয়া গত শুক্রবার রাত ৯টায় বাড়ী ফিরছিলো। এসময় তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে পাশ্ববর্তী বাজনামহল এলাকার মৃত ময়না মিয়ার ছেলে জাকারিয়া আহমদ ও সাবেক কাউন্সিলর ফারুক মিয়ার ছেলে ফজল মিয়ার কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ বিষয়টি এলাকায় জানাজানি পর গত শনিবার বেলা ১১টায় কুমনা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ বিষয়টি নিম্পত্তি করতে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ধন মিয়া, আছাব মিয়া ও মহিলা কাউন্সিলর তাসলিমা জান্নাত কাকলীসহ স্থানীয় মুরব্বীরা সালিশ বৈঠকে আয়োজন করেন। ওই বৈঠক চলাকালে এক পর্যায়ে দু’পক্ষের মধ্যে ফের উত্তেজনা জড়িয়ে পড়লে বাঁশখলা এলাকার মুরব্বীরা সালিশ শেষ না করেই বৈঠক থেকে বেরিয়ে চলে যান। এ ঘটনার জের ধরে দুপুর সাড়ে ১২টায় দু’পক্ষের লোকজন লাটিসোটা ও ইটপাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। প্রায় ২ ঘন্টাব্যাপী উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিনত হয়েছিল। এ সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৫০জন আহত হয়েছেন বলে একটি বিশেষ সুত্রে জানা গেছে। এসময় কুমনা ও বাজনামহল এলাকায় ১২/১৫টি বাড়ী ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। কুমনা এলাকার বাসিন্দা ছাতক সদর ইউপির সদস্য আব্দুস সালাম জানান, তার দুটি বাড়ী ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়েছে।
সাবেক পৌর কাউন্সিল ফারুক আহমদ জানান, গত শুত্রæবার পৌর নিবাচনকে সামনে রেখেই তার সমথনে একটি উঠান বৈঠক অনুষ্টিত হয়েছে ।এ বৈঠকে বাশখলা গ্রামে আব্দুল রশিদের পুত্র জনি মিয়া সঙ্গে তার সর্মথিত এক কমীর সঙ্গে কথা কাটাকাটি এ জের ধরেই এ পয়ায়ে উভয় পক্ষে মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার জের ধরে গত শনিবার বাশখলা গ্রামে ১৫-২০ জনের একটি গ্রæপ দেশী অস্ত্র নিয়ে বাসা বাড়িতে হামলা ভাংচুর লুটপাটের চালিয়ে ১২-১৫ টি বাসা বাড়িতে হামলা ভাংচুর লুটপাটের অভিযোগ করেন। প্রায় অর্ধ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে তারা দাবি করেন। এ ঘটনার প্রতিরোধ করতে গিয়ে দুই গ্রামবাসিদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এ ঘটনায় পুলিশ তাৎক্ষনিক দু’গ্রামের ২৭জন ব্যক্তিকে পুলিশ আটক করেছে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের আহতদের ছাতক উপজেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে ২৭ জনকে থানা পুলিশ হাসপাতাল থেকে আটক করে থানায় নিয়ে যান। এ খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ গোলাম কবির ও সহকারী পুলিশ সুপার বিল্লাল হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
থানার ওসি শেখ নাজিম উদ্দিন আটকের এ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ওই এলাকায় পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে। এব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ রিপোট লেখা পয়ন্ত ঘটনাস্থলে উতেজনা বিরাজ করছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
error: Content is protected !!