ছাতক-দোয়ারাবাসীর নয়নের মণি জননেতা কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন : রাজনীতির মাঠে এক অনন্য দৃষ্টান্ত
(ছাতক সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি)
সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক ও দোয়ারাবাজার উপজেলা—দুই নদী, পাহাড় আর হাওরের জনপদ। এই জনপদের মানুষের হৃদয়ে গভীরভাবে আসন গেড়ে নিয়েছেন এক জনপ্রিয় রাজনীতিক, সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জননেতা কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন। তাঁকে আজ ছাতক-দোয়ারাবাসী চেনে ‘নয়নের মণি’ হিসেবে—একজন প্রিয়, মানবিক ও সাহসী নেতৃত্বের প্রতীক হিসেবে।
কলিম উদ্দিন আহমদ মিলনের রাজনৈতিক জীবন শুরু ছাত্র রাজনীতি থেকে। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি ছিলেন ত্যাগী, আদর্শবান ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতা। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে নয়, বরং শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের গণতান্ত্রিক ও জাতীয়তাবাদী দর্শন তাঁকে প্রেরণা যুগিয়েছে। সেখান থেকেই তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর রাজনীতিতে যুক্ত হন। সময়ের পরিক্রমায় তিনি উঠে আসেন কেন্দ্রীয় রাজনীতির অন্যতম নেতৃত্বে।
ছাতক-দোয়ারাবাজারের মানুষ তাঁকে শুধু রাজনীতিক হিসেবেই নয়, বরং একজন সমাজসেবক ও মানবিক ব্যক্তিত্ব হিসেবেও শ্রদ্ধা করে। দুঃসময়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানো, দরিদ্র শিক্ষার্থীদের সহায়তা, চিকিৎসা সেবা ও দুর্যোগকালীন ত্রাণ সহায়তা—এসব কাজের মধ্য দিয়েই তিনি মানুষের হৃদয় জয় করেছেন। বিশেষ করে বন্যা, করোনাকাল কিংবা রাজনৈতিক দমন-পীড়নের সময়েও তিনি জনগণের পাশে থেকেছেন অকুতোভয়ভাবে। সাবেক সংসদ সদস্য হিসেবে তিনি ছাতক-দোয়ারাবাজার অঞ্চলের অবহেলিত এলাকার উন্নয়নে রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। রাস্তা-ঘাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় ও সামাজিক অবকাঠামো উন্নয়ন, বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রসারে তাঁর অবদান স্থানীয়দের মুখে মুখে। জনগণের টাকায় জনগণের উন্নয়ন—এই বিশ্বাস থেকেই তিনি রাজনীতি করেন, যা তাঁকে আলাদা মর্যাদা দিয়েছে। বর্তমানে তিনি সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কঠিন রাজনৈতিক বাস্তবতায়ও তিনি দলের নেতা-কর্মীদের সংগঠিত রাখছেন। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও দেশের মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় তিনি কাজ করছেন নিরলসভাবে। তাঁর নেতৃত্বে সুনামগঞ্জ বিএনপি আজ ঐক্যবদ্ধ ও দৃঢ়। জননেতা মিলন বারবার বলেছেন—“আমি রাজনীতি করি মানুষের জন্য, ক্ষমতার জন্য নয়।” এই মানবিক দর্শন তাঁকে তরুণ সমাজের আদর্শে পরিণত করেছে। তরুণেরা তাঁর কাজ ও চিন্তাধারায় অনুপ্রাণিত হয়ে রাজনীতিতে অংশ নিচ্ছে। তিনি বিশ্বাস করেন, রাজনীতি মানে জনসেবা; রাজনীতির মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষের সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করে নেওয়া।
সম্প্রতি তিনি আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-৫ (ছাতক-দোয়ারাবাজার) আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে মাঠে নেমেছেন। শুরু করেছেন জনসংযোগ, মসজিদ-মাদ্রাসা, বাজার, গ্রাম ও হাওরপাড়ে ছুটে বেড়াচ্ছেন তিনি। তাঁর নির্বাচনী শ্লোগান—“জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দিতে ধানের শীষে ভোট দিন।” এই আহ্বানে ইতোমধ্যে এলাকাজুড়ে উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। ছাতক ও দোয়ারাবাজারের মানুষের মুখে শোনা যায়—“মিলন ভাই আসলেই আমাদের সন্তান, আমাদের আশার প্রতীক।” তাঁর সৎ, নির্লোভ ও পরিশ্রমী নেতৃত্বই আজ তাঁকে আলাদা করে তুলেছে। দলীয় ও রাজনৈতিক মতভেদ পেরিয়ে সাধারণ মানুষও তাঁকে শ্রদ্ধা করে। রাজনীতির পাশাপাশি তিনি শিক্ষানুরাগী ও সমাজ উন্নয়নমূলক কাজে যুক্ত রয়েছেন। গ্রামীণ শিক্ষার প্রসারে তিনি বহু স্কুল, মাদ্রাসা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষক। এলাকার তরুণ প্রজন্মকে তিনি সর্বদা উৎসাহ দেন জ্ঞান ও আদর্শের পথে এগিয়ে যেতে। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিশ্বস্ত সহযোদ্ধা হিসেবে কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন জাতীয় রাজনীতিতেও সুপরিচিত। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে তাঁর অবস্থান আজ দৃঢ় ও মর্যাদাপূর্ণ। দিনের শেষে ছাতক-দোয়ারার জনগণ বিশ্বাস করে—জননেতা মিলনই পারবেন তাদের প্রিয় জনপদে আবারো উন্নয়ন, গণতন্ত্র ও জনআশার আলো ফিরিয়ে আনতে। তাই বলা যায়,ছাতক-দোয়ারাবাসীর নয়নের মণি কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন—জনগণের হৃদয়ের রাজনীতিক।”
Leave a Reply