ছাতকের গোবিন্দগঞ্জ বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে দুর্বৃত্তদের হামলায় গুরুতর আহত এরশাদ আলী
ছাতকের গোবিন্দগঞ্জ বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তদের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন এরশাদ আলী (৫০)। শনিবার বিকেলে উপজেলার ঝাওয়া ব্রিজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তিনি উত্তর খুরমা ইউনিয়নের তেরাপুর গ্রামের মৃত আছকির আলির ছেলে।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকেলে এরশাদ আলী বাজার সওদা করার উদ্দেশ্যে গোবিন্দগঞ্জ বাজারে যান। প্রয়োজনীয় কেনাকাটা শেষে তিনি একটি যানবাহনে করে নিজ এলাকা তেরাপুর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। ঝাওয়া ব্রিজ এলাকায় এসে গাড়ি থেকে নেমে তিনি পায়ে হেঁটে বাড়ির পথে অগ্রসর হচ্ছিলেন। এ সময় আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা অজ্ঞাতনামা কয়েকজন দুর্বৃত্ত তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।
হামলাকারীরা ধারালো ও ভোঁতা অস্ত্র ব্যবহার করে এলোপাতাড়ি আঘাত করলে এরশাদ আলী গুরুতর আহত হন। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়। হামলার পরপরই দুর্বৃত্তরা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে পালিয়ে যায়। এলাকাবাসীর ধারণা, পরিকল্পিতভাবেই এ হামলা চালানো হয়েছে।
ঘটনার কিছুক্ষণ পর ওই সড়ক দিয়ে চলাচলরত পথচারীরা রক্তাক্ত অবস্থায় এরশাদ আলীকে পড়ে থাকতে দেখে এগিয়ে আসেন। তারা তাকে উদ্ধার করে প্রাথমিকভাবে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যান এবং পরিবারের সদস্যদের খবর দেন। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে এসে দ্রুত তাকে চিকিৎসার জন্য ছাতক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
ছাতক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করেন। তবে তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, তার অবস্থা আশঙ্কাজনক এবং তিনি চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।
এ ঘটনার পর এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, ঝাওয়া ব্রিজ এলাকা তুলনামূলক নিরিবিলি হওয়ায় সন্ধ্যার পর সেখানে নিরাপত্তাহীনতা দেখা দেয়। এ ধরনের হামলার ঘটনায় সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। এলাকাবাসী দ্রুত হামলাকারীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, “ঘটনার খবর আমরা পেয়েছি। এখনো লিখিত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।” তিনি আরও জানান, হামলাকারীদের শনাক্তে পুলিশ প্রয়োজনীয় অনুসন্ধান শুরু করবে।
উল্লেখ্য, এ ঘটনায় এখনো হামলার কারণ জানা যায়নি। ব্যক্তিগত বিরোধ, পূর্বশত্রুতা নাকি অন্য কোনো উদ্দেশ্যে এ হামলা চালানো হয়েছে—তা তদন্তের পরই স্পষ্ট হবে। স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এলাকাবাসীকে শান্ত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে এবং যেকোনো তথ্য পুলিশকে জানানোর অনুরোধ করা হয়েছে।
Leave a Reply