ছাতকে জামায়াতের ছাত্র ও নাগরিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত
বাংলাদেশের জনগণ কখনোই স্বৈরাচার বা একচেটিয়া রাজনীতিকে সমর্থন করে না.. ভিপি সাদিক কায়েম
ছাতক (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহ-সভাপতি (ভিপি) ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক আবু সাদিক কায়েম বলেছেন, বাংলাদেশের রাজনীতি হতে হবে বাংলাদেশ কেন্দ্রিক। প্রতিবেশী রাষ্ট্রের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কোন দেশের সার্বিক উন্নয়ন ও স্বার্থের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। তিনি বলেন, “ভারতমুখী রাজনৈতিক নির্ভরতাকে দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের রাজনীতিতে দেখা গেলেও এখন সময় এসেছে দেশমুখী, জনগণকেন্দ্রিক রাজনীতির। দেশের স্বার্থ ও জনগণের অধিকারই রাষ্ট্র পরিচালনার মূল ভিত্তি হওয়া উচিত। ০৫ ডিসেম্বর শুক্রবার সকালে সুনামগঞ্জের ছাতক পৌর শহরের ট্রাফিক পয়েন্টে জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে আয়োজিত ছাত্র ও নাগরিক সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সমাবেশে হাজার হাজার ছাত্র, তরুণ, পেশাজীবী ও সাধারণ নাগরিকের উপস্থিতি দেখা যায়। বক্তারা শান্তিপূর্ণভাবে গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও সুশাসনের পক্ষে বিভিন্ন বক্তব্য উপস্থাপন করেন। ভিপি সাদিক অভিযোগ করে বলেন, দেশে যদি “ফ্যাসিবাদী পদ্ধতিতে” রাষ্ট্র পরিচালনার চেষ্টা করা হয় তবে জনগণই তার জবাব দেবে। তিনি বলেন, “বাংলাদেশের জনগণ কখনোই স্বৈরাচার বা একচেটিয়া রাজনীতিকে সমর্থন করে না। এই দেশের মানুষ গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচারের জন্য আন্দোলন করেছে, ভবিষ্যতেও করবে। বক্তৃতায় তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের ইতিহাসে বেগম খালেদা জিয়ার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। আজ তিনি গুরুতর অসুস্থ—আল্লাহ যেন তাঁকে দ্রুত সুস্থতা দান করেন। তাঁর এই বক্তব্যে সমাবেশে উপস্থিত বহু মানুষের মধ্যে আবেগঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
সমাবেশে ছাতক উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি হাফিজ মাওলানা জাকির হোসাইনের সঞ্চালনায় ও সুনামগঞ্জ জেলা জামায়াতের শিল্প বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডভোকেট রেজাউল করিম তালুকদারের সভাপতিত্বে সমাবেশের প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন গোবিন্দনগর ডিগ্রি মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ ও জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী আব্দুস সালাম আল মাদানী। তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, “দেশের উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে হলে শিক্ষিত তরুণদের দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে। সুশাসন, ন্যায়বিচার, মানবিক মূল্যবোধ ও জবাবদিহিমূলক প্রশাসন ছাড়া একটি দেশের টেকসই অগ্রগতি সম্ভব নয়। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ডাকসু কার্যনির্বাহী সদস্য শাহিনুর রহমান, সঙ্গীত শিল্পী আহমেদ আতাউল্লাহ সালমান, সিলেট মহানগর শিবির সভাপতি ছাত্রনেতা শাহিন আলম, ইসলামী ছাত্রশিবির সুনামগঞ্জ জেলা সভাপতি মেহেদী হাসান তুহিন, মাওলানা আব্দুস সাত্তার, মাওলানা লুৎফুর রহমান হুমায়দী, দোয়ারা বাজার উপজেলা জামায়াতের আমীর ডা. হারুন অর রশীদ, দোয়ারাবাজার উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ডা. আব্দুল কুদ্দুছ, সিলেট কোতোয়ালি থানা জামায়াতের আমীর অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম। এছাড়া বক্তব্য রাখেন ছাতক উপজেলা জামায়াতে ইসলামের আমির মাওলানা আকবর আলী, সাবেক আমির মাওলানা জালাল উদ্দিন, পৌর আমীর নোমান আহমদ, উপজেলার সহ-সেক্রেটারি আব্দুল আউয়ালসহ আরও অনেকে। বক্তারা বলেন, দেশের চলমান রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতা থেকে উত্তরণের জন্য প্রয়োজন গণতান্ত্রিক অনুশীলন, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা। তাঁরা বলেন, “একটি সভ্য সমাজে বিরোধী মত দমন, মানবাধিকারের লঙ্ঘন এবং রাজনৈতিক প্রতিহিংসা কখনোই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তরুণ প্রজন্মই পরিবর্তনের নেতৃত্ব দিতে পারে। দেশের উন্নয়নে তরুণদের দেশপ্রেম, সততা, নৈতিকতা ও দায়িত্বশীলতা সবচেয়ে বড় শক্তি। অংশগ্রহণকারীরা মনে করেন, দেশমুখী রাজনীতি, সুশাসন, দুর্নীতি দমন, নিরাপদ ভবিষ্যত এবং গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করাই এখন সময়ের দাবি। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এ সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়। সমাবেশে ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাও ছিল দৃশ্যমান। অংশগ্রহণকারীরা জানান, দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার মুহূর্তে এমন সচেতনতা ও শান্তিপূর্ণ আলোচনা তরুণদের চিন্তায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। তাঁরা প্রত্যাশা করেন, রাজনৈতিক দলগুলো জনগণের দাবি-দাওয়া শুনে দেশমুখী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে এবং একটি গণতান্ত্রিক, ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনে কাজ করবে। জামায়াতের ছাত্র ও নাগরিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত
বাংলাদেশের জনগণ কখনোই স্বৈরাচার বা একচেটিয়া রাজনীতিকে সমর্থন করে না.. ভিপি সাদিক কায়েম
ছাতক প্রতিনিধি:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহ-সভাপতি (ভিপি) ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক আবু সাদিক কায়েম বলেছেন, বাংলাদেশের রাজনীতি হতে হবে বাংলাদেশ কেন্দ্রিক। প্রতিবেশী রাষ্ট্রের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কোন দেশের সার্বিক উন্নয়ন ও স্বার্থের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। তিনি বলেন, “ভারতমুখী রাজনৈতিক নির্ভরতাকে দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের রাজনীতিতে দেখা গেলেও এখন সময় এসেছে দেশমুখী, জনগণকেন্দ্রিক রাজনীতির। দেশের স্বার্থ ও জনগণের অধিকারই রাষ্ট্র পরিচালনার মূল ভিত্তি হওয়া উচিত। ০৫ ডিসেম্বর শুক্রবার সকালে সুনামগঞ্জের ছাতক পৌর শহরের ট্রাফিক পয়েন্টে জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে আয়োজিত ছাত্র ও নাগরিক সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সমাবেশে হাজার হাজার ছাত্র, তরুণ, পেশাজীবী ও সাধারণ নাগরিকের উপস্থিতি দেখা যায়। বক্তারা শান্তিপূর্ণভাবে গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও সুশাসনের পক্ষে বিভিন্ন বক্তব্য উপস্থাপন করেন। ভিপি সাদিক অভিযোগ করে বলেন, দেশে যদি “ফ্যাসিবাদী পদ্ধতিতে” রাষ্ট্র পরিচালনার চেষ্টা করা হয় তবে জনগণই তার জবাব দেবে। তিনি বলেন, “বাংলাদেশের জনগণ কখনোই স্বৈরাচার বা একচেটিয়া রাজনীতিকে সমর্থন করে না। এই দেশের মানুষ গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচারের জন্য আন্দোলন করেছে, ভবিষ্যতেও করবে। বক্তৃতায় তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের ইতিহাসে বেগম খালেদা জিয়ার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। আজ তিনি গুরুতর অসুস্থ—আল্লাহ যেন তাঁকে দ্রুত সুস্থতা দান করেন। তাঁর এই বক্তব্যে সমাবেশে উপস্থিত বহু মানুষের মধ্যে আবেগঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
সমাবেশে ছাতক উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি হাফিজ মাওলানা জাকির হোসাইনের সঞ্চালনায় ও সুনামগঞ্জ জেলা জামায়াতের শিল্প বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডভোকেট রেজাউল করিম তালুকদারের সভাপতিত্বে সমাবেশের প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন গোবিন্দনগর ডিগ্রি মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ ও জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী আব্দুস সালাম আল মাদানী। তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, “দেশের উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে হলে শিক্ষিত তরুণদের দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে। সুশাসন, ন্যায়বিচার, মানবিক মূল্যবোধ ও জবাবদিহিমূলক প্রশাসন ছাড়া একটি দেশের টেকসই অগ্রগতি সম্ভব নয়। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ডাকসু কার্যনির্বাহী সদস্য শাহিনুর রহমান, সঙ্গীত শিল্পী আহমেদ আতাউল্লাহ সালমান, সিলেট মহানগর শিবির সভাপতি ছাত্রনেতা শাহিন আলম, ইসলামী ছাত্রশিবির সুনামগঞ্জ জেলা সভাপতি মেহেদী হাসান তুহিন, মাওলানা আব্দুস সাত্তার, মাওলানা লুৎফুর রহমান হুমায়দী, দোয়ারা বাজার উপজেলা জামায়াতের আমীর ডা. হারুন অর রশীদ, দোয়ারাবাজার উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ডা. আব্দুল কুদ্দুছ, সিলেট কোতোয়ালি থানা জামায়াতের আমীর অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম। এছাড়া বক্তব্য রাখেন ছাতক উপজেলা জামায়াতে ইসলামের আমির মাওলানা আকবর আলী, সাবেক আমির মাওলানা জালাল উদ্দিন, পৌর আমীর নোমান আহমদ, উপজেলার সহ-সেক্রেটারি আব্দুল আউয়ালসহ আরও অনেকে। বক্তারা বলেন, দেশের চলমান রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতা থেকে উত্তরণের জন্য প্রয়োজন গণতান্ত্রিক অনুশীলন, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা। তাঁরা বলেন, “একটি সভ্য সমাজে বিরোধী মত দমন, মানবাধিকারের লঙ্ঘন এবং রাজনৈতিক প্রতিহিংসা কখনোই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তরুণ প্রজন্মই পরিবর্তনের নেতৃত্ব দিতে পারে। দেশের উন্নয়নে তরুণদের দেশপ্রেম, সততা, নৈতিকতা ও দায়িত্বশীলতা সবচেয়ে বড় শক্তি। অংশগ্রহণকারীরা মনে করেন, দেশমুখী রাজনীতি, সুশাসন, দুর্নীতি দমন, নিরাপদ ভবিষ্যত এবং গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করাই এখন সময়ের দাবি। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এ সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়। সমাবেশে ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাও ছিল দৃশ্যমান। অংশগ্রহণকারীরা জানান, দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার মুহূর্তে এমন সচেতনতা ও শান্তিপূর্ণ আলোচনা তরুণদের চিন্তায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। তাঁরা প্রত্যাশা করেন, রাজনৈতিক দলগুলো জনগণের দাবি-দাওয়া শুনে দেশমুখী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে এবং একটি গণতান্ত্রিক, ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনে কাজ করবে।
Leave a Reply