কথায় কথায়’ ঘুষ নেন
বিদ্যুতের প্রকৌশলী,
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের ছাতক বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে আব্দুল মজিদ গত ২০২২ সালের ২৯ মার্চ ছাতকে যোগদানে করেন। তিনি যোগদানের পর থেকে ঘুস বানিজ্যে ওপেন সিন্ডিকেটের পরিনত হয়েছে। ঘুস ছাড়া এখানে গ্রাহকরা কোনো সেবা পাচ্ছেন না বলে একাধিক অভিযোগ রয়েছে।।নিবাহী প্রকৌশলী,সহকারি প্রকৌশলীসহ ৫জনে বিরুদ্ধে পিডিবি চেয়ারম্যান বরাবরে দুদিনের মধ্যে ৫টি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগীরা। কথায় কথায় ঘুস নেন নিবাহী প্রকৌশলী আব্দুল মজিদ। ছাতক বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের বিতরণ বিভাগের অফিস এখন দুনীতির আখড়ায় পরিনত হয়েছে। তার বিরুদ্ধে গ্রাহকদের যতই অভিযোগ রয়েছে। বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের এমন কোনো খাত নেই, যেখানে তিনি স্বেচ্ছাচারিতা কিংবা অনিয়ম দুনীতি করেন না। পোস্ট-পেইড মিটারে ভূতুড়ে বিল, প্রি-পেইড সংযোগ দিতে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করেন বলে অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। আরও অভিযোগ, বিদ্যুৎ অফিসেরই একজন কর্মচারী দিয়ে করেন মিটারের ব্যবসা। বিদ্যুৎ সংযোগ সম্প্রসারণে খুঁটি প্রতি তিনি নেন ২০ থেকে ৪০ হাজার টাকা, আর প্রতি কিলোওয়াট লোড বৃদ্ধিতে গ্রাহকদের কাছ থেকে আদায় করেন অতিরিক্ত ১০ গুণ অর্থ। অফিসের কয়েকজন অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ঠিকাদার কে সঙ্গে নিয়ে দীর্ঘ ধরে চলছে নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল মজিদ-এসডি সহকারি প্রকৌশলী মাহমুদুল হাসান দুনীতি অনিয়মের এই কান্ড-কারখানা। অভিযোগের সূত্র ধরে সাধারণ বিদ্যুৎ গ্রাহক হিসেবে প্রথমেই মোবাইল ফোন দেওয়া হয় সাধারন কর্মচারি আল আমিনকে সে জানান, আবাসিক প্রি-পেইড সংযোগের এক কিলোওয়াট লোড বৃদ্ধিতে করণীয় জানতে চাইলে তিনি জানান, প্রতি কিলোওয়াট লোড বাড়াতে খরচ লাগবে আড়াই হাজার টাকা। এর মধ্যে ২ হাজার টাকা সরকারি ফি এবং বাকি ৫০০ টাকা অফিসের আনুষঙ্গিক খরচ। এ অফিসে ‘এসডি স্যার (উপ-সহকারী প্রকৌশলী) এবং এক্সিয়েন স্যারের (নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল মজিদ) নির্দেশেই আমি এই টাকা নিয়ে থাকি। আর সেজন্য তারা আড়াই হাজার টাকা নেয়।’শুধু লোড বৃদ্ধিতেই নয়, নতুন প্রি-পেইড সংযোগ পেতেও হয়রানির শিকার হচ্ছেন ৫শতাধিক গ্রাহকরা।এসব ঘুস কেলেংকারি ঘটনায় গত বুধবার সকালে সিরাজ মিয়া, আব্দুল খালেক ও সুমনসহ পৃথক পৃথক তিনজন গ্রাহক বাদী হয়ে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের ছাতক বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল মজিদ,সহকারী প্রকৌশলী মাহমুদুল হাসান, সুমন চৌধুরী ও ঠিকাদার আজিজুর রহমানসহ কর্মকতা ও কমচারিদের বিরুদ্ধে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে বলা হয় একই সঙ্গে মোটা অঙ্কের উৎকোচ দিতে হচ্ছে নির্বাহী প্রকৌশলীকে। মিটারও কিনতে হয় নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছ থেকেই। মিটার বিক্রির জন্য প্রকৌশলী আব্দুল মজিদ দায়িত্ব দিয়েছেন ”আল আমিন”‘ নামে একজন মিটার পাঠককে। আল-আমিনকে দিয়ে অফিসেই মিটারের রমরমা বাণিজ্য চলছে এ অফিসে। বাজারের স্বাভাবিক দরে নয়, তিনি গ্রাহকদের কাছে মিটার বিক্রি করেন বাড়তি দামে। গ্রাহকরাও হয়রানি এড়াতে বাধ্য হন তার কাছ থেকে মিটার কিনতে হয়। নিয়ম অনুযায়ী আবেদনের সাত দিনের মধ্যে প্রি-পেইড সংযোগ পাওয়ার কথা গ্রাহকদের। কেউ যদি আল-আমিনের কাছ থেকে মিটার না কিনে বাজার থেকে কেনেন, তবে সেই গ্রাহকের ফাইল আটকে থাকে এক থেকে দুই মাস পযর্ন্ত। অনুসন্ধানে এমন অভিযোগের সত্যতা পাওয়া মিলছে। ছাতক বর্তমানে ৫৫০০ প্রি-পেইড মিটার রয়েছে। যার মধ্যে প্রকৌশলী আব্দুল মজিদ দায়িত্বে থাকার সময়ে তিনি ১৩টি ইউনিয়ন ও একটি পৌর সভাসহ ৫শ’৮টি গ্রামে ১২ হাজারের বেশী মিটার স্থাপন করেন। হাতেগোনা কয়েকজন ছাড়া বাকি সব গ্রাহককে মিটার কিনতে বাধ্য করা হয়েছে বিদ্যুৎ অফিস থেকেই। রেজিষ্টার ফিস ৬শ’টাকা করে প্রায় সাত লাখ ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন।গত ২৮ আগষ্ট ছাতক অগ্রণী ব্যাংক শাখায় বিদুৎ বিভাগের কর্মচারি আল-আমিনকে অগ্রণী ব্যাংক শাখা আটক করলে ও আব্দুল আজিজের মাধ্যমে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। অভিযোগ থেকে জানা যায় বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের ছাতক বিতরণ বিভাগের পিডিবি বিদুৎ বিভাগ বলছে, দুর্নীতির কারণে ছাতকে একাধিক নিবাহী প্রকৌশলী ও সহকারি প্রকৌশলীকে বদলী করা হয়। সাবেক নিবাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল-মামুনকে নানা অনিয়ম লুটপাটের ও বিভাগীয় শান্তিমূলক বদলী করেছেন ছাতক পিডিবি থেকে হবিগঞ্জে। হবিগঞ্জের দুনীতিবাজ নিবাহী প্রকৌশলী আব্দুল মজিদকে ছাতক পদায়ন করা হয়। নিবাহী প্রকৌশলী আব্দুল মজিদ এখানে যোগদান করে দুনীতির মাত্র তিনগুন বাড়ছে। তার প্রধান সহযোগি হচ্ছেন ঠিকাদার আজিজ। তার বিরুদ্ধে সিলেট আদালতে লেবা্ের কাজ করিয়ে টাকা পয়সা আতœসাতসহ পুরাতন লাইন সংস্কারের কাজ না করেই ভুয়া বিল জমা দিয়ে প্রায় তিনকোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ ও রয়েছে। ছাতক বিদুৎ বিতরন বিভাগের নিবাহী প্রকৌশলী আব্দুল মজিদের নেতৃত্বে একটি সিন্ডিকেট চত্রæ গড়ে উঠেছে। এ চত্রেæর মাধ্যমে ভুয়া বিল,বিদুৎ সংযোগ,ট্রান্সফরমার বিকল, মিটার সংযোগ,ঝুকিপুন লাইন সংস্কারসহ ২০২৩ ও ২০২৪ অর্থবছরে কাজ না করে তিন কোটি টাকা ভুয়া বিল জমা দিয়ে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করে। নিবাহী প্রকৌশলী আব্দুল মজিদ ঠিকাদার আজিজ মিলে এসব টাকা গুলো ভাগ-বাটোয়ারা কা হয়। ছাতক-দোয়ারাবাজার ও শান্তিগঞ্জ এলাকায় ৪২হাজার বিদুৎ গ্রাহক রয়েছে। এসব পুরো বিষয়টিই ছিল প্রতারনার ফাঁদ। এমন অভিনব প্রতারণার ছক তৈরি করে তা বাস্তবায়ন করেছে পিডিবি আব্দুল আজিজ, নিবাহী প্রকৌশলী আব্দুল মজিদ, কমচারি আল আমিন ও অরসরপ্রাপ্ত লাইনম্যান মুজিবুর রহমান। এব্যাপারে পিডিব নিবাহী প্রকৌশলী আব্দুল মজিদকে তার অফিসে গিয়ে ও তাকে না পেয়ে তার মোবাইল নম্বার রিং হচ্ছে কিন্ত তিনি রিসিভ করেনি।##
Leave a Reply