
দুইদিন ধরে হাসপাতাল মর্গে লাশ ছাতকে মাদ্রাসা ছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যু
দুইদিন ধরে হাসপাতাল মর্গে লাশ
ছাতকে মাদ্রাসা ছাত্রের
রহস্যজনক মৃত্যু
সুনামগঞ্জের ছাতকে কোরআনে হাফিজ মো.ছালেহ আহমদ (২০) নামে এক মাদ্রাসা ছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। সে উপজেলার ছাতক সদর ইউনিয়নের মানসীনগর গ্রামের দিনমজুর উস্তার আলীর ছেলে। শুক্রবার সকালে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। আইনী জটিলতার কারনে শনিবার বিকেল পর্যন্ত হাসপাতালের মর্গ থেকে নিহত সালেহ আহমদের লাশ দেওয়া হয়নি বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে। সালেহ আহমদের মৃত্যুর পর ইতিমধ্যে তার সহপার্টিরা এলাকা ছেড়ে গা-ডাকা দিয়েছে। সালেহ আহমদের মৃত্যু কি কোন দূর্ঘটনা, নাকি পরিকল্পিত ভাবে হত্যা এনিয়ে উপজেলা জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হত-দরিদ্র পরিবারের সন্তান হাফিজ সালেহ আহমদ। সে স্থানীয় মাদ্রাসা থেকে কোরআনে হাফিজ সনদ পাওয়ার পর আশপাশ এলাকায় প্রাইভেট টিউশনি করে তার পরিবারকে সাহায্য করতো। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে সালেহ আহমদ বাইসাইকেল নিয়ে বাড়ী থেকে বের হওয়ার পর তার কোন খোঁজ মিলেনি। গ্রামের লোকজন তারা জানতে পারেন, নিহত সালেহ আহমদ ওইদিন রাতগাঁও, মদুকোনি ও বকিরপার এলাকার ৪ জন সহপার্টির সাথে গিয়ে ছিলো। শুক্রবার ভোরে সালেহ আহমদের এক সহযোগী মোবাইল ফোনে তার বড় ভাই আলী আহমদকে জানায়, সালেহ আহমদ মোটরসাইকেল দূর্ঘটনায় আহত হয়ে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছে। খবর পেয়ে আলী আহমদ ছোট ভাইকে দেখতে সিলেটের হাসপাতালে যাওয়ার পর শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় সালেহ আহমদের মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুর পরই সালেহ আহমদের ৪ সহপার্টি দ্রুত হাসপাতাল ছেড়ে পালিয়ে যায়।
ছাতক সদর ইউপির ৬নং ওয়ার্ড সদস্য আব্দুস সালাম বলেন, এ ঘটনার খবর পেয়ে শুক্রবার রাতে মানসীনগর গ্রামের এক জরুরী বৈঠকে স্থানীয় মুরব্বীরা নিহত সালেহ আহমদের ৪ জন সহপার্টি ও অভিভাবকদের ডাকা হয়। কিন্তু ওই বৈঠকে উপস্থিত হয়নি সালেহ আহমদের সহপার্টিরা। এদিকে, আইনী জটিলতার কারনে শনিবার বিকেল পর্যন্ত হাসপাতালের মর্গ থেকে নিহত হাফিজ সালেহ আহমদের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি। ##